বিশ্ব

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) আটকে পড়েছেন ভারতীয়-মার্কিন মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। ইতোমধ্যে, নাসা ইলন মাস্কের স্পেসএক্স বেছে নিয়েছে মহাকাশচারীদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য। এক প্রতিবেদনে ভারতীয় ম্যাগাজিন বিজনেস টুডে এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নভোচারীরা প্রাথমিকভাবে বোয়িং এর স্টারলাইনারে পৌঁছেছিলেন, যা আট দিনের মিশন হওয়ার কথা ছিল। তবে, বোয়িং ক্যাপসুলের প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তাদের অবস্থান ৭৮ দিন বেড়ে যায়। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) কি তাদের ফিরিয়ে আনতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে পারেবে?

জবাবে ইসরো প্রধান এস সোমনাথ বলেছেন, সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোরকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে ভারত সরাসরি কোনোভাবেই সাহায্য করতে পারে না। একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র কিংবা রাশিয়া-ই দুই মহাকাশচারীকে ফিরিয়ে আনতে পারে।

ইসরো প্রধান এস সোমনাথ আরও বলেন, আমাদের কাছে এমন কোনও মহাকাশযান নেই যা সেখানে গিয়ে তাদের বাঁচাতে পারে। এটা সম্ভব নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে স্পেসএক্স ক্রু ড্রাগন মহাকাশযান রয়েছে এবং রাশিয়ার কাছে সয়ুজ নভোযান রয়েছে যা উইলিয়ামস এবং উইলমোরকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে ফিরিয়ে আনতে পারে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ জুন নাসার মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর ফ্লোরিডার ‘কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন’ থেকে বোয়িং-এর স্টারলাইনারে চড়ে মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন। তারা দুই মাসের-ও বেশি সময় ধরে মহাকাশে আটকে আছেন।

ইসরায়েলে ৪৮ ঘণ্টার জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। লেবানন থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এ জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। রোববার (২৫ আগস্ট) দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালোন্ত এ ঘোষণা দেন।

জানা গেছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলি সীমান্ত লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়েছে কমপক্ষে ৭০টি রকেট।

লেবানিজ গণমাধ্যম আল মায়াদিন টিভির খবর অনুসারে, ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলে এ হামলা। পাল্টা হামলা চালিয়েছে তেলআবিবও। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি অভিযান চলছে বলেও জানা গেছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট জানিয়েছে, জরুরি অবস্থায় বেসামরিক নাগরিকদের জন্য বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে সেনাবাহিনী। এরমধ্যে নির্ধারিত এলাকায় চলাফেরা না করা ও জনসমাগম সীমিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ডেমোক্র্যাটিক দলের জাতীয় কনভেনশনের সবশেষ দিনে শিকাগোতে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী। ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে সংবাদ সংস্থা এপি এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দশ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। দেশটিকে যুদ্ধের শুরু থেকে অস্ত্র ও গোলা-বারুদ দিয়ে প্রকাশ্যে সমর্থন করছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই প্রতিবাদে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার, শিকাগোর রাস্তায় জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী।  

আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন কমালা হ্যারিস। গত সোমবার শুরু হয় ডেমোক্র্যাটিক দলের জাতীয় কনভেনশনে।

প্রথম দিন থেকেই কনভেনশন হলের বাইরে অবস্থান নিয়ে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার জনগণ। হাতেম আবুদায়েহ জোটের একজন মুখপাত্র এবং মার্কিন ফিলিস্তিনি গণমিছিলের অন্যতম সমন্বয়ক।

বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের ঢেউ যেন আছড়ে পড়েছে পাকিস্তানেও। সরকার পতনের দাবিতে উত্তাল উপমহাদেশের দেশটি। সেইসাথে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিও জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তবে কি বাংলাদেশের মতো একই পথে হাঁটছে পাকিস্তান?

পাক গণমাধ্যমের দাবি, হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো বাংলাদেশি ছাত্রদের আন্দোলনে অনেকটাই প্রভাবিত দেশটির শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ থেকে জুগিয়েছেন বিক্ষোভের অনুপ্রেরণা।

বাংলাদেশি ছাত্র আন্দোলনের ছাপ অনেকটাই স্পষ্ট পাক রাজপথেও। নানা ধরনের বাংলা স্লোগানে মুখরিত হচ্ছে দেশটির রাজপথ। শুধু তাই নয়, রাস্তায় রাস্তায় বিক্রি হচ্ছে লাল-সবুজের পতাকা। পাকিস্তানি পতাকার পাশাপাশি যা হাতে নিয়ে মিছিল করছে দেশটির ছাত্র জনতা।

এদিকে আন্দোলনকারীদের ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানি সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। বলেন আন্দোলনকারীরা মুসলিম নয়।

গেল শুক্রবার দেশের সংবিধান পুনরুদ্ধার এবং ছাত্র সংঘগুলোকে উজ্জীবিত করতে আন্দোলনের ডাক দেয় পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল পিটিআই’র ছাত্র শাখা আইএসএফ। ৩০ আগস্টের মধ্যে ইমরান খানকে মুক্তির আল্টিমেটামও দেয় পাকিস্তানের স্টুডেন্ট ফেডারেশন।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার চুপ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রোববার (১৮ আগস্ট) গুজরাটের আহমেদাবাদে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি। এসময় ১৮৮ জন হিন্দু শরণার্থীকে নাগরিকত্ব সনদ হস্তান্তর করা হয়।

অমিত শাহ বলেন, সিএএ কেবল নাগরিকত্বের বিষয়ে নয় বরং কংগ্রেস ও তার মিত্রদের তুষ্টির রাজনীতির কারণে যারা ১৯৪৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, সেই লাখ লাখ মানুষের ন্যায়বিচার ও অধিকার নিশ্চিত করবে।

তিনি আরও বলেন, সিএএ শুধু মানুষকে নাগরিকত্বের জন্য নয় বরং লাখ লাখ মানুষকে ন্যায়বিচার ও অধিকার দেওয়ার জন্যও করা হয়েছে। কংগ্রেস ও তার মিত্রদের তুষ্টির রাজনীতির কারণে আশ্রয়প্রার্থী লাখ লাখ মানুষ ১৯৪৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ন্যায়বিচার পাননি। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন হওয়ায় প্রতিবেশী দেশগুলোতে তারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের নিজ দেশেও নির্যাতন করা হতো। ইনডিয়া জোটের তুষ্টির রাজনীতি তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাদের ন্যায়বিচার দিয়েছেন।

ভারতের এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সময় ভারত ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত হয়েছিল এবং পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। সংখ্যালঘু পরিবারগুলো বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। এর ফলে ধনী ব্যক্তিরাও ভারতীয় বিভিন্ন শহরে সবজি বিক্রেতা হতে বাধ্য হয়েছিলেন। এসব কারণে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) প্রণয়ন করা হয়েছে।

এসময় বাংলাদেশের হিন্দুদের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‌‌দেশভাগের সময় বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২৭ শতাংশ ছিল। আজ তা কমে মাত্র ৯ শতাংশ হয়েছে। বাকিরা কোথায় গেছেন? বাকিরা কোথায় গেলেন? তারা হয় জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত হয়েছেন অথবা আশ্রয়ের জন্য এখানে (ভারতে) এসেছেন। তাদের কি ধর্ম অনুযায়ী বাঁচার অধিকার নেই? তারা যদি প্রতিবেশী দেশে সম্মানের সাথে বসবাস করতে না পারে এবং আমাদের দেশে আশ্রয় নিতে না পারে, তাহলে আমাদের কী করা উচিত? আমরা নীরব দর্শক হয়ে বসে থাকতে পারি না। এটা নরেন্দ্র মোদির সরকার, আপনি ন্যায়বিচার পাবেন।

প্রসঙ্গত, এদিন নিজেদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কংগ্রেসকেও আক্রমণ করতে দেখা যায় অমিত শাহকে। তার দাবি ১৯৪৭, ১৯৪৮ এবং ১৯৫০ সালে করা জওহরলাল নেহরুর প্রতিশ্রুতি ও মহাত্মা গান্ধীর আহ্বান ভুলে গিয়েছে কংগ্রেস। কারণ হিন্দু শরনার্থীদের নাগরিকত্ব দেয়া হলে, এটি তাদের ভোটব্যাংককে ক্ষুব্ধ করে তুলবে এই আশঙ্কা ছিলো বলেও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন তিনি।

রাজকীয় আয়োজনের মধ্য দিয়ে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে, পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। রোববার (১৮ আগস্ট) জাঁকজমকভাবে অনুষ্ঠিত হয় এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান।

এর আগে ব্যাংককে থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতংতার্নকে সমর্থন দেন থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন। রাজার অনুমোদনপত্র পড়ে শোনান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের সচিব এপাত সুখানন্দ।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে নির্বাচিত করায় সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পেতংতার্ন। শুভ্র সাদা সরকারি ইউনিফর্মে দিয়েছেন একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যও। তিনি বলেন, নির্বাহী শাখার প্রধান হিসেবে আমি অন্যান্য আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে খোলা মন নিয়ে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করব। আমি সবার মতামত শুনব, আমরা যেন একসঙ্গে স্থিতিশীলভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

গত শুক্রবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রী পদে জয় পান ৩৭ বছরের পেতংতার্ন। তিনি থাইল্যান্ডের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। ভোটাভুটিতে পায়েথুংথার্নের পক্ষে পড়ে ৩১৯টি ভোট এবং বিপক্ষে ১৪৫টি।

উল্লেখ্য, গত দুই দশকে সিনাওয়াত্রা পরিবারের তৃতীয় সদস্য হিসেবে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হলেন পেতংতার্ন। এর আগে তার বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা (২০০১-২০০৬) ও ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রা (২০১১-২০১৪) অবশ্য দু’জনই সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন।

দু’দিনের ব্যবধানে রাশিয়ার আরও একটি সেতু ধ্বংসের দাবি করলো ইউক্রেন। রোববার (১৭ আগস্ট) বিমান হামলায় কুরস্কের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি কিয়েভের।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরটি জানিয়েছেন ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর কমান্ডার। বিমান থেকে ধারণকৃত একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী।

এতে দেখা যায়, সিম নদীর ওপর সেতুটি বিস্ফোরণের শিকার হয়। ধসে পড়ে একাংশ। হামলার সময় সম্পর্কে জানা যায়নি। মূলত, অস্ত্র-সরঞ্জাম সরবরাহে সেতুটি ব্যবহার করতো রাশিয়া।

কিয়েভের দাবি, চলমান যুদ্ধে মস্কোর সক্ষমতা ধ্বংসই তাদের লক্ষ্য। প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। অগ্রসর হচ্ছে কুরস্কে। শুক্রবারও সিম নদীর ওপর আরেকটি সেতু ধ্বংস করা হয়।

ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু কাশ্মিরে এক দশক পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিধানসভা নির্বাচন। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৩টায় ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজিব কুমার এই ঘোষণা দেন। তিন ধাপে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। খবর, ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির।

জম্মু ও কাশ্মিরে ১৮, ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কাশ্মিরের পাশাপাশি হরিয়ানা রাজ্যের নির্বাচনের তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে। হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন এক দফায় অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ভোটগ্রহণ হবে ১ অক্টোবর। উভয় রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৪ অক্টোবর।

এদিন ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটের তারিখ ঘোষণা করার কথা থাকলেও তা জানায়নি দেশটির নির্বাচন কমিশন। ৩৭০ ধারা বাতিল সংক্রান্ত মামলায় গত বছর ভারতের শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, কাশ্মীরে গণতন্ত্র পুনঃস্থাপন অত্যন্ত জরুরি। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালের মধ্যে সেখানকার নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের পরে আবার জম্মু ও কাশ্মিরে বিধানসভা ভোট হতে চলেছে। এর মধ্যে অবশ্য পূর্ণ রাজ্য থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে জম্মু ও কাশ্মির।

থাইল্যান্ডের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হিসেবে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হিসেবে পেতংতার্নকে বেছে নিয়েছেন ফেউ থাই পার্টি। ৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্ন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে। খবর রয়টার্সের।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাজধানী ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনে দল থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হিসেবে পেতংতার্নের নাম ঘোষণা করেন ফেউ থাই পার্টির সাধারণ সম্পাদক সারোওং থিয়েনথং। আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দেশটির পার্লামেন্টে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোটাভুটি হবে।

প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হওয়ার পর পেতংতার্ন বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে আমাদের দল ও জোটের শরিকেরা নেতৃত্ব দেবে। এ বিষয়ে আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।

এর আগে, বুধবার (১৪ আগস্ট) থাইল্যান্ডের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে পদচ্যুত করেন দেশটির সাংবিধানিক আদালত। রায়ে থাভিসিনের মন্ত্রিসভাও ভেঙে দেয়ার আদেশ দেয়া হয়।

নতুন করে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নেবে না হামাস। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির শীর্ষ এক নেতা।

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির লক্ষ্যে কাতারের দোহায় আজ শুরু হচ্ছে আরেক দফা আলোচনা। মধ্যস্থতাকারী যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের প্রতিনিধিরা থাকবেন সেখানে। বৈঠকে অংশ নেয়ার কথা জানিয়েছে ইসরায়েল। তবে হামাসের অভিযোগ, আবার আলোচনার মধ্য দিয়ে অযথা কালক্ষেপন করতে চায় তেল আবিব।

গত মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেয়া প্রস্তাব অনুযায়ী রোডম্যাপ চায় হামাস। নিশ্চয়তা চায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকরের। স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটির দাবি, বাইডেনের প্রস্তাবে সম্মতির পরও একের পর এক নতুন শর্ত জুড়ে দিচ্ছে ইসরায়েল। যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেল আবিব। পাল্টা দায় চাপিয়েছে হামাসের ওপর।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।