বাংলাদেশ

অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বৈঠকের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন ১১ দফা দাবিতে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যরা। ওই বৈঠকে পুলিশের ইউনিফর্ম ও লোগোয় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আজ রোববার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মশিউর রহমান, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম, বিজিবির মহাপরিচালক, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে পুলিশের ১১ দফা দাবির কয়েকটি অল্প সময়ের মধ্যে পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অন্য দাবিগুলো পূরণ করা হবে দীর্ঘ মেয়াদে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে পুলিশের ওপর কোনো ধরনের হামলা চালানো যাবে না। পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাতে হবে।

পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বসার আগে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। গত কয়েক দিনের ঘটনায় পুলিশের মনোবল ভেঙে গেছে বলে বৈঠক শেষে  জানান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, ‘তারা যে দাবিদাওয়া পেশ করেছে, সেগুলো যৌক্তিক। তাই আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে আমরা স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে তাদের দাবিগুলো মেনে নেব। কিছু দাবি আমরা এখনই মেনে নেব।’  

রাজনৈতিক সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘পুলিশের যতখানি না দোষ, তার চেয়ে বেশি দোষ তাদের যারা কমান্ড করেছে। তাদের দিয়ে অনেক রাজনৈতিক কাজ করানো হয়েছে। এসব বিষয়ে আমরা বিস্তারিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা করব। পুলিশ সদস্যরা আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে এখন থেকে তাঁরা ঠিকমতো কাজ করবেন। এর আগে বিকেলে আমি ছাত্রদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। ছাত্ররা আমাকে বলেছে, পুলিশের সঙ্গে তাদের কোনো বিরোধ নেই। পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করবে।’

পুলিশ সদস্যদের জন্য স্বাধীন একটি কমিশন গড়ে তোলার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন জানিয়ে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘পুলিশ কমিশন হওয়া উচিত। সেই কমিশনের অধীনে পুলিশ পরিচালিত হবে। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের অধীনে থাকবে না। পুলিশকে যেন রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করা হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, যাঁরা ঢাকায় থাকার পরও ভয়ে কাজে যোগ দিচ্ছেন না, তাঁদের ব্যপারে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে জানতে চাইলে এই উপদেষ্টা বলেন, ‘সবাই তাঁর নিজের কাজের জায়গায় যাবেন। তাঁরা নিজেদের কাজ করবেন। তাঁদের মধ্যে কেউ যদি অন্যায় করে থাকেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে এবং শাস্তি হবে। সরকার তাঁদের কথা শুনবে। এরপর ব্যবস্থা নেবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে সাখাওয়াত হোসেন তাঁর বসার চেয়ার দেখিয়ে বলেন, ‘এই চেয়ারে তো একজন হাই কমান্ড (শীর্ষ কর্মকর্তা) ছিলেন। তিনি কী করেছেন? তাঁর উপরেও হাই কমান্ড ছিল। এখন আমি যদি বলি, এই কাজ না করলে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দেব, তখন কী করবেন? অনেকেই তো হুকুম পালন করেছেন। একজনের ওপরে একজন হাই কমান্ড ছিলেন। সবই তদন্ত করা হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের ইউনিফর্ম, লোগো সব পরিবর্তন করা হবে। পুলিশের অনেকের মন ভেঙে গেছে। এই ইউনিফর্ম পরে পুলিশ আর কাজ করতে চাইছে না। খুব দ্রুতই তা পরিবর্তন করা হবে। এসব বিষয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বৈঠক শেষে পুলিশের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ক পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম ও কনস্টেবল শোয়েবুর রহমান। তাঁরা বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে যেসব দাবি জানিয়েছিলাম তার বেশির ভাগই মেনে নেওয়ার আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিচ্ছি। আশা করি, সবাই সুন্দরভাবে নিজ নিজ দায়িত্বে ফিরবেন।’

পুলিশের এই দুই কর্মকর্তা বলেন, খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। পুলিশের দাবিগুলো বেশির ভাগই মেনে নেওয়া হয়েছে। দ্রুত পুলিশের পোশাক পরিবর্তন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। পুলিশ নিয়ে স্বাধীন একটি কমিশন হওয়ার ব্যাপারেও ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

রাজধানী ঢাকার মেট্রোরেল চালুর নির্দেশনা পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। আগামী শনিবার থেকে যাত্রী নিয়ে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হবে। তার আগে এখন মেট্রোরেল ব্যবস্থার নানা দিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, যাত্রী নিয়ে মেট্রোরেল চলাচলে সর্বোচ্চ সাত দিন সময় লাগতে পারে। তবে এর আগেও চালু হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তিনি বলেন, নিরাপত্তাসংক্রান্ত কিছু প্রক্রিয়া শেষ করে যাত্রী নিয়ে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হবে।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আজ রোববার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সচিবদের বৈঠক হয়। এতে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী মেট্রোরেল চলাচলের বিষয়টি তুললে দ্রুত তা চালুর নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা। আগামী শনিবার যাত্রী নিয়ে মেট্রোরেল চলাচল শুরু করবে।

ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, মেট্রোরেল পুনরায় চালুর সর্বাত্মক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপ হিসেবে আজ সংশ্লিষ্টরা হেঁটে হেঁটে পুরো মেট্রোরেলের পথ পরীক্ষা করেছেন। আগামীকাল সোমবার নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে। আগামী মঙ্গলবার যাত্রীবিহীন (ব্ল্যাঙ্ক) ট্রেন পরিচালনা শুরু হতে পারে। যাত্রী ছাড়া কয়েক দিন মেট্রোরেল চালানো হবে। এরপরই যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু হবে। কারণ, মেট্রোরেলের জন্য আলাদা পুলিশ রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশ এখনো পুরোদমে কাজে যোগ দেয়নি। যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরুর আগে পুলিশের উপস্থিতিও নিশ্চিত করতে হবে।

মেট্রোরেলে যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু করলেও মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে থামবে না। আন্দোলনের সময় এই দুটি স্টেশন ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বাকি ১৪টি স্টেশনে যাত্রী ওঠা-নামা করতে পারবেন বলে ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে।

গত ১৮ জুলাই মিরপুর–১০ নম্বর গোলচত্বরে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করা হলে ওই দিন বিকেল পাঁচটায় মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পরদিন মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়।

ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন বন্ধ রেখে বাকি স্টেশনের মধ্যে মেট্রোরেল চালাতে কোনো সমস্যা নেই। কারণ, মেট্রোরেলের লাইন, কোচ, সংকেত ও বিদ্যুৎ–ব্যবস্থা এবং কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সবই অক্ষত আছে। সরকার পরিবর্তনের কারণে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আত্মগোপনে চলে গেছেন। ফলে মেট্রোরেল চালানোর বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পায়নি কর্তৃপক্ষ। আজ সেই নির্দেশনা পাওয়া গেছে।

চালুর পর থেকেই মেট্রোরেল জনপ্রিয় গণপরিবহন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বন্ধ হওয়ার আগে মতিঝিল থেকে মেট্রোরেলের সর্বশেষ ট্রেন ছাড়ত রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। আর উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিলের পথে সর্বশেষ ট্রেন ছেড়ে যেত রাত ৯টায়। সারা দিনে প্রায় ২০০ বারের মতো মেট্রোরেল চলাচল করে। যাত্রী যাতায়াত করে তিন লাখের মতো।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৮৫তম (বিশেষ) সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

রোববার (১১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের লিখিত দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

অফিস আদেশে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখন থেকে কোনো প্রকার রাজনৈতিক, পেশাজীবী সংগঠন বা কোনো প্রকার অঙ্গ বা ছায়া সংগঠন, লেজুড়বৃত্তিক প্যানেল বা পরিষদ বা সমিতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না। অর্থাৎ সব প্রকার রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলো।

উল্লেখ্য, এদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হলে সকল প্রকার রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের অনুরোধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষরা নিজ পদে বহাল থাকবেন। সেই সাথে হলে হলে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে।

রোববার (১১ আগস্ট) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী ভবনে ফোকলোর বিভাগের অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

এ সময় ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকদের তাদের স্বপদে থেকে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানান। সংকটকালীন এই সময়ে প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকরা পদত্যাগ করলে সাধারণ হলে শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যাহত হবে।

সভায় জানানো হয়, শুধুমাত্র হলের বৈধ আবাসিক শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারবেন। এরআগে যারা আবাসিকতা ছাড়াই হলে অবস্থান করছিলেন, তাদের হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়া হয়। হলে কোনো ধরনের রাজনৈতিক ব্লক থাকবে না। পরবর্তী সিট বরাদ্দ না দেওয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক ব্লকের কেউ প্রবেশ করতে পারবে না এবং চিহ্নিত কক্ষগুলো সিলগালা থাকবে। হলের কক্ষে বা করিডোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ কোনো ধরনের ক্ষমতার পরিচয় প্রকাশ করে কিছু করা যাবে না।

সাম্প্রতিক সহিংসতায় সারাদেশের সব রুটেই বন্ধ ছিলো রেল যোগাযোগ। অবশেষে রেল চলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৫ আগস্ট থেকে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হবে। আর টিকিট বিক্রি শুরু হবে সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেল ৫টা থেকে।

রোববার (১১ জুলাই) বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. নাহিদ হাসান খাঁনের দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়, আগামীকাল ১২ আগস্ট থেকে মালবাহী ট্রেন, ১৩ আগস্ট থেকে মেইল, এক্সপ্রেস, লোকাল, কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে।

তবে সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে পারাবত ও জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচল। 

প্রসঙ্গত, ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সহিংসতার মধ্যে গত ১৮ জুলাই বিকেল থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ।ক পরে গত ১ আগস্ট থেকে সীমিত আকারে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও, তিনদিন পর আবারও তা বন্ধ হয়ে যায়।

চাটুকারিতা করলে মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। আজ রোববার দুপুরে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘চাটুকারিতা করলে মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমি আপনাদের প্রমিস করছি, যদি মিডিয়া চাটুকারিতা করে, তাহলে মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে। টকশোতে চাটুকারদের ডাকবেন না, মিডিয়া চাটুকার হবেন না। একটা দেশ ডোবে কখন, যখন মিডিয়া সত্য কথা বলে না।’ 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী লেখাপড়া জানা লোক, কিন্তু তিনি ছাত্রদের বললেন দুষ্কৃতকারী। এসবের বিচার হওয়া উচিত। মিডিয়ার মালিকদেরও বিচার হওয়া উচিত।’ 

 ‘প্রধানমন্ত্রীকে আপনারা প্রশ্ন করেন কী—আপনি অমুক, আপনি অমুক জয় করে আসছেন। এগুলো কেমন প্রশ্ন?’—যোগ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত।

যাঁরা মানুষ হত্যায় হুকুম দিয়েছেন, তাঁদেরও বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করেন এই উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘বিদায়ী সরকার ক্ষমতায় থাকতে মানুষ মেরেছে। পুলিশকে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করে জনগণের ওপর অত্যাচার করেছে। প্রত্যেক হুকুমদাতাকে খুঁজে বের করা হবে। তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। কেউ ছাড় পাবে না।’ 

এ সময় তাঁর সঙ্গে পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার ও র‍্যাবের মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার গুলশানে দলের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে তার বাসভবনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির জরুরি সভায় মাহমুদুর রহমান মান্না আরো বলেন, ছাত্র-জনতার সফল অভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার ১৬ বছরের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটেছে। ছাত্রদের নেতৃত্বে সারাদেশের সকল শ্রেণি, পেশার মানুষ যেভাবে এই অভ্যূত্থানে সম্পৃক্ত হয়েছে, তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল।

সভায় বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নেতৃবৃন্দ আলোচনা করেন।

সভার সূচনা বক্তব্যে দলের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই অভ্যূত্থান হাসিনা সরকারের স্বৈরাচারী শাসনের সুবিধাভোগী গুটিকয়েক মানুষ ছাড়া সমগ্র বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। এই গণঅভ্যূত্থানের পর দেশের জনগণ নতুন বাংলাদেশ দেখতে চায়। অভ্যূত্থান, স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন এবং অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠা ছিল এই আকাঙ্খা বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ।

ড. ইউনূসের নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে, সেই সরকার জনগণের আকাঙ্খা বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থতির যে অবনতি ঘটেছে, তা অতিদ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। গত ১৬ বছরে দেশের সকল সাংবিধানিক এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। এই সকল প্রতিষ্ঠানকে পুনর্গঠিত করা নতুন সরকারের প্রথম কাজ। বিচার বিভাগকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করে স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে রুপান্তর করা, নির্বাচন কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করে জনগণের আস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতি দমন, বিগত সরকারের আমলে সংঘটিত সকল অপরাধের বিচার এবং দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ভেঙে পড়া অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রের সকল স্তরে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করার পর অংশীজনদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করবে।

নেতৃবৃন্দ আশা প্রকাশ করেন, যে প্রত্যাশা নিয়ে দেশের জনগণ জীবন দিয়ে গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়েছে, সেই প্রত্যাশা বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপ অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হবে। রাষ্ট্রের গঠনমূলক সংস্কারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগে সহযোগিতা করবে নাগরিক ঐক্য। 

পাশাপাশি সকল ধরনের নৈরাজ্য, সহিংসতা এবং দখলদারত্ব বন্ধ করতে সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ নেবার আহবান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন অন্যথায় সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর উপর জনগণের আস্থার সংকট দেখা দিবে।

দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ারের পাঠানো বার্তায় আরো বলা হয়,  রাজনৈতিক দলগুলোর উপর হাসিনা সরকারের নিপীড়ন, নির্যাতনে যে রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ করতে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের উদ্যোগ নিতে হবে। সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন নেতৃবৃন্দ। 

দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গভবনের দরবার হলে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সঞ্চালনায় হয় পুরো আয়োজন। প্রথমে তিনি নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতিকে মঞ্চে আহ্বান জানান। প্রথমে তাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি। পরে তাকে গোপনীয়তার শপথও পাঠ করানো হয়। শেষে শপথবাক্যের ফাইলে প্রথমে প্রধান বিচারপতি ও পরে রাষ্ট্রপতি সাক্ষর করেন।

গতকাল শনিবার (১০ আগস্ট) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে সৈয়দ রেফাত আহমেদকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

তাতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে এ নিয়োগ কার্যকর হবে।

রেফাত আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনশাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ওয়াদাম কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি অফ টাফ্টস ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স এবং পিএইচডি সম্পন্ন করেন।

এরপর ২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশ হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান রেফাত আহমেদ। পরে ২০০৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন তিনি।

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আরও দুইজন উপদেষ্টা শপথ গ্রহণ করেছেন। তারা হলেন, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ডা. বিধান রঞ্জন রায় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা।

আজ রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গভবনের দরবার হলে তাদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ নিয়ে সরকারের মোট ১৬ জন উপদেষ্টা শপথ নিলেন। তবে এই দুইজন কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন, তা জানা যায়নি।

এদিকে, এখনও শপথ নেননি মুক্তিযুদ্ধে অপারেশন জ্যাকপটের উপ-অধিনায়ক ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক।

নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় যেতে পারলে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলবে তারা। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, তার বিশ্বাস সেনাবাহিনী রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। সম্প্রতি শেখ হাসিনার পতনের যে আন্দোলন হয়েছে, সেটির সঙ্গে উগ্রবাদী কোনো সংগঠনের সংশ্লিষ্টতাও নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এনডিটিভির ১৩ মিনিটের সাক্ষাৎকারে খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি খুবই অসুস্থ। হাসপাতালে আছেন। তিনি মাল্টিডিসিপ্লিনারি রোগে ভুগছেন। দেশে তার ভালো চিকিৎসা হচ্ছিল না। আমরা আদালত এবং সরকারকে বারবার অনুরোধ করেছিলাম উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যেন বিদেশে পাঠানো হয়, কিন্তু সেটি হয়নি। তবে খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেন।

এসময় হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের গতদিনের বক্তব্য উল্লেখ করে এনডিটিভি। জানতে চায়, শেখ হাসিনার পদত্যাগ না করার বিষয়টির সত্যতা সম্পর্কে। এ বিষয়ে ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রপতি নিজে বলেছেন তিনি (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করেছেন। এটি কোনো জবরদস্তি ছিল না, বিপ্লব ছিল। যখন লাখ লাখ মানুষ শেখ হাসিনার বাড়ির দিকে আসছিল, তার নিরাপত্তা বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনী বলেছিল, তার সামনে দুটি রাস্তা খোলা ছিল। এরপর তিনি পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং ভারতে আসেন।

সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার অভিযোগের ব্যাপারে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক পরিবেশ অসাধারণ। এসব অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয়।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে সৈয়দ রেফাত আহমেদকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। শনিবার (১০ আগস্ট) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে এ নিয়োগ কার্যকর হবে।

রেফাত আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনশাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ওয়াদাম কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি অফ টাফ্টস ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স এবং পিএইচডি সম্পন্ন করেন।

২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশ হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান রেফাত আহমেদ। এরপর ২০০৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।

এর আগে, শনিবার (১০ আগস্ট) দুুপুরে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেন। আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এ সময় চিঠিতে পদত্যাগের কারণ হিসেবে বেশকিছু বিষয় উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়া, শনিবার বিভিন্ন সময়ে আপিল বিভাগের বাকি ছয়জন বিচারপতিও পদত্যাগ করেন।

পদত্যাগ করা আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতি হলেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম, বিচারপতি কাশেফা হোসেন ও আশফাকুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্যদের পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়ে শনিবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এসে জড়ো হতে থাকেন। সেখানে তারা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেয়া শুরু করেন।

এর আগে, শনিবার সকালে সব বিচারপতির অংশগ্রহণে প্রধান বিচারপতির ডাকা সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে কীভাবে আদালত পরিচালনা করা যায় ও বিবিধ বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধান বিচারপতি এই সভা ডেকেছিলেন বলে জানা যায়। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, এভাবে আজ ফুলকোর্ট সভা ডাকা একটি ষড়যন্ত্র ছিল।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।