বিশ্ব

ইউক্রেনজুড়ে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে চারজন শিশু।

শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেছেন, ঝাপোরিঝিয়ার কাছে ভিলনিয়ানস্ক গ্রামে রাশিয়ার হামলায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, ঝাপোরিঝিয়া অঞ্চলে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুই শিশুসহ সাতজন নিহত হয়েছে। তিনি পশ্চিমা দেশগুলোকে আরও দ্রুত অস্ত্র সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, এই যুদ্ধে অস্ত্র সরবরাহে বিলম্ব হওয়া মানে আরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটা। 

জেলেনস্কি বলেছেন, দিনিপ্রো শহরে হামলার ঘটনা ইউক্রেনের মিত্র দেশগুলোকে এটা মনে করিয়ে দিচ্ছে যে তাদের আরও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, এ কারণেই আমরা বার বার আমাদের সব অংশীদারদের এটা মনে করিয়ে দিচ্ছি যে, শুধুমাত্র পর্যাপ্ত পরিমাণে উচ্চমানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই রাশিয়ার এই সন্ত্রাসী হামলা থামাতে সক্ষম।

ওই শহরের গভর্নর ইভান ফেদোরভ জানিয়েছেন, দিনের আলোতে শহরের কেন্দ্রস্থলে এমন একটি জায়গায় রাশিয়া হামলা চালিয়েছে যেখানে লোকজন অবসর সময় কাটাচ্ছিল।

এদিকে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইগোর ক্লিমেনকো জানিয়েছেন, ঝাপোরিঝিয়া শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার (১৮ মাইল) দূরে অবস্থিত ভিলনিয়ানস্ক শহরে চার শিশুসহ ১৮ জন আহত হয়েছে।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার পূর্বাঞ্চলের একটি গ্রামে হামলায় চারজন নিহত এবং ২৩ জন আহত হয়েছে। 

‘এছাড়া দিনিপ্রো শহরে হামলার ঘটনায় একজন নিহত এবং আরও ১২ জন আহত হয়েছে। উদ্ধারকারীরা একটি নয়তলা আবাসিক ভবনে হামলার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লোকজনকে উদ্ধারে কাজ করছেন।’

 
 

মেরিকান প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার নির্বাচনী অর্থদাতাদের সমস্যার কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছে বর্তমান এই প্রেসিডেন্ট সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে অনুষ্ঠিত বিতর্কে যে পারফরমেন্স করেছেন তা শুধু হতাশারই জন্ম দেয় নি নির্বাচনী প্রচারণাকে হুমকিতে ফেলেছে সাথে তার রাজনৈতিক জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলেছেন এবং এটি অর্থনৈতিক হুমকি হিসেবে হয়ে দাড়াতে পারে

রিপাবলিকান শিবিরের ট্রাম্পের পকেটে এখন অনেক অর্থ নিয়মিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের হন্য সংগ্রহ হচ্ছে তাতে জো বাইডেনকে পেছনে ফেলছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

বাইডেনের অবস্থা আরো খারাপের আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ধনী অর্থদাতারা নিশ্চয়ই অর্থনৈতিক দুর্বল রেসে বাজি ধরবেন না

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, শুরুর দিকে বাইডেনের ভান্ডারে অনেক বেশি ফান্ড জমা হচ্ছিলো বাইডেন বাহিনী ট্রাম্পকে আইনের প্যাচে নাকানিচুবানি খাওয়াচ্ছিলো বাইডেনের প্রচার টিম ঠিক তেমন কাজই করেছেন যা দরকার ছিল ডেমোক্রেটরা তহবিল সংগ্রহে সাফল্য পেয়ে যাচ্ছিলো

সকল রাজ্যে বাইডেনের ভালো অবস্থা থাকলেও গত বসন্তে হাওয়া ঘুরে যায় গত এপ্রিলে বাইডেনের চেয়ে কোটি ৫০ লাখ ডলার বেশি অর্থ সংগ্রহ করে তাক লাগান ডোনাল্ড ট্রাম্প

দিন দিন প্রেসিডেন্টের জন্য সময় খারাপ হতে থাকে

নিউইয়র্কের আদালতে মিথ্যা তথ্যর জন্য ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে তখন থেকে ট্রাম্পের তহবিলে অর্থ জমতে শুরু করে।

ইসরাইলের ব্যবহৃত অস্ত্র দিয়েই ইসরাইলি সেনাদের ওপর সফল হামলা চালিয়েছে গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গ্রুপ হামাসের আল-কুদস ব্রিগেডের যোদ্ধারা। এতে চার ইসরাইলি সেনা নিহত ও আহত হয়েছে আরও পাঁচ সেনা।

শুক্রবার (২৮ জুন) ইসরাইলের অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর হামাসের আল-কুদস ব্রিগেডের যোদ্ধারা হামলা চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ গ্রুপের সশস্ত্র ইউনিট আল-কুদস ব্রিগেড এক বিবৃতিতে জানায়, তারা শুজাইয়ে এলাকায় বুবি-ট্র্যাপড একটি আবাসিক ভবন উড়িয়ে দিয়েছে। এতে চার ইসরাইলি সেনা নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, তারা ইম্প্রুভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) এবং অবিস্ফোরিত এফ-১৬ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই হামলা চালায়। এফ-১৬ ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরাইলের একটি যুদ্ধবিমান থেকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। সেটি বিস্ফোরিত না হওয়ার পর যোদ্ধারা উদ্ধার করে।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডও জানিয়েছে, তারা অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট এবং ছোট অস্ত্র দিয়ে ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যে মৃত্যু ও হতাহত সৃষ্টি করেছে।

গত বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় ইসরাইল নতুন করে হামলা চালায়। উত্তর গাজার ওই এলাকাটি থেকে জানুয়ারি মাসে ইসরাইলি বাহিনী সরে গিয়েছিল। তখন তারা বলেছিল যে সেখান থেকে হামাসকে তারা পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিয়েছে।

সেনাদের মৃত্যুর বিষয়টি ইসরাইল এখনো স্বীকার করেনি। তবে ইসরাইল জানিয়েছে, পুরো গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের এক সেনা নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছেন।

প্রচণ্ড তাপমাত্রার কারণে এখন থেকে ১০ মিনিটে জুমার খুতবা ও নামাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।  ২৮ জুন (শুক্রবার) থেকে শুরু করে আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত এ নির্দেশনা বহাল থাকবে।  

বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। আমিরাতের জেনারেল অথরিটি ফর ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স, এনডাউমেন্টস অ্যান্ড জাকাতের দেওয়া এই নিদের্শ শুক্রবার থেকেই কার্যকর হবে। 

আমিরাতের জাতীয় আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্রীষ্মে উপসাগরীয় দেশগুলোর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অনুভূত হয়।

এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে সৌদি আরবে অবস্থিত ইসলামের পবিত্র দুই মসজিদে জুমার খুতবাও সংক্ষিপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে ও তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে চলতি গ্রীষ্মের শেষ পর্যন্ত এই নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে।

এছাড়া এই নির্দেশনায় শুক্রবারের জুমার নামাজের প্রথম ও দ্বিতীয় আজানের মধ্যবর্তী সময়ও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।  

সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানিয়েছে, সৌদি আরবে ইসলামের দুটি পবিত্রতম মসজিদে জুমার নামাজের আগে নির্ধারিত খুতবা চলমান গ্রীষ্ম মৌসুমের শেষ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত করে কয়েক মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে। মূলত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে মুসল্লিদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আগে জুমার খুতবা সাধারণত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট স্থায়ী হতো। এখন তা ১৫ মিনিটে নামিয়ে আনা হবে। 

সৌদি আরবে এবারের গরমে কমপক্ষে ১৩০১ হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।

‘আমরা চাইলে খুব সহজেই লেবাননকে অন্ধকারে ফেলে রাতারাতি হিজবুল্লাহর সব শক্তি মূলোৎপাটন করতে পারি।’ সম্প্রতি ইসরাইলের রাইখম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ে এক কনফারেন্সে এমন মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজ।

ইসরাইলের বিরুদ্ধে মন্ত্রী পর্যায়ের কোনো নেতার এটিই সবচেয়ে বড় হুমকি। এর আগে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে এমন স্পষ্ট হুমকি কেউ দেননি। 

অবশ্য লেবাননকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করা ইসরাইলের জন্য কঠিন কিছু নয়। কয়েক দশকের অব্যবস্থাপনা আর অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে ইতোমধ্যে পঙ্গু দেশটির পাওয়ার গ্রিড খুব কমই কাজ করছে। কয়েকটি বিমান হামলা চালালেই বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়বে পুরো দেশ। তবে হিজবুল্লাহর সামরিক শক্তি কেড়ে নেওয়া মুখের কথা নয়, লম্বা কাজ।

২০০৬ সালে লেবাননের সঙ্গে অসমাপ্ত যুদ্ধের পর থেকেই পুনরায় ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা করে আসছে ইসরাইল। থেমে নেই হিজবুল্লাহও, দীর্ঘদিন ধরেই যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে সংগঠনটি।
 
বিশাল অস্ত্রাগার

ইসরাইলের হিসাব বলছে, হিজবুল্লাহর অস্ত্রাগারে অন্তত দেড় লাখ ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইতোমধ্যে পাঁচ হাজার ক্ষেপনাস্ত্র খরচ করে ফেলেছে তারা। তবে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ বলছেন ভিন্ন কথা। গত সপ্তাহে এক ভাষণে তিনি জানান, তাদের বেশিরভাগ অস্ত্রাগার এখনো অক্ষত। 

সম্প্রতি ইসরাইলের সামরিক স্থাপনায় হামলার দাবি করেছে হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটির সাম্প্রতিক হামলায় অবাকও হয়েছেন ইসরাইলি কর্মকর্তারা। এর মধ্যে রয়েছে- সীমান্তে ইসরাইলের নজরদারি ফাঁড়িতে হামলা, ইসরাইলি ড্রোনে গুলি করে ভূপাতিত করা এবং ইসরাইলের ড্রোন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আঘাত হানা। তবে ইসরাইলের জন্য সম্ভবত সবচেয়ে বড় বিস্ময় ছিল- হিজবুল্লাহ উত্তরাঞ্চলীয় শহর হাইফা ও এর আশেপাশের অত্যন্ত সংবেদনশীল বেসামরিক ও সামরিক অবকাঠামোর নয় মিনিটের ড্রোন ফুটেজ অনলাইনে প্রকাশ। 

বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ছাড়াও হিজবুল্লাহর রয়েছে একদল প্রশিক্ষিত সেনাদল। ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধ বাধলে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার যোদ্ধা মোতায়েনের সক্ষমতা রয়েছে হিজবুল্লাহর। তবে হাসান নাসরুল্লাহ সম্প্রতি জানিয়েছেন, এ সংখ্যা এক লাখেরও বেশি। এদের অনেকেই সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে সরকারি বাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এছাড়াও হিজবুল্লাহ অন্যান্য অনেক গেরিলা গ্রুপের চেয়ে প্রশিক্ষিত এবং অত্যন্ত শৃঙ্খলাবদ্ধ। 

সক্ষমতা বেড়েছে বহুগুণ

রাইখম্যান বিশ্ববিদ্যালয় হিজবুল্লাহর গোলাবারুদের মজুদ আর রকেট নিয়ে অবাক করার মতো এক তথ্য দিয়েছে। এক প্রতিবেদনে তারা জানায়, যুদ্ধ বাধলে এবার একদিনে প্রায় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার রকেট হামলা করতে পারে ইরানের এ মিত্র গোষ্ঠী। অথচ ২০০৬ সালে পুরো ৩৪ দিনের যুদ্ধে হিজবুল্লাহ মাত্র চার হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছিল বলে অনুমান করা হয়, যা দৈনিক গড়ে ছিল মাত্র ১১৭টি।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালে ১৩ জুলাই যুদ্ধ শুরুর ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলো বোমা হামলায় বৈরুতের রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিধ্বস্ত করে ফেলেছে। তবে এবার ইসরাইল ওই বিমানবন্দরটিতে হামলা চালাতে পারলেও আগেরবারের মতো এতো তাড়াতাড়ি কিছু করতে পারবে না। অন্যদিকে হিজবুল্লাহও তেল আবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আঘাত হানতে সক্ষম হতে পারে এবার।

মধ্যপ্রাচ্যে বেড়েছে ইসরাইলের শত্রু

মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের শত্রু-মিত্রের অবস্থা আগের মতো নেই। রাষ্ট্র ছাড়াও অরাষ্ট্রীয় শত্রু র সংখ্যা বেড়েছে। অনেক শক্তিও অর্জন করেছে সংগঠনগুলো। ইসরাইলের শত্রুরা এখন আর দুর্নীতিগ্রস্ত ও অযোগ্য আরব শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, বরং হিজবুল্লাহ থেকে শুরু করে হামাস, ইসলামিক জিহাদ, হুথি থেকে ইরাক ও সিরিয়ার মিলিশিয়া বাহিনী ছাড়াও অ-রাষ্ট্রীয় অনেক শত্রুর জন্ম হয়েছে। 

ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরাও এখন ইরানের সহায়তায় ইসরাইলের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার সাহস পায়। হুতিরাও লোহিত সাগরে ইসরাইলের জাহাজে হামলা করে। 

সম্প্রতি ইরান সমর্থিত ইরাকি মিলিশিয়া বাহিনী আসাইব আহল আল-হকের নেতা কায়েস আল-খাজালি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি লেবাননে ইসরাইলি হামলা সমর্থন করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের জানা উচিত এ অঞ্চলে বিশেষ করে ইরাকে সে তার সব স্বার্থ ঝুঁকির মুখে ফেলবে। 

ইরানের আচরণিক পরিবর্তন

গত কয়েক বছরে ইরানের চরিত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। ঐতিহ্যগতভাবে তেহরান অন্যদেরকে লড়াই করার জন্য উসকে দিয়ে নেপথ্যে থাকে। তবে গত এপ্রিলে দেশটি বিপরীত আচরণ করেছে। সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের কূটনৈতিক দপ্তরে ইসরাইলের হামলার কঠিন প্রতিশোধ নিয়েছে। ইসরাইলের দিকে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে তেহরান। 

যদি ইরানের প্রধান আঞ্চলিক মিত্র ও দেশটির ‘মুকুট রত্ন’ হিজবুল্লাহকে ইসরাইল আক্রমণ করে তবে ইরান এর বিপরীতে মারাত্মকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। 

ইরান তার মিত্রদের বিরুদ্ধে ইচ্ছেমতো গুলি চালানোর নির্দেশ দিতে পারে। সেইসঙ্গে পারস্য উপসাগরে প্রবেশের প্রবেশদ্বার হরমুজ প্রণালী নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে। বড় ধরনের সংঘাত দেখা দিলে ইরান এই প্রণালী বন্ধ করে দেবে বলে দীর্ঘদিন ধরে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা বিশ্ববাজারে তেলের দাম আকাশচুম্বী করে তুলবে। 

গত অক্টোবর থেকে লেবানন-ইসরাইল সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েই চলছে। তবে গত কয়েক সপ্তাহে এ উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে এবং যুদ্ধের সম্ভাবনাও আকাশচুম্বি বলে মনে হচ্ছে। জার্মানি, সুইডেন, কুয়েত, নেদারল্যান্ডসসহ অনেক দেশ তাদের নাগরিকদের অবিলম্বে লেবানন ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে যদি কখনো আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দেয়, সেই মুহূর্ত এখনই।

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ তার বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সেইসঙ্গে দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার (১৫ কোটি রিঙ্গিত) ক্ষতিপূরণ দাবিতে মানহানির মামলা করতে চলেছেন তিনি।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন এবং সে বিষয়ে তদন্তও চলমান।

সম্প্রতি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আনোয়ার ইব্রাহিমের প্রতি ইঙ্গিত করে মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ থাকলে তা আদালতে পেশ করুন। আমি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বেতন হিসেবে যে অর্থ পেয়েছি, সেই অর্থই আমার জন্য বেশি ছিল। তবে আমার সেই অর্থের ‘বেশিরভাগই শেষ হয়ে গেছে’।

সংসদে আগুন ধরিয়ে দেওয়াসহ রক্তাক্ত বিক্ষোভের জেরে অবশেষে বিতর্কিত ‘ট্যাক্স বৃদ্ধি সম্বলিত অর্থ বিল’ প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিলেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো।

বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, এটা স্পষ্ট যে, কেনিয়ানরা বিলটির বিষয়ে ‘কিছুই চায় না’।

কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট এসময় নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমি স্বীকার করছি যে, আমি এই বিলে স্বাক্ষর করব না’।

রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত কেনিয়ার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (কেএনএইচআরসি) দেওয়া তথ্য অনুসারে, মঙ্গলবারের বিক্ষোভে কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছেন।

উইলিয়াম রুটো বলেন, তিনি এখন তরুণদের সঙ্গে সংলাপে বসবেন, যারা ২০২২ সালের নির্বাচনের পর দেশটিতে অনুষ্ঠিত সবচেয়ে বড় এই বিক্ষোভের অগ্রসেনা ছিলেন।

দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে তিনি জনগণের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি কেনিয়ার জনগণের কথা মনোযোগ সহকারে শুনেছি, যারা বিক্ষোভের মাধ্যমে উচ্চস্বরে বলেছে যে, তারা এই অর্থ বিল চায় না। আর তাই আমি স্বীকার করছি যে, আমি ২০২৪ অর্থ বিলে স্বাক্ষর করব না এবং এটি দ্রুত প্রত্যাহার করা হবে’।  

সম্প্রতি কেনিয়ায় রুটির ওপর ১৬ শতাংশ, মোটর গাড়ির ওপর ২.৫ শতাংশ কর আরোপ করে সরকার। আফ্রিকান গরিব দেশটির প্রধান খাদ্য রুটির এই অস্বাভাবিক দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরেই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ বিক্ষোভ জানাচ্ছিলেন প্রচুর মানুষ।

বিলটির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সত্ত্বেও মঙ্গলবার কেনিয়ার সংসদে বিলটি পাস হয়। এর জবাব হিসেবে বিক্ষোভকারীরা সংসদে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায় এবং সংসদ ভবনের কিছু অংশে আগুন দেয়। এসময় আইনসভার কর্তৃত্বের প্রতীক জাকজমক দণ্ডটি চুরি হয়ে যায়।

এমন প্রেক্ষাপটে পেসিডেন্ট রুটো প্রথমে শক্ত হাতে দমন করা নীতি গ্রহণ করেন। তিনি সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়ে বলেন যে, দেশে কোনোরকম ‘সহিংসতা ও নৈরাজ্য’ সহ্য করা হবে না।

কিন্তু বিক্ষোভে হতাহতের ঘটনায় জনগণের ক্ষোভ বেড়ে যাওয়ায় বুধবার প্রেসিডেন্ট তার আগের অবস্থান থেকে সরে আসেন এবং বিলটি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

এদিকে বিক্ষোভের বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান ওয়াঞ্জেরি এনডেরু জানিয়েছেন, বিক্ষোভের সময় যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল, তা ছিল ‘যেন আমরা যুদ্ধের ময়দানে ছিলাম।’ 

দেশটির ক্যাথলিক বিশপরাও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন এবং ‘বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি না চালানোর জন্য পুলিশের প্রতি আবেদন জানান’। পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ থাকার আহ্বান জানান।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও কেনিয়ায় বিক্ষোভ ও বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত সাংবাদিক ও চিকিৎসা কর্মীদের হতাহতের ঘটনায় দুঃখ ও গভীর শোক প্রকাশ করেন।

তিনি কেনিয়ার কর্তৃপক্ষকে ‘সংযম চর্চা' করার জন্য এবং বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র: বিবিসি

ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার বোনসহ ১০ স্বজন নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে উত্তর গাজার আল-শাতি শরণার্থীশিবিরে হানিয়ার পরিবারের বাড়িতে এ হামলা চালানো হয়। গাজার জরুরি পরিষেবা সংস্থা এ কথাগুলো জানিয়েছে।

গাজার জরুরি পরিষেবা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘বিমান হামলায় ১০ জন শহীদ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার বোন জাহরা হানিয়াও রয়েছেন।'

বাসাল বলেন, ‘কয়েকজনের মরদেহ এখনো বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে আছে। মরদেহগুলো বের করে আনার মতো সরঞ্জাম আমাদের কাছে নেই।’ উদ্ধারকর্মীরা অন্য মরদেহগুলো গাজা নগরীর আল-আহলি হাসপাতালে নিয়ে যান বলেও জানান তিনি।

হামলার বিষয়ে জানতে এএফপির পক্ষ থেকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এ ঘটনার বিষয়ে তারা অবহিত জানালেও হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।

এদিকে রাফাসহ গাজার অন্য এলাকায়ও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গতকাল গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় ৩২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৩৯ জন। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৩৭ হাজার ৬৫৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৬ হাজারের বেশি।

হিজবুল্লাহর সঙ্গে উত্তেজনা এড়ানোর আহ্বান

লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সঙ্গে উত্তেজনা এড়াতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।

গাজা থেকে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে এ বৈঠকে আলোচনা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ব্লিঙ্কেন ও গ্যালান্টের মধ্যে দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হয়। গাজায় থাকা সব জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করাসহ ফিলিস্তিনি জনগণের ভোগান্তি লাঘবে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ কূটনীতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করেন ব্লিঙ্কেন।

ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে সম্প্রতি সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা বেড়ে চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে উত্তেজনা যাতে আর না বাড়ে, সে জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত করার সমঝোতায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রধান উইলিয়াম বার্নস। ওয়াশিংটন সফরকালে তাঁর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন গ্যালান্ট।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত তথ্য ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। আজ বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের তত্ত্বাবধানে থাকা নর্দান মারিয়ানা আইল্যান্ডসে দেশটির একটি আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগের পর চূড়ান্তভাবে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন অ্যাসাঞ্জ।

অ্যাসাঞ্জ যে মার্কিন আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করবেন, তা গতকাল মঙ্গলবারই জানা গিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ওই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁসের যে ফৌজদারি অভিযোগ অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, আদালতে তা স্বীকার করবেন।

২০১০ ও ২০১১ সালে ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ গোপন সামরিক-কূটনৈতিক নথি ফাঁস করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ। এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে ১৮টি মামলার তদন্ত করছে মার্কিন বিচার বিভাগ। পাঁচ বছর ধরে তিনি যুক্তরাজ্যের কারাগারে আটক ছিলেন। সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

তবে যুক্তরাজ্যে এরই মধ্যে একই সময় কারাভোগ করেছেন তিনি। মার্কিন বিচার বিভাগের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, কারাগারে থাকা ওই সময়কে তাঁর সাজাভোগের সময় হিসেবে ধরা হবে। ফলে তাঁকে নতুন করে আর কারাগারে থাকতে হবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে উইকিলিকস জানিয়েছে, শুনানি শেষে নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা দেবেন অ্যাসাঞ্জ।

 

ইসরাইলের একটি নৌঘাঁটিসহ ৬টি স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। শুক্রবার ‘নিখুঁতভাবে’ আঘাত হানতে সক্ষম এক ঝাঁক আত্মঘাতী ‘কামিকাজে’ ড্রোন দিয়ে ওই হামলা চালানো হয়।

এতে ইসরাইলের ওই নৌঘাঁটির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বহু সেনা হতাহত হয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।

এদিন এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, ড্রোনগুলো ইসরাইলের ‘রাস আন-নাকুরা’ ঘাঁটিতে অবস্থিত এমন কয়েকটি ভবনে নিখুঁতভাবে আঘাত হেনেছে। যেসব ভবন ইসরাইলি সেনা কর্মকর্তা ও সাধারণ সেনারা ব্যবহার করে থাকেন। হামলায় নৌঘাঁটিটির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং নিশ্চিতভাবে বহু সেনা হতাহত হয়েছে। 

এর আগে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ লেবাননের দেরকিভা শহরে হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। যাতে একজন হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হন। এর প্রতিবাদেই শুক্রবার হামলা চালায় হিজবুল্লাহ।

বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানায়, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানাতে এবং দক্ষিণ লেবাননের দেরকিভা শহরে বৃহস্পতিবারের ইসরাইলি হামলার প্রতিশোধ নিতে ওই নৌঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে।  

এদিকে হিজবুল্লাহর হামলার বিষয়ে ইসরাইলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে শুক্রবার রাতে ইসরাইলের রিজার্ভ জেনারেল ইতজাক ব্রিক বলেছেন, হিজবুল্লাহর ওপর যেকোনো হামলা এই অঞ্চলে ব্যাপক যুদ্ধের জন্ম দেবে।

আরেক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা ইসরাইলের শেবা কৃষিখামারের রুওয়াইসাত আল-কার্ন ও জিবদিন ঘাঁটি এবং কুফার শুবা পাহাড়ের রামথা ও আল-সামাকা ঘাঁটি লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ করেছে। এতে ইসরাইলের বহু ক্ষতি হয়েছে।

গাজার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সমর্থনে ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। গত সপ্তাহে ইসরাইলি বাহিনী হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার তালেব সামি আব্দাল্লাহকে হত্যা করার পর ইসরাইলবিরোধী হামলা জোরদার করেছে লেবানন ভিত্তিক সংগঠনটি।

এর জেরে শীর্ষ পর্যায়ের ইহুদি সেনা কর্মকর্তারা সম্প্রতি লেবাননে ‘ব্যাপক-মাত্রায়’ হামলা চালানোর বিষয়টি অনুমোদন করেন। গত মঙ্গলবার ইসরাইলি বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, তারা লেবাননে অভিযান চালানোর বিষয়টি অনুমোদন করেছে।

একই দিন হিজবুল্লাহ গোয়েন্দা ড্রোন পাঠিয়ে ইসরাইলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনার ভিডিও ধারণ করে তা প্রকাশ করে। এতে রীতিমতো ‘হকচকিত’ হয়ে যায় তেল আবিব।

এরপর বুধবার হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, লেবাননে ব্যাপক মাত্রায় আগ্রাসন চালালে ইসরাইলের এক ইঞ্চি ভূমিও হিজবুল্লাহর রকেট হামলা থেকে বাঁচতে পারবে না। একই সঙ্গে তিনি ইসরাইলকে আগ্রাসন চালানোর কাজে সহযোগিতা করলে সাইপ্রাসেও হামলা চালানোর হুমকি দেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।