বাংলাদেশ

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে হাজার খানেক শিক্ষার্থী তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মিছিল বের করেন। মিছিলটি আমতলী মোড় হয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় অবস্থান নেয়।

এ সময় তারা বলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো প্রতিনিধি না আসা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলবে না। তাদের দাবি, মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের মহাখালীতেই আসতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে এবং তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠনের দাবিতে কয়েক মাসে একাধিকবার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে মহাখালী থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকের সড়কে দুই পাশেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যানবাহন না থাকায় বহু মানুষ হেঁটে গন্তব্যে রওনা হন। মহাখালী উড়ালসড়ক এবং নিচের সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকলেও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সচল আছে। তবে মহাখালী দিয়ে আর কোনো ট্রেন চলতে দেখা যায়নি।

কোনভাবেই থামানো যাচ্ছে না জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরিতে অবৈধ চক্রের দৌরাত্ম্য। এ কাজে, ডিএনসিসি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরাসরি জড়িত। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, যেখানেই আপনার বাড়ি হোক- যে কোনো একটি এলাকার নাম দিয়েই মহাখালীর গলি থেকেই বানিয়ে দেবে জন্ম সনদ। ঢাকা উত্তর সিটিতে এর নিয়ন্ত্রণ ডিএনসিসি’র এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা’সহ আরও কয়েকজনের। প্রতি সনদের জন্য তারা নেয় তিন থেকে ৫ হাজার টাকা। যেখানে, সরকার নির্ধারিত ফি মাত্র ১০০ টাকা।

উত্তর সিটি এলাকায় এ চক্রটির আদ্যোপান্ত বের করার জন্য একটি জন্ম নিবন্ধন সনদ করতে চাই আমরা। সন্ধান পাওয়া যায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এক কর্মচারীর। যার কাছে গেলে, সহজেই মিলবে বার্থ সার্টিফিকেট।

উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অফিসের স্বাস্থ্য বিভাগের একজন মাসুদুর রহমান, যিনি নমুনা সংগ্রহের কর্মচারী। মোবাইলে ফোনে তিনি তার অফিসে যেতে বলেন। সেখানে গিয়ে ফোন দেয়ার পর, তিনি তার কার্যালয়ে না নিয়ে ডেকে পাঠালেন পাশের গলিতে। একটি জন্ম সনদের জন্য, পরিচয় গোপন করে সে গলিতে যাই।

গোপনে নেয়া ভিডিও কথোপকথনে ডিএনসিসি নমুনা সংগ্রহের কর্মচারী মাসুদ কাজীকে বলতে শুনা যায়, জন্মনিবন্ধন সনদ করে দেয়া যাবে, তবে এড্রেস দিতে হবে সাতারকুল এলাকার।

যে কারও কিংবা যে জেলারই হোক, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলেও জন্ম নিবন্ধন করা যাবে এখান থেকেই। প্রতি সনদের জন্য গুণতে হবে তিন হাজার টাকা।

একটি চক্র মিলে কাজটি করে, মহাখালীর ডিএনসিসি’র অঞ্চল-৩ এর অফিসের পেছনের এই গলিতে। আবেদন থেকে সনদপ্রাপ্তি পর্যন্ত সব কাজ হয় এই কম্পিউটারের দোকানগুলোতে। আদতে, যা হওয়ার কথা অনলাইনে বা কার্যালয়ের ভেতরে।

চক্রটির কাজ শুরু হয় এই ডিএনসিসি’র কর্মচারী মাসুদ কাজীকে দিয়ে। মাসুদ প্রথমত কাজটিতে যুক্ত করেন তার ভাগ্নেকে। তিনি নিয়ে যান কম্পিউটার দোকানে। সেখান থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া হয়ে গেলে, সিটি কর্পোরেশন অংশের বাকি কাজ করেন চক্রের অন্যতম সদস্য মাসুদ কাজী।

এরপর একটি দোকান থেকে একটি মাত্র আইডি পাসওয়ার্ড দিয়েই হচ্ছে একের পর এক জন্ম নিবন্ধনের সনদ তৈরির প্রক্রিয়া। এ কী করে সম্ভব? এবার যমুনা টিভির পরিচয় প্রকাশ করে সেই গলিতে গেলে, উপস্থিতি টের পেয়ে লাপাত্তা মাসুদ।

ততক্ষণে বেরিয়ে আসে মাসুদের আরও কিছু তথ্য। কর্মচারী হয়েও রাজনৈতিক পরিচয়ই তার শক্তি। মাস খানেক আগে মাসুদকে বদলি করা হয় উত্তরা জোনে। সেখানে থেকেও নিয়ন্ত্রণ করছেন এ চক্র।

এ চক্রের ফাইলগুলোর চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেন স্বাস্থ্য সহকারী কর্মকর্তা ও জন্ম নিবন্ধক ডা. ফিরোজ আলম। তার হাতেই থাকে জন্ম নিবন্ধনের রেফারেন্স কপিগুলো সত্যায়িত করার এখতিয়ার। ভারতীয় নাগরিক ও রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন দেয়ার দায়ে ইতোমধ্যে দুইবার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল এই ডাক্তার ফিরোজের বিরুদ্ধে। সেই নথিও আসে হাতে।

গোপনে নেয়া ভিডিও রেকর্ডিংয়ে ডিএনসিসি আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে বলতে শোনা যায়, আমরা আসমান থেকে নাজিল হওয়া কোন প্রতিষ্ঠান নয়। প্রতিনিয়ত আমরা ঘষা–মাজার কাজ করছি।

ডাক্তার ফিরোজের বক্তব্য জানতে চাইলেও নাগাল পাওয়া যায়নি তার। নাকের ডগায় এমন ঘটনা নতুন কিছু নয় সিটি করপোরেশনের জন্য। জানা থাকলেও ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার নেই বলে এড়িয়ে যান ডিএনসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। দায় ঠেলে দেন আঞ্চলিক কর্মকর্তার কাছে।

ডিএনসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি: জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী ফোনে বলেন, এখানে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারাই সবকিছু দেখেন। কিছুই বলতে পারবো না, আমার কোন অথরিটিই নাই।

অভিযোগ খতিয়ে দেখার সেই গতানুগতিক আশ্বাস রেজিস্ট্রার জেনারেলের। তবে, রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. যাহিদ হোসাইনকে প্রশ্ন করা হয়, একটি দোকান থেকে ১টি মাত্র আইডি দিয়ে ১০০টি নিবন্ধন কীভাবে করা যাচ্ছে?

উত্তরে তিনি বলেছেন, এই প্রশ্নের জবাব তিনি দিতে পারবেন না। ১টি আইডি দিয়ে ১০০টি নিবন্ধন করা কীভাবে সম্ভব! ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন পাঁচ থেকে ছয়জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং অনেকে সাস্পেনশনে-ও আছে।

বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও রশিদ এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের মালিক আব্দুর রশিদকে (৬০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কুষ্টিয়া শহর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

রাজশাহীর ইনাম ফিড মিলের মালিক আতিকুর রহমানের দায়ের করা এক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। রশিদের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৬৪ হাজার ৮৬৭ টাকার একটি আর্থিক প্রতারণার মামলা করেছিলেন আতিকুর রহমান। মামলাটির নং : ৬৪৩সি / ২০২৩।

মামলার বিবরণে বাদী উল্লেখ করেন, মৎস্য খাদ্যের কাঁচামাল ডি ওয়েল রাইস ব্রান (ডিওআরপি) কেনার জন্য রসিদ অটোমেটিক রাইস মিল লি. এর বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংকের একাউন্টে অগ্রিম ১ কোটি ৩৩ লক্ষ ৬৪ হাজার ৮৬৮ প্রদান করলেও মৎস্যখাদ্যের কাঁচামাল পাননি তিনি। অপরদিকে সেই অর্থও ফেরত না পাওয়ায় চলতি বছরের ২৫শে মার্চ মামলা করেন তিনি।

উল্লেখ্য, ওয়ারেন্ট জারি হলে বিবাদী আব্দুর রশিদ আদালতে হাজির না হওয়া এবং জামিন না নেয়ায় তাকে গ্রেফতার পুলিশ। গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ।

তরুণরা আওয়াজ তুলেছেন। আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাক-স্বাধীনতার— এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্রীয় সংস্কারই এখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ। এ কাজে সরকারকে সহায়তা করার পাশাপাশি সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বানও করেন তিনি।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, তরুণদের হাত ধরে এগিয়ে যাবে আগামীর বাংলাদেশ। দেশের কল্যাণে সবাইকে নতুন নতুন চিন্তাভাবনা নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ড. ইউনূস।

শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য দারিদ্র্য ও শূন্য বেকারত্ব— এই তিন শূন্যের পৃথিবীর গড়ার তাগিদ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। বলেছেন, মানুষের জন্য কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। লক্ষ্য অর্জনে তাই সবাইকে কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে।

শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগ অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। গণমাধ্যমের একটি অংশও একই ভূমিকা রেখেছিল বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে ঢাকার মাইডাস সেন্টারে আইন বিষয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। টিআইবি ও সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্টাস ফোরাম এ কর্মশালা আয়োজন করে।

টিআইবির এ পরিচালক জানান, বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বিচার বিভাগের সুফল পেতে হলে রাজনৈতিক সংস্কার আসতে হবে।

এই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলায় আইনি লড়াইয়ে পাশে থাকার ঘোষণা দেন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল অনিক আর হক।

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর আহমেদ হলে প্রবাসী কল্যাণ সোসাইটি আয়োজিত ড. অশোক গুপ্তকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সুকমল বড়ুয়া। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি আব্দুল হাই শিকদার।

অনুষ্ঠানে ডিইএব এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রকৌশলী মো: হানিফ বলেন, বাংলাদেশে কে সংখ্যালঘু নির্যাতন করে এর উদাহরন ড. অশোক গুপ্ত। ৯ বছর আগে যে অনুষ্ঠান আয়োজন করতে চেয়েছেন কিন্তু হাসিনার স্বৈরাচার সরকার সে অনুষ্ঠান আয়োজন করতে দেয় নাই। সে আয়োজন আজ এই সরকারের সময় করছে আয়োজকরা।

জাতীসংঘের তথ্য একাডেমীর স্থায়ী সদস্য মনোনীত হওয়ায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডিইএব'র ঢাকা জেলা কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী এইচ এম আমিনুর রহমান আমিন বলেন, ড. আশোক গুপ্ত প্রান্তিক - অসহায় শিক্ষার জন্য অজস্র কাজ করেছেন।

ড. অশোক গুপ্ত প্রবাসীদের প্রসঙ্গে বলেন, আওয়ামী সিণ্ডিকেট প্রবাসীদের প্রতি পদে পদে হয়রানি করেছে। এয়ারপোর্ট, পাসপোর্ট অফিস, বিএমইটি সহ সকল প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতির আস্তানা বানিয়েছে। এর থেকে মুক্তির জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।

উন্নত দেশে জনবল পাঠানোর আগে কারিগরি ট্রেনিং করে পাঠাতে হবে। বিমান সিন্ডিকেট, এ্যাম্বাসী সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে হবে।

দেশরক্ষা আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি এম সানোওয়ার হোসেন সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ড. অশোক গুপ্তর কাছে আশা করবো জাতীসংঘের তার দফতরের মাধ্যমে এদেশের গণতান্ত্রিক উন্নয়নে অবদান রাখবেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক সচিব বাবু তপন মজুমদার বলেন, এ মাটির উন্নয়নে অশোক গুপ্তর বাবা যে অবদান রেখেছেন অশোকও সে পথে চলবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সুকমল বড়ুয়া বলেন অশোকের সাথে আমার যে সম্পর্ক সেখানে দেখেছি তিনি শিক্ষাখাতে কত অবদান রেখেছেন। ভবিষ্যতে দেশ এবং সমাজে সে ধারা অব্যাহত রাখবেন।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে কবি আব্দুল হাই শিকদার বলেন, ড. অশোক এ যুগের কনফোসিয়াসের মত কাজ করে চলেছেন। পলাতক স্বৈরাচার তাকে এদেশে কাজ করতে দেয় নাই তাই বলে তিনি বসে থাকেন নাই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হয়ে জাতীসংঘে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দল থাকলেও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সবার ঐকমত্য রয়েছে। সবারই প্রত্যাশা ফ্যাসিবাদমুক্ত নিরাপদ বাংলাদেশ। আগামীতে আর কোনো ব্যক্তি এমনকি প্রধানমন্ত্রীও স্বৈরাচার হয়ে উঠতে পারবে না।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে ‘৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দল থাকলেও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সবার ঐক্যমত রয়েছে। সবারই প্রত্যাশা ফ্যাসিবাদমুক্ত নিরাপদ বাংলাদেশ। ৩১ দফার আলোকে জনগণের ক্ষমতায়ন ও অংশীদারিত্বের রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের মতো পরিবারতন্ত্র ও অলিগার্কি থাকবে না। গণঅভ্যুত্থানে দেড় হাজার মানুষকে হত্যা করলেও দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনও অনুতাপ-অনুশোচনা নেই।

বিএনপির নাম ব্যাবহার করে কোনও অভিযোগ আসলে দ্রুত দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। বলেন, প্রতিহিংসার রাজনীতিতে না জড়িয়ে সহিংসতা এড়িয়েছে বিএনপি।

অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৮ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। গতকাল বুধবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাতে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর মহকুমার খড়দহ ও টিটাগর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে আট বাংলাদেশিকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়। এ সময় তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিতে ব্যারাকপুর আদালতে আবেদন করে খড়দহ থানার পুলিশ।

জানা গেছে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বাবলু শেখ, ফারুক শেখ ও আলি শেখ বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে বসবাস করছিলেন। তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। তাদের কাছে কোনো বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা পাওয়া যায়নি।

দেশটির পুলিশ জানায়, প্রত্যেকেই দালালের মাধ্যমে নদীয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। তারা সবাই আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মী হিসাবে পরিচিত। রাজনৈতিক পালা বদলের পর গোপনে পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নেন তারা। গ্রেফতারকৃতদের দেয়া রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত পরিচয় সংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলেও জানায় পুলিশ।

গেল দেড় দশকে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভয়ারণ্য হয়ে উঠে টেলিকম খাত। সালমান এফ রহমান সিন্ডিকেটের প্রভাব-বলয়ে বন্দি হয়ে পড়েন কর্মকর্তারা। বেসুমার অনিয়ম আর দুর্নীতির মাধ্যমে লুটে নেয়া হয় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার সুবিধা।

ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে অপারেটরস ফোরাম (আইওএফ) সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। প্রকৃত দরের চেয়ে কম ঘোষণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হয় এসব অর্থ।

প্রাথমিক তদন্তে আইন বহির্ভূতভাবে আইওএফ গঠনের মাধ্যমে রাজস্ব ভাগাভাগিতে অনিয়ম পেয়েছে বিটিআরসি। আইজিডব্লিউ, আইসিএক্স, আইআইজিসহ বিভিন্ন খাতের লাইসেন্স প্রদানে অনিয়ম এবং রাজস্ব ফাঁকির বিষয়ে নেয়া হচ্ছে কঠোর পদক্ষেপ।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বলেন, লভ্যাংশ শেয়ার করা হয় লটারিতে, এখানে যে একটি গ্যাপ, এ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এটি সিরিয়াসলি দেখার আছে।

২০১৫ সালে আইওএফ সিন্ডিকেট গঠনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কল ব্যবসা দখলে নেয় সালমান এফ রহমানের সিন্ডিকেট। অভিযোগ আছে, ভয়েস কলে নামমাত্র ট্যারিফ নির্ধারণ করার জন্য বিটিআরসিকে বাধ্য করেন আওয়ামী লীগের এই প্রভাবশালী নেতা। বিষয়টি আমলে নিয়ে ট্যারিফ কাঠামো পরীক্ষা-নীরিক্ষার কাজ শুরু করেছে বিটিআরসি।

মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বলেন, কল টার্মিনেশন রেট বিশ্বে যেসব দেশে কম, তার মধ্যে একটি বাংলাদেশ। তাতে লাভ হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ক্যারিয়ারের, আর ক্ষতি হচ্ছে সরকারের। লাভ পাচ্ছে না সরকার। এই ট্যারিফটা কতটুকু বৃদ্ধি করা যাবে, কিংবা আদৌ করা যাবে কি না তা যাছাই করা দরকার। যা আমরা শুরু করেছি।

রাজস্ব ফাঁফি দেয়ার পাশাপাশি আইওএফ সিন্ডিকেট মোবাইল অপারেটরদেরও টাকা ফাঁকি দিয়েছে। বিটিআরসির কাছে এমন অভিযোগ জানিয়েছে জানিয়েছে অপারেটরা।

রবির করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স বিভাগের চিফ সাহেদুল আলম বলেন, আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরাম ইকো সিস্টেমে যে স্টেপটা করা হয়েছিল, সেটি কিন্তু বিটিআরসির আইএলডিটিএস পলিসি ছিল সেটিরই একটি ব্যত্যয় ছিল। সেক্ষেত্রে আমাদেরও একটি বড় ধরনের লোকসান হয়েছে প্রতি মাসে। আমরা সব অপারেটররা যদি বলি, সরকার প্রথম দিকে যদি ১শ’ থেকে দেড়শ কোটি টাকা লোকসান করে, তাহলে আমরাও ৭০-৮০ কোটি টাকা লোকসান করেছি প্রতি মাসে।

আইওএফসহ টেলিকম খাতের সিন্ডকেটের দৌরাত্ম বন্ধ করতে আইএলডিটিএস পলিসি পর্যালোচনার পরামর্শ প্রযুক্তিবিদদের।

প্রযুক্তিবিদ সুমন আহমেদ সাবির বলেন, আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরে যে ঘটনা ঘটেছে, হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপি আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই ক্ষেত্রেও প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমার মনে হয়, এখন একটা সময় এসেছে, আমাদের এই পলিসিগুলো.. আইএলডিটিএস পলিসি অনেক পুরনো, ২০০৮ সালের পলিসি আজকের বাস্তবতায় পুনর্বিবেচনা করার দাবি রাখে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।