বাংলাদেশ

জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, নির্বাহী বিভাগের অনেক নির্দেশনা আদালতে চ্যালেঞ্জ হয়েছে। তাই কোটার বিষয়টি নির্বাহী বিভাগ সুরাহা করতে পারবে না।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে কোটা বিষয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

ফরহাদ হোসেন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার নয়, উচ্চ আদালত কোটার সমাধান করবে। আদালতের স্থিতাবস্থার কারণে কোটা বাতিলের নির্বাহী সিদ্ধান্ত বহাল আছে। পাশাপাশি বিষয়টি এখন সম্পূর্ণ আদালতের ওপর নির্ভর করছে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আদালতে না থাকলে কমিশন গঠন করা যেত। এখন আদালতের বাইরে গিয়ে নির্বাহী বিভাগের কিছুই করার নেই।

বক্তব্যে, কারো দ্বারা শিক্ষার্থীদের প্ররোচিত না হওয়ার আহ্বান জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রী। জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে ক্লাসে ফেরারও আহ্বান জানান তিনি।

এছাড়া নারী কোটা না থাকায় ৪০তম বিসিএসে কোন নারী পুলিশে চাকরি পায়নি বলেও জানান তিনি। এই অবস্থায় সরকারি চাকরিতে কোটার সংস্কার হওয়া উচিত বলে উল্লেখ করেন ফরহাদ হোসেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।

ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন তখনকার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে সরকারি চাকরিতে (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে) কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত। এর পর থেকে চাকরিপ্রত্যাশী ও শিক্ষার্থীরা সরকারের জারি করা সেই পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে মাঠে নামেন।

সবশেষ গতকাল বুধবার (১০ জুলাই) সরকারি চাকরিতে কোটা বহাল রেখে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের উপর স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ। এরফলে সরকারের জারিকৃত ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল হয়। আগামী ৭ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে হাইকোর্ট।

এদিকে আজ বিকেল সাড়ে ৩টায় সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশে আবারও ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

আদালতের রায়ের পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। তবে, এখনও যারা আন্দোলনে আছে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন দলটির সভাপতি।

এ সময় অনতিবিলম্বে ব্লকেড থেকে সরে এসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শান্তিপূ্র্ণ কর্মসূচি পালনের আহবান জানান এই ছাত্রলীগ নেতা। এছাড়া এই আন্দোলনের নামে নারী ও নৃতাত্ত্বিকদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সাদ্দাম বলেন, পরিসংখ্যানের দিকে না তাকিয়ে গুটি কয়েকের বক্তব্য দেশের ছাত্র সমাজের বক্তব্য বলে চালানো হচ্ছে। যা একেবারেই অনুচিত। এছাড়া মেট্রোপলিটন ভিত্তিক চাকরি ব্যবস্থা গঠনের বিরোধিতাও করেন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।

দেশে সিজারের সংখ্যা কমিয়ে আনার ওপর জোড় দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এজন্য উপজেলা পর্যায়ে গর্ভকালীন সময়ের শুরু থেকেই মায়েদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের কথা বলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান ডা. সামন্ত লাল সেন।

এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, অভিযোগ আছে গর্ভবতী নারীদের এন্টিডেন্টাল চেকাপ হয় না। মাতৃমৃত্যু হার এবং জনসংখ্যা কমিয়ে আনতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরকে গুরুত্বের সাথে কাজ করার আহ্বানও জানান মন্ত্রী।

উল্লেখ্য, জনসংখ্যা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘সাম্যের ভিত্তিতে সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’।

সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। এবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আদালতে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আন্দোলনকারীদের জন্য আদালতের দরজা সবসময় খোলা।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে আপিল বিভাগে একটি মামলার শুনানিতে সিনিয়র আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্টের নেতাদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, কোটা নিয়ে যারা আন্দোলন করছে তাদের পরামর্শ দিন। তারা কেনো নির্বাহী বিভাগের কথা বলছে? নির্বাহী বিভাগের যেকোনো সিদ্ধান্ত আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনকারীরা তাদের দাবিগুলো আইনজীবীদের মাধ্যমে আদালতে এসে তুলে ধরতে পারে। আদালতে তা গুরুত্ব সহকারে শোনা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।

ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন তখনকার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে সরকারি চাকরিতে (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে) কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত। এর পর থেকে চাকরিপ্রত্যাশী ও শিক্ষার্থীরা সরকারের জারি করা সেই পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে মাঠে নামেন।

সবশেষ গতকাল বুধবার (১০ জুলাই) সরকারি চাকরিতে কোটা বহাল রেখে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের উপর স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ। এরফলে সরকারের জারিকৃত ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল হয়। আগামী ৭ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে হাইকোর্ট।

এদিকে আজ বিকেলে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশে আবারও ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সরকারি চাকরিতে (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ে এক মাসের জন্য স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বুধবার (১০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগে শুনানি শেষে এ রায় দেন আদালত। আগামী ৭ আগস্ট এ বিষয়ে ফের শুনানি হবে।

এর আগে, এদিন সকালে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত চেয়ে দুই আবেদনের শুনানির জন্য বেলা সাড়ে ১১টা নির্ধারণ করা হয়। অ্যাটর্নি জেনারেলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ সময় নির্ধারণ করেন।

শুনানির শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে দুই শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। আমাদের রাষ্ট্রপক্ষেরও একটি আবেদন রয়েছে। দুটি আবেদন একসঙ্গে সাড়ে ১১টায় শুনানি হলে ভালো হয়। তখন আপিল বিভাগ শুনানির জন্য বেলা সাড়ে ১১টা নির্ধারণ করেন।

মঙ্গলবার সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত চেয়ে দুই শিক্ষার্থী আবেদন করেন।

দুই শিক্ষার্থী হলেন– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া ও উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান। পরে আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার বিচারপতির আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।

শুধু এ মামলার শুনানির দিন ধার্যের জন্য মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতির আদালতে বসেছিলেন।

এর আগে গত ৪ জুলাই সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় আপাতত বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। সেদিন রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানি করেননি আপিল বিভাগ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।

ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন তখনকার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে সরকারি চাকরিতে (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে) কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত। এর পর থেকে চাকরিপ্রত্যাশী ও শিক্ষার্থীরা সরকারের জারি করা সেই পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে মাঠে নামেন।

কৌশলগত অংশীদারিত্ব থেকে ‘ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশদারিত্বে’ উন্নীত হতে ২১টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি এবং ৭টি ঘোষণাপত্র সই করেছে বাংলাদেশ ও চীন। এর মধ্যে ২টি সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হয়েছে।

বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে বেইজিংয়ের ‘গ্রেট হল অব দ্য পিপল’ এ সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে এসব চুক্তি-সমঝোতা এবং ঘোষণাপত্র সই হয়। চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সইয়ের আগে গ্রেট হলে দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন লি কিয়াং এবং শেখ হাসিনা।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও দুই দেশের মধ্যেকার ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতাসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রী চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই, ঘোষণাপত্র সই এবং দলিল হস্তান্তর প্রত্যক্ষ করেন।

এর আগে, সকালে গ্রেট হলে পৌঁছালে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। এখানে শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অভ্যর্থনা জানিয়ে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

পাবনা সংবাদপত্র মালিক গ্রুপ এর প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। 
৮ (জুলাই)  সোমবার  রাত ৮ টার সময় আল-আকসা মার্কেট ২য় তালায় মোঃ সোহেল রানা বিল্পব এর সভাপতিত্বে ও ইমরুল হাসান রন্টি সঞ্চালনয় পাবনা সংবাদপত্র মালিক গ্রুপ এর প্রধান কার্যালয়  উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ- কমিটির সদস্য  ও টেলিভিশন এন্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সভাপতি আরশাদ আদনান (রনি)। 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন দৈনিক এযুগের দীপ পত্রিকার  সম্পাদক ওমর সরকার, দৈনিক জীবন কথা পত্রিকার সম্পাদক এ এস এম আব্দুল্লাহ, দৈনিক সিনসা পত্রিকার সম্পাদক এস এম মাহবুবুল আলম, দৈনিক বিবৃত পত্রিকার  নির্বাহী সম্পাদক কাজী মোর্শেদ বাবলা, আনন্দ টেলিভিশনের পাবনা জেলা প্রতিনিধি (পূর্ব)  ও বাংলা ৭১ পাবনা জেলা প্রতিনিধি নবী নেওয়াজ, দৈনিক জনবাণী পাবনা জেলা প্রতিনিধি পলাশ হোসেন, দৈনিক মুক্তি সমাচার পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মোমিন, আমার সংবাদ পাবনা জেলা প্রতিনিধি সফিক ইসলাম, এশিয়ান টেলিভিশনের পাবনা জেলা প্রতিনিধি ফজলুল হক, দৈনিক আমার বার্তা পাবনা জেলা প্রতিনিধি রবিউল রনি, দৈনিক খোলা কাগজ পাবনা জেলা প্রতিনিধি হুমায়ুন কবির, দৈনিক পাবনার চেতনা নির্বাহী সম্পাদক এস এম আদনান উদ্দিন, দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শিশির ইসলাম, এশিয়ান টিভি জেলা সংবাদদাতা ফজলুল হক,দৈনিক স্বতঃকন্ঠ বার্তা সম্পাদক শিউলি আক্তার, দৈনিক পাবনার আলো এর রেহেনা আক্তার,আনন্দ টিভির সেলিম মোর্শেদ রানা, চ্যানেল এস এর সুলভ খান, সাংবাদিক জিম খান,  সাংবাদিক রাজিব জোয়ার্দার সহ অনেকে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, সকলের জন্য মঙ্গলজনক সমাধানের বিষয়ে দেশের সরকারপ্রধান সজাগ রয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের কোটা পুনর্বহাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা জানান।

কোটার বিষয়ে তিনি বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীসহ সকলকে নিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। কোটা বিচারাধীন বিষয়। আদালত নিশ্চয়ই এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবে।

শিক্ষকদের আন্দোলনের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যয়’ স্কিমে শিক্ষকদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হবে না। যদিও আন্দোলন তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে আন্দোলন করে বিশ্ববিদ্যালয় অচল করা ঠিক হবে না।

‘নৈপুণ্য অ্যাপ, জাতীয় পাঠ্যক্রম পোর্টাল ও বিষয়ভিত্তিক অনলাইন ট্রেনিং কার্যক্রমে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে নতুন পাঠ্যক্রম প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষকদের মানসিকতা পরিবর্তন না হলে কখনোই তারা প্রশিক্ষিত হতে পারবেন না। নিজেদের চেষ্টা থাকতে হবে। এ সময়, সরকার দশম শ্রেনী পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট ক্রোক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

সোমবার দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

দুদক সচিব বলেন, বেনজীর আহমেদের গুলশানের চারটি ফ্ল্যাটের সমন্বয়ে যে ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট রয়েছে, সেটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমাদের একজন কর্মকর্তাকে রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে। আজ ঢাকা জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ও দুদকের একজন পরিচালকসহ একটি টিম বাড়িটির সবকিছুর ইনভেনটরি (তালিকা) করে ডুপ্লেক্সটি সিলগালা করে। পরে সেগুলো তারা কমিশনে জমা দেবেন।

এর আগে গতকাল রোববার বেনজীরের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বাংলো বাড়ি ক্রোক করা হয়। এছাড়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বেনজীর, তার স্ত্রী জিশান মীর্জা ও তিন মেয়ের নামে থাকা গোপালগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্ট, বান্দরবান ও সেন্টমার্টিনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১১৩টি দলিলে তাদের নামে থাকা ৭০২ বিঘা জমি, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ২৫টি কোম্পানির বিনিয়োগ ক্রোক ও জব্দ করেছে দুদক।

গত ৩০ জুন বেনজীরের স্ত্রী–কন্যাদের নামে থাকা গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাটের তালা খুলতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের আবেদন করে দুদক। সংস্থাটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন। এর আগে ৬ জুন ফ্ল্যাট চারটি ক্রোক করার আদেশ দেন মহানগর বিশেষ জজ আদালত।

তবে দুদকের দুই দফা তলবে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যরা সাড়া দেয়নি। তৃতীয়বার তলবের আইনি সুযোগ না থাকায় গত ২ জুলাই বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মীর্জা, বড় কন্যা ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর ও মেজো কন্যা তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে থাকা স্থাবর–অস্থাবর সম্পদের তথ্য চেয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয় সংস্থাটি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ২০ থেকে ২২টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

গতকাল রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই সফরকালে অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাতে সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল অর্থনীতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা,ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি ও দুদেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগের সমঝোতা স্মারকগুলো সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

চার দিনের দ্বিপক্ষীয় সফরে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটের দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইট (বিজি-১৭০১) প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফর সঙ্গীদের নিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। চীনা প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা এ সফরে যাচ্ছেন।

চীনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টায় বেইজিং ক্যাপিটেল ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীর পৌঁছানোর কথা।

১১ জুলাই পর্যন্ত বেইজিংয়ে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। ১০ জুলাই চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক এবং চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক করবেন তিনি

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।