বিনোদন

অস্কার বাংলাদেশ কমিটি ৯৭তম অস্কারে প্রতিযোগিতার জন্য দেশের সিনেমা আহ্বান করেছে। নির্বাচিত সিনেমাটি বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে।

সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অস্কার বাংলাদেশ কমিটিতে জমা দিতে আগ্রহী পরিচালক-প্রযোজকের ছবিটি অবশ্যই বাংলা ভাষায় নির্মিত বাংলাদেশি চলচ্চিত্র হতে হবে।

তম অস্কার বাংলাদেশ কমিটি ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম এওয়ার্ড” (বিদেশী ভাষা প্রতিযোগিতা) বিভাগে বাংলাদেশের ছবি মনোনয়নের জন্য বাংলা ভাষায় নির্মিত বাংলাদেশী চলচ্চিত্র আহ্বান করছে।

জানানো হয়, ১ নভেম্বর ২০২৩-এর পর এবং ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪-এর আগে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে ধারাবাহিকভাবে ৭ (সাত) দিন বাণিজ্যিক ভাবে প্রদর্শিত ইংরেজি সাবটাইটেলসহ যেকোনো পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।

এই বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার জন্য আগ্রহী চলচ্চিত্র প্রযোজকদের আশির্বাদ চলচ্চিত্র (৭/৯ ইর্স্টান কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স, ৭৩ কাকরাইল) থেকে ছবি জমার ফরম ও বিস্তারিত নিয়মাবলী সংগ্রহ করে আগামী ১ সেপ্টেম্বর২০২ শনিবার বেলা ৫টার মধ্যে জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
 
প্রতিবছরের মতো এবারো অস্কারের ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম (বিদেশী ভাষা প্রতিযোগিতা) বিভাগে বাংলাদেশের ছবি মনোনয়নের জন্য বাংলাদেশ ফেডারেশন অফ ফিল্ম সোসাইটিজএর উদ্যোগে চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ড. মতিন রহমানকে চেয়ারম্যান করে  সদস্যের অস্কার বাংলাদেশ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
 
অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের আয়োজনে ২০ সালের ২ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ৯তম অস্কারের অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ক্যালিফোর্নিয়ার ডলবি থিয়েটারে ২৪টি শাখায় দেওয়া হবে পুরস্কার। বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম এওয়ার্ড সেগুলোরই একটি।

প্রায় ৬ বছর পর সস্ত্রীক দেশে ফিরেছেন নন্দিত সাংবাদিক ও কলামিস্ট শফিক রেহমান। রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তারা।

বিমানবন্দরে নেমেই দেশবাসীর প্রতি লাল গোলাপের শুভচ্ছা জানান শফিক রেহমান। আগে থেকেই তাকে বরণ করতে বিমানবন্দরে অপেক্ষায় ছিলেন স্বজন ও দৈনিক যায়যায়দিনের সহকর্মীরা।

দেশে এসে প্রথমেই তিনি জানান, বাংলাদেশে আসার পর সবচেয়ে বেশি অনুভব করছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। কোনোভাবেই তার মৃত্যুদণ্ড চান না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বেচে থাকাই শেখ হাসিনার অপরাধের প্রকৃত শাস্তি হবে এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, ছাত্র জনতার অবদান মনে রাখতে হবে। তাদের জন্য অনেক কিছু করার আছে বাংলাদেশের।

আজ থেকে শুরু হয়েছে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন। এমন সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের অফিসিয়াল পেজ থেকে এইটি পোস্ট শেয়ার করেছেন চলচিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

পোস্টে ফারুকী লিখেছেন, ‘আজ জুলাই ৩৫। স্বাধীনতা থেকে অল্প একটু দুরে দাঁড়িয়ে আমরা। জোর কদম আগে বাড়ি চলো, একসাথে।’

‘তারপর থাকবে রাষ্ট্র সংস্কারের লম্বা কাজ, প্রতিষ্ঠান সংস্কারের লম্বা কাজ, যাতে আর কোনো দিন আমাদেরকে এইরকম বন্দীদশায় পড়তে না হয়। কেউ কেউ বলছেন, এই সংস্কার করবে কারা? আপনি করবেন। আমরা, আপনারা, সবাই করবো।

খুলে বলি, সবাই জানে আমাদের সিস্টেমের সমস্যাগুলা কোথায়, ওভারহোলিং কোথায় কোথায় দরকার। এই কাজে দেশের ভেতর সিনিয়ররা তো আছেনই। তরুনদের কথাও আপনাদের একটু মনে করিয়ে দিতে চাই। ওরা নতুন বিশ্বদৃষ্টি নিয়ে বড় হচ্ছে। এতো বড় আন্দোলনের পর ওদের সক্ষমতা নিয়ে নিশ্চয়ই আপনার মিনিমাম ডাউট থাকার কথা না। ঐদিকে #ReverseBrainDrain হ্যাশট্যাগও দেখছি। দেশের বাইরে পড়াশোনা করা একটা প্রজন্মও এই কাজে হাত লাগাতে চায়।

অনেকতো হলো নৈরাজ্য। এবার সময় নতুন ভাবে দেশটা সাজানোর। একটা মানবিক গণতান্ত্রিক সমাজ তৈরির। বিপ্লব দীর্ঘজীবি হউক।’

ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন অভিনয় শিল্পীদের একাংশ। সেখানে তারা আন্দোলন ভুলে শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরে যেতে আহ্বান জানিয়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চিত্রনায়ক ফেরদৌস, অভিনয়শিল্পী সোহানা সাবা, শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিপুণ এবং শমী কায়সারের মতো তারকারা।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকালে বিটিভি পরিদর্শন করে এসব অভিনয়শিল্পীরা জানান, এখন আর আন্দোলন ছাত্রদের হাতে নেই। তাদের ঢাল হিসেবে আরেকটি গোষ্ঠী ফায়দা লুটছে।

এ সময় শমী কায়সার বলেন, আজকে এই প্রাঙ্গনে এসে আমরা চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, যারা প্রাণ হারিয়েছে আমরা তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি। তিনি বলেন, আজকে আমরা ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত।

কায়সার বলেন, এই টেলিভিশন বাংলাদেশের সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। যে বাংলাদেশ টেলিভিশন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেছে, সেখানে এসে এই ধ্বংসজজ্ঞ দেখে আমরা সকলেই মর্মাহত হয়েছি। এই টেলিভিশন প্রাঙ্গনে এসে আমরা শিল্পী হিসেবে বেড়ে উঠেছি। আজকে এই বাংলাদশ আমরা চাই না। এই ধ্বংসজজ্ঞের পেছনে যারা রয়েছে তাদের শাস্তি চাই।

এ সময় চিত্রনায়ক ফেরদৌস তুলে ধরেন তার বক্তব্য। তিনি বলেন, এতদিন আমাদের শোকের মাস ছিল শুধু আগস্ট। এখন জুলাই মাসও আমাদের শোকের মাস হিসেবে যুক্ত হয়েছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলন যৌক্তিক হলেও এদের সঙ্গে অপশক্তি যুক্ত হয়ে আন্দোলনে ভিন্ন পথে প্রভাবিত করেছে।

তিনি বলেন, আমরা যেসব ছাত্র হারিয়েছি তাদেরকে আর ফিরে পাবো না। আমার নিজের দুটি সন্তান আছে, তারাও ছাত্র। সন্তানহারা বাবা-মায়ের মনের অবস্থা কী সেটা আমরা বুঝতে পারছি। দেশ শেখ হাসিনা ঠিক করে ফেলবেন কিন্তু যারা চলে গেছেন তাদের আর ফিরিয়ে আনা যাবে না।

এছাড়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিপুণ বলেন, শিক্ষার্থীদের উচিত এবার ঘরে ফিরে যাওয়া। তাদেরকে যাতে আর কেউ ব্যবহার করতে না পারে সেদিকে বাবা-মায়ের নজর রাখতে হবে।

‘তুফান’ সিনেমার দ্বিতীয় কিস্তি আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। আজ সোমবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় সিনেপ্লেক্সের সামনে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় এ ইঙ্গিত দেন তিনি।

তুফানের দ্বিতীয় কিস্তি আসবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তুফান ২’ হবে। এখানে ছবির প্রযোজক আছেন। তিনি ভালো বলতে পারবেন।

এরপর তুফান ছবির প্রযোজক ও আলফা আইয়ের কর্ণধার শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘তুফান ২’ আসবে কি না, তা জানতে আপনাদের সিনেমাটা দেখতে হবে। সিনেমাটা দেখলে এর উত্তর আপনারা পেয়ে যাবেন।

এর আগে, ছবির নির্মাতা রায়হান রাফী জানিয়েছিলেন, তুফান ছবি শেষে থাকবে বড় টুইস্ট। আর সেটা বোধহয় দর্শকরা পেয়ে গেছেন। আসছে তুফানের দ্বিতীয় কিস্তি। কারণ, সিনেমা শেষে লিখে দেয়া হয়েছে, ‘তুফান সবে তো শুরু’। হ্যাঁ, শাকিব খান অভিনীত চলচ্চিত্রটির পরবর্তী কিস্তি নির্মাণ হবে।

এবারের ঈদে মুক্তির পাওয়া ছবির মধ্যে সবচেয়ে বেশি (১২০টির বেশি) হল পেয়েছে তুফান। সর্বোচ্চ ১৩ লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে অধিকাংশ হল মালিককে ছবিটি নিতে হয়েছে। ঈদের প্রথম দিন থেকেই বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছে সিনেমাটি। এই ছবির সুবাদে নতুন রেকর্ড গড়েছে বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্স। মুক্তির এক দিন আগেই ফুরিয়ে যায় তুফানের প্রথম দুই দিনের বেশিরভাগ টিকিট।

তুফানে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, মিমি চক্রবর্তী, চঞ্চল চৌধুরী, নাবিলা, ফজলুর রহমান বাবু, মিশা সওদাগর প্রমুখ। ছবিটি পরিচালনা করেছেন রায়হান রাফী। তুফান বাংলাদেশের সিনেমা, যার প্রযোজক ‘আলফা আই’ স্টুডিওজ। এর ডিজিটাল পার্টনার ‘চরকি’ আর ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউশন সহযোগী ‘এসভিএফ’।

টানা ১৯ দিনে তামিল নাড়ু তো বটেই, ভারতের বক্স অফিসে ইতিহাস লিখেছে বিজয় সেথুপাথির সিনেমা মহারাজা।

মেগাবাজেটের কাল্কি ২৮৯৮ এডি সিনেমার সঙ্গে জোর টক্কর দিয়েছে মহারাজা। কাল্কি ২৮৯৮ এডি সিনেমার সাফল্যের মধ্যেও মহারাজা টেনে নিয়েছে ১৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ তামিল দর্শক।

নিথিলান সামিনাথান পরিচালিত মহারাজা মুক্তি পায় ১৪ জুন। বাজেট ছিল মোটে ২০ কোটি রুপি। প্যাশন স্টুডিও এবং দ্য রুট প্রযোজিত মহারাজা সিনেমাটি একের পর এক রেকর্ড ভাঙ্গার মধ্যে দিয়ে বিজয় সেথুপাথির এই ‍মুহূর্তের সেরা সাফল্য হয়ে ধরা দিয়েছে।

বহুমাত্রিক এই অভিনেতার ৫০তম সিনেমা মহারাজা। কে জানতো, সেই মহারাজাই মুক্তি পাওয়ার ২১ দিনের মাথায় ১০০ কোটি রুপি বক্স অফিস থেকে আয় করে আনবে! তামিল এই নায়ক বলিউডেও হার্টথ্রব হয়ে উঠেছেন।

বিজয় সেথুপাথির সঙ্গে মহারাজাই অভিনয় করেছেন অনুরাগ কাশ্যপ ও মমতা মোহনদাস। সিনেমাটি ভারতের গণ্ডিতেই ব্যবসা করছে তা নয়। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াতেও বক্স অফিস কাঁপিয়েছে এটি।

মুক্তির প্রথম সপ্তাহে ৩৮ কোটি ৯০ লাখ, দ্বিতীয় সপ্তাহে ২৩ কোটি ৪৫ লাখ এবং তৃতীয় সপ্তাহে ৫ কোটি ৪২ লাখ রুপি আয় করে মহারাজা। তৃতীয় সপ্তাহে অবশ্য কাল্কি সিনেমার ঝড়ে কিছুটা আয় কমে আসে এর। তারপরও বক্সঅফিসে মহারাজার জয়রথ পুরোপুরি থামেনি। ভারতের বক্স অফিস থেকে প্রায় ৮০ কোটি রুপি এবং অন্যান্য দেশের বক্স অফিস থেকে মহারাজার আয় এখন পর্যন্ত ২৪ কোটি রুপি। বিশ্ব জুড়ে এই সিনেমার মোট আয় ১০৩ কোটিরও বেশি দাঁড়িয়েছে।

একজন নাপিতের প্রতিশোধ নেওয়ার গল্প নিয়ে এই সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক নিথিলান সামিনাথান। আইএমডিবিতে এই সিনেমার রেটিং এখন ৮.৬/১০।

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে বাস মালিকদের করা আপিলের শুনানির জন্য মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দিন ধার্য করা হয়েছে।

হবুধবার (৩ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ তারেক মাসুদের পরিবারের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। 

গত বছরের ১১ অক্টোবর তারেক মাসুদের মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে বাস মালিকদের করা আপিলের শুনানি ৭ বছর পর শুরু হয়।

২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ ওই মামলায় রায় দেন। এতে তারেক মাসুদের পরিবারকে ৪ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫২ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছিল। পরে বাস মালিকপক্ষ ক্ষতিপূরণ রায়ে স্থগিত চেয়ে একটি লিভ টু আপিল করলে আপিল করার অনুমতি দেওয়া হয়।

২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিশুক মনির। তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটির সঙ্গে চুয়াডাঙ্গাগামী একটি বাসের সংঘর্ষ হলে তারেক মাসুদ ও মিশুক মনিরসহ মাইক্রোবাসের পাঁচ আরোহী নিহত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

 

‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ সিনেমার প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত আছেন দক্ষিণ ভারতের সুপারস্টার প্রভাস। সিনেমাটি ছয় দিনে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৬০০ কোটিরও বেশি রুপি আয় করেছে। শিগগিরই হাজার কোটি রুপির ক্লাবে পা রাখবে বলেই বিশ্বাস সংশ্লিষ্টদের। স্বভাবতই এ নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত প্রভাস নিজেও।

আর এরমাঝেই চাউর হলো তার প্রেমের গুঞ্জন। অভিনেত্রী দিশার সঙ্গে প্রেম করছেন তিনি! এমনই খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। 

মূলত অভিনেত্রীর হাতে ‘পিডি’ নামে ট্যাটু দেখেই এ গুঞ্জন ডালপালা মেলতে শুরু করেছে। পি ও ডি দুটি শব্দকে ‘প্রভাস ও দিশা’ বলেই আখ্যাায়িত করতে চাইছেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ আবার বলছেন, দিশা পাটানি তার নামের উল্টো করে ‘পিডি’ অর্থাৎ পাটানি দিশা লিখেছেন। 

প্রসঙ্গত, দিশা কল্কি সিনেমায় প্রভাসের সহশিল্পী। এ সিনেমার শুটিংয়ের সময়ই নাকি দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এবার সেটা আরও বাড়ল দিশার হাতের নতুন ট্যাটু দেখে। এটা দেখেই দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়েছেন ভক্তরা। 

তবে সত্যিই তারা প্রেম করছেন, নাকি পুরোটাই গুজব- তা নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানাননি কেউই।

রেস্টুরেন্টের ব্যবসায় গিয়ে ভয়ঙ্কর প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন টালিউড অভিনেত্রী ইয়ামিন হক ববি। এ ঘটনায় শাহিনা ইয়াসমিন, তার ছেলে জাওয়ান আল মামুনসহ ৭ জন ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনের নামে মামলা করেছেন তিনি।

সোমবার গুলশানে রেডঅর্কিড রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের প্রতারিত হওয়ার ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। 

ববি বলেন, সৎভাবে জীবনযাবন অব্যাহত রেখে আর্থিক সচ্ছলতার আশায় আমি গুলশান-২ এর ১১৩ নম্বর রোডের ওয়াই এন সেন্টারের একটি রেস্টুরেন্ট ক্রয় করি। রেস্টুরেন্টে অপারেশন পার্টনার হিসেবে রয়েছেন আমার পূর্বপরিচিত মির্জা বাশার। আগের রেস্টুরেন্টের মালিক আমানের সঙ্গে তার রেস্টুরেন্টের সমুদয় আসবাবপত্র (ইন্টেরিয়র ও অন্যান্য) ৫৫ লাখ টাকা মূল্য ধরে একটি চুক্তি হয়। একই সময়ে রেস্টুরেন্ট ভবন মালিকের স্ত্রী শাহিনা ইয়াসমিন ও ছেলে জাওয়াদ আল মামুনের সঙ্গে ভবন রেস্টুরেন্ট মালিকসহ আলোচনা করি। তখন শাহিনা ইয়াসমিন ও জাওয়াদ রেস্টুরেন্টটি আমাকে ভাড়া নিতে উৎসাহিত করেন এবং চলমান রেস্টুরেন্ট হস্তান্তর করলে তারা পরবর্তী সময়ে আমাদের নামে নতুন চুক্তিপত্র করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তাদের প্রতিশ্রুতির পর আমরা আমানকে ১৫ লাখ টাকা দেই এবং টাকা পাওয়ার পর দিন আমানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী তাকে দুটি চেকও দেওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, গত এপ্রিল মাসে আমান আমাদের কাছে রেস্টুরেন্ট হস্তান্তর করেন। আমরা এপ্রিল থেকে রেস্টুরেন্টের ভাড়া প্রতি মাসে আড়াই লাখ ও বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য খরচ পরিশোধ করছি। ভবনের মালিক আমাদের নামে ভাড়া জমা নিয়ে রসিদও দেন। রেস্টুরেন্টে ওঠার পর আমরা ডেকোরেশন পরিবর্তনের কাজ শুরু করি। যাতে প্রায় ১ মাস সময় লাগে। ডেকোরেশনে প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ হয়। এ পর্যায়ে আমরা রেস্টুরেন্ট পরীক্ষামূলকভাবে কার্যক্রম শুরু করি এবং ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য আমরা ভবনের শাহিনা ইয়াসমিন ও জাওয়াদ আল মামুনকে চুক্তিপত্র, ফায়ার সেফটি ও বাণিজ্যিক অনুমতির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেওয়ার অনুরোধ করি।

তিনি অভিযোগ করেন, আমরা যখন ট্রেড লাইসেন্স করতে এসব কাগজপত্র চেয়েছি তখন থেকে হঠাৎ করেই পূর্বের রেস্টুরেন্ট মালিক আমান, মালিক শাহিনা ইয়াসমিন, জাওয়াদ, ভবনের দায়িত্বে থাকা জয়, সাকিবসহ অন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা আমাদের হয়রানি শুরু করেন। প্রথমে আমান তাকে পরিশোধ করা ১৫ লাখ টাকার বিষয়ে অস্বীকার করেন। অন্যদিকে শাহিনা ও জাওয়াদের নির্দেশে ভবনের দায়িত্বে থাকা কর্মচারী জয়, সাকিব, হারুন ও তাদের সহযোগীরা বারবার আমার রেস্টুরেন্টের বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দিয়ে আমাকে হয়রানি শুরু করেন। এর মধ্যে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ওয়ান গ্রুপ থেকে বারবার সন্ত্রাসী ও লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে রেস্টুরেন্টে এসে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। গুলশানের মতো জায়গায় এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে দেখে আমি ভীত হয়ে যাই এবং এরা আসলে কাদের লোক তা জানার চেষ্টা করি। তখনই আমরা প্রথম জানতে পারি, শাহিনা ইয়াসমিন বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের স্ত্রী এবং এই ভবনের মালিক গিয়াস উদ্দিন আল মামুন নিজেই।

ববি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে বিপদের আশঙ্কা দেখে ট্রেড লাইসেন্সের বিষয়ে করণীয় কী সে পরামর্শ করতে আমরা সিটি করপোরেশনে যাই এবং জানতে পারি, ওই বিল্ডিংয়ের কোনোরকম বাণিজ্যিক কার্যক্রমের অনুমতি নেই। এ জন্য গত ফেব্রুয়ারি মাসে বেইলি রোডে রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার পর এই বিল্ডিংটি সিলগালা করে দেয়া হয়। পরে শাহিনা ইয়াসমিন তিন মাসের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম সরিয়ে ফেলার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিল্ডিং খোলেন।

তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার পর আমরা বুঝতে পারি, আমান, শাহিনা ও জাওয়াদ মিলে আমাদের সঙ্গে এক ভয়াবহ প্রতারণা করেছেন। তারা অবৈধ রেস্টুরেন্ট বাঁচাতে না পারার ভয়ে বিক্রি করে টাকা তুলে নেওয়ার ফাঁদ পাতেন। সেই ফাঁদে আমাদের ফেলা হয়েছে। বাণিজ্যিক কোনো অনুমতি না থাকার পরও মাত্র তিন মাসের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসে আমাদের প্রায় ৮০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করিয়েছেন এবং তারা আমাদের থেকে ভাড়াও নিচ্ছেন। তারা ধারণা করেছিল, আমরা বৈধ কোনো কাগজপত্র চাইব না। সিলগালা হওয়া ভবনটিতে এখনো আগের মতোই সব বাণিজ্যিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

ভবনের বৈধ কাগজপত্র দাবি করায় তাদের উচ্ছেদের চেষ্টা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে তারা আমাদের হুমকি দিতে থাকে। সর্বশেষ গত ২২ জুন রাত ১১টায় আমরা রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে বেরিয়ে যাই। পরদিন ২৩ তারিখ সকালে রেস্টুরেন্টের কর্মচারীরা গেলে নিরাপত্তাকর্মীসহ অন্যরা তাদের ঢুকতে বাধা দেয়। খবর পেয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মির্জা বাশার সেখানে গেলে হঠাৎ করেই ১৫-২০ জনের সন্ত্রাসী দল তার ওপর আক্রমণ শুরু করে। সেখানে বাশারকে একা পেয়ে বেদম মারধর ও হত্যাচেষ্টা করা হয়। যার সিসিটিভি ভিডিও রয়েছে। আমি বিষয়টি জানতে পেরে তৎক্ষণাৎ থানায় অব্যহিত করি এবং সেখানে পুলিশ ও আমি একই সঙ্গে পৌঁছাই। পুলিশের উপস্থিতিতে আমরা রেস্টুরেন্টে ঢুকতে গেলে দেখতে পাই সেখানে নতুন তালা লাগানো হয়েছে।

মারধর করে উল্টো তাদের নামেই মামলা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে ববি বলেন, আমরা গুলশান থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা থেকে মির্জা বাশারকে আগে চিকিৎসা করিয়ে এসে পরে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে আমরা মামলা করতে গিয়ে জানতে পারি তারা আগেই মামলার অভিযোগ জমা দিয়েছে। যেখানে আমাকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে আমি পুলিশের সঙ্গে যাই এবং পুলিশের সঙ্গে বের হয়ে প্রথমে থানায় যাই। মামলায় তদন্ত হচ্ছে, আশা করি তদন্তে সত্যতা উঠে আসবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।