রাজনীতি

যতবার ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণ করি বা আহতদের দেখি ততবারই তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই— এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজ কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, যখনই হাসপাতালে আহতদের দেখতে যাই তখনই কষ্ট পাই। তরুণ ছেলে-মেয়েরা কীভাবে ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে আছে। কারও মাথা আঘাত, কারও হাত-পা চলে গেছে। এ সময় রংপুরে নিহত আবু সাঈদের প্রসঙ্গ টেনে ড. ইউনূস বলেন, রংপুরে একজন তাজা তরুণ মরলো। ফুটফুটে একটা ছেলে। কীভাবে তাকে প্রাণ হারাতে হলো।

আহত আরেক শিক্ষার্থীর স্মৃতিচারণ করে বলেন, ছেলেটির পা কেটে ফেলা হয়েছে। সে ক্রিকেটপাগল। ক্রিকেটার হতে চেয়েছিল। আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করে স্যার আমি ক্রিকেট খেলবো কীভাবে? পা নেই, কিন্তু মাথা থেকে ক্রিকেট যাচ্ছে না। এ সময় আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন প্রধান উপদেষ্টা। বলেন, যতবার দেখি এসব, ততবারই একটি প্রশ্ন মাথায় জাগে এই বাংলাদেশ আমরা বানিয়েছিলাম?

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তরুণরা অকাতরে প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছে বলেই বাংলাদেশ আজ এ পর্যায়ে এসেছে। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে দেশ গড়ার যে সুযোগ পাওয়া গেছে- এ সুযোগের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে হবে।

ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়তে হবে যাতে বিশ্বে সম্মানিত রাষ্ট্রের মর্যাদা পায়। দেশ গড়ার যে কাজ তরুণরা শুরু করেছে, সে সুযোগ কোনোভাবে নষ্ট হলে সর্বনাশ হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা।

রিমান্ড চলাকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। এমন পরিস্থিতিতে রিমান্ড শেষ না করেই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে, গত শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডি থানার মোতালেব হত্যা মামলায় তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

গত ৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত মধ্য রাতে ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে তাকে আটক করে যৌথবাহিনী। এরপর আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে ধানমন্ডির জিগাতলায় মোতালেব নামে এক কিশোর নিহতের ঘটনায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এই মামলার ২৩ নম্বর আসামি শাজাহান খান। তিনি ছাড়াও মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানসহ আওয়ামী লীগের বেশকয়েকজন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, শাজাহান খান মাদারীপুর-২ আসন থেকে টানা আটবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে প্রথমবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাদারীপুর-২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। একই আসন থেকে পরে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০০৯ সালে শাজাহান খানকে প্রথম নৌপরিবহন মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। মন্ত্রী থাকা সময় তার বিরূদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। তবে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের কারণে তিনি সবচেয়ে বিতর্কিত হন। সেসময় রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর বাসচাপা নিয়ে মন্তব্য করেন শ্রমিক ফেডারেশনের এই কার্যকরী সভাপতি।

যারা দেশ ধ্বংস করেছে তাদের পরাজিত করতে হলে, অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করতে হবে—এ মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এবি পার্টির এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা জনগণের যে মালিকানা কেড়ে নিয়েছে; তা ফিরিয়ে দিতে হবে। আগামীতে বাংলাদেশ কোন পথে যাবে- সে সিদ্ধান্ত জনগণই নেবে।

রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে সবার জন্য লেভেল-প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির তাগিদ দেন আমীর খসরু। তরুণদের প্রত্যাশা এই সরকারকে বুঝতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, যারা নতুন প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা বুঝবে না, আগামীর রাজনীতিতে তাদের ঠাঁই হবে না।

ফরমায়েশি সাজা দেয়ার নির্দেশ ছিল; হুমকি আর চাপ দেয় রাষ্ট্রযন্ত্র। কিন্তু, তিনি তা মানেননি; খালাস দিয়েছেন আসামিকে। ন্যায়বিচার নিশ্চিতে ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ফলাফল- প্রাণভয়ে দেশ ছাড়তে হয়েছে। দেশান্তরী হয়েও রক্ষা হয়নি যেন। এখন বিগত সরকারের পতনের পর দেশে ফেরার আর দেশসেবার আকুলতা তার কণ্ঠে। বলছি, বিচারপতি মোতাহের হোসেনের কথা।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অর্থ পাচার মামলায় খালাস দেয়ায়; যাকে বরণ করতে হয়েছে সীমাহীন দুর্ভোগ। কী ঘটেছিল সেসময় এনিয়ে ভার্চুয়ালি যমুনা টেলিভিশনের সাথে কথা বলেছেন অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোতাহের হোসেন অর্থ পাচার মামলায় বেকসুর খালাস দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে। সেসময়ের কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে যেন জানান দিয়েছিলেন নিজের কঠোর অবস্থানের। কেবল ন্যায়বিচার করতে গিয়ে বদলে যায় তার জীবন।

তারেক রহমানকে খালাস দেয়ায় কী হয়েছিল সেসময়? মামলার রায়ের আগেই বা কী ঘটেছিল? বিচারক মোতাহের হোসেন জানান, তিনি কখনও ছিলেন পিস্তলের মুখে। তৎকালীন আইনমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও সাবেক আইন সচিব জহিরুল হক দুলালের নির্দেশনায় ফরমায়েসী রায় ঘোষণার জন্য চাপ দেয়া হয় তাকে।

ঘটনার পূর্বের কাহিনী বর্ণনা দিতে গিয়ে ফিনল্যান্ডে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা বিচারক মোতাহের হোসেন শোনালেন ভয়ঙ্কর সেসব ঘটনা।

তিনি বলেন, তদানীন্তন ঢাকার জেলা জজ, মেট্রোপলিটন সেশন জজ তারা আমার চেম্বারে এসে হুমকি দেয়। বলে, আপনি যদি তারেক রহমানকে খালাস দিয়ে চেম্বার থেকে বের হন, তাহলে কিন্তু আপনার লাশ আর পাওয়া যাবে না। গুম হয়ে যাবেন। তৎকালীন আইনসচিব শেখ জহিরুল হক ও মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা বিকাশ কুমার সাহা (যুগ্ম সচিব) তারা নানাভাবে অস্ত্রের মুখে হুমকি দিতো আমাকে। একবার বন্দুক বের করে আমার বুকে ধরে, বলে একবার ট্রিগার চাপলে ১০টি গুলি আপনার বুক ভেদ করে চলে যাবে। আপনি তারেক রহমানকে সাজা দেবেন কিনা বলেন?

এই বিচারকের মতে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সেই মামলার স্বাক্ষ্যপ্রমাণ অনুযায়ী সাজা দেয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। কেবল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাজা দিতে, লিখিত রায়ে স্বাক্ষর করার চাপও ছিল মোতাহের হোসেনের ওপর। ব্যক্তিগতভাবে হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ, শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়ার মামলার বিচার করা এই বিচারকের কখনও সাক্ষাৎ বা আলাপ হয়নি তারেক রহমানের সাথে। শুধু দৃঢ় অবস্থান ছিল ন্যায়বিচার নিশ্চিতে।

বিচারক মোতাহের হোসেন বলেন, সরকারি স্বাক্ষী ও তদন্ত কর্মকর্তার বক্তব্য দিয়ে কোনোদিন কোনো আসামীকে দোষীসাব্যস্ত করা যায় না। তার বিপক্ষে স্বাক্ষীপ্রমাণ ছিল না। এরকম একটি মামলায় তিনি নিরীহ, তাকে প্রধানমন্ত্রী বা আইনমন্ত্রীর হুকুমে শাস্তি দেবো এটি আমার বিবেক সায় দেয়নি। আমি নিশ্চিত ছিলাম, আমি সত্য বিচার করবো ও ন্যায়সঙ্গত রায় দেবো।

তবে ফরমায়েসি রায় না দেয়ার খেসারতও দিতে হয়েছে মোতাহের হোসেনকে। দেশ ছাড়তে হয় প্রাণভয়ে। প্রথমে মালয়েশিয়া, এরপর সেখান থেকেও বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার ভয়ে পালিয়ে যেতে হয় নেপালে। আর ২০২২ সালে ছেলেকে নিয়ে আশ্রয় নেন ফিনল্যান্ডে।

বিষয়টি নিয়ে বিচারক মোতাহের হোসেন বলেন, মালয়েশিয়া থেকে ছয়জনকে গ্রেফতার করার জন্য ৩৪জন গোয়েন্দা ও চারজন মন্ত্রী দেশটিতে যায়। এই সংবাদ পাওয়ার পর আমি বাসায় না গিয়ে ৫-৭শ মাইল দূরে চলে যাই। জঙ্গলে গিয়ে ১৬ দিন বাস করি।

৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তনের পর আশাবাদী বিচারক মোতাহের হোসেন। দেশ ফিরতে চান দ্রুত সময়ে। তিনি বলেন, দেশ ছাড়ার পর আইন ও সংবিধান নিয়ে গবেষণা করছি। যদি দেশের সেবা করার ও আইন সংস্কারের কাজের সুযোগ পাই তাহলে দেশে ফিরে আবারও সেবা করতে চাই।

প্রসঙ্গত, তারেক রহমানকে খালাস দিয়ে বিচারপতি মোতাহের হোসেনের দেয়া সেই রায়ের পর ২০১৪ সালে দুদক তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে। ৮ বছর পর করে মামলাও। সম্প্রতি এই মামলা থেকে খালাস পান আলোচিত এই অবসরপ্রাপ্ত বিচারক।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাজা মওকুফ হওয়া ৫৭ বাংলাদেশির মধ্যে ১৪ জন দেশে ফিরছেন। আজ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় তাদের বহনকারী ফ্লাইটটি প্রথমে ঢাকার শাহজালাল ও পরে রাত ১০টায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে, কোটা আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে দেশটিতে বিক্ষোভ করার দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড পাওয়া ৫৭ বাংলাদেশির সাজা মওকুফ করার নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট শেখ মুহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। পাশাপাশি তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর কোথাও জানানো হয়। গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত ১৯ জুলাই কোটা আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ওই বিক্ষোভ করেন। পরে আবুধাবির ফেডারেল কোর্ট অব আপিল ৫৭ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং বাকি একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও সভা-সমাবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ। মিছিল, মিটিং বা প্রতিবাদ সমাবেশের চেষ্টা করা বা উসকানি দিলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। সতর্ক করার পরও প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিক্ষোভ করলে তাদেরকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়।

জাতীয় সংগীত পরিবর্তন নিয়ে ভাবা হচ্ছে না জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. খালিদ হোসেন বলেছেন, বিতর্ক সৃষ্টি করে এমন কিছু অন্তর্বর্তী সরকার করবে না। তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই।

শনিবার (৭ আগস্ট) সকালে রাজশাহীর ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিদর্শন ও সুধী সমাবেশে যোগদান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় স্থানীয় সাধারণ জনগণের পাশাপাশি মাদরাসা ছাত্রদের সম্পৃক্ত করে মন্দির পাহারা দেয়া হবে, যেন কোনো ধরনের হামলা বা নাশকতা না হয়। মাদরাসা ছাত্ররা কোনো জঙ্গিবাদের সঙ্গে ছিল না। এটা পূর্বের সরকারের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার।

তিনি আরও বলেন, পটপরিবর্তনের পর কিছু সনাতন ধর্মাবলম্বীর বাড়িতে যেমন হামলা হয়েছে, তেমনি মুসলমানদের বাড়িতেও হয়েছে। এটাকে ভিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই।

গণভবনকে জাদুঘর করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইসিটি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। জুলাই ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান এবং গত ১৬ বছরের আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরাচারী শাসনের চিত্র তুলে ধরতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি।

শনিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে গণভবন পরিদর্শন শেষ এসব কথা বলেন নাহিদ ইসলাম। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

নাহিদ জানান, গণভবন যেমন আছে, তেমনই থাকবে। নতুন করে যুক্ত হবে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকা আর আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার মানুষদের তালিকা।

জাদুঘর তৈরির কাজ ত্বরান্বিত করতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটিও করা হবে বলেও জানান আইসিটি উপদেষ্টা।

বিডিআর বিদ্রোহের ‘আসল রহস্য’ এখনও উন্মোচিত হয়নি বলে দাবি করেছেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ। এ ঘটনার পুনঃতদন্ত করে দোষীদের বিচারের দাবিও জানান তিনি।

আলোচিত ‘ওয়ান-ইলেভেন’র প্রধানতম চরিত্র মঈন ইউ আহমেদ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) তার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে নিজের এসব ভাষ্য তুলে ধরেন। ওই ঘটনায় এবারই প্রথম কথা বললেন বিদেশে অবস্থানরত মঈন।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দফতরে নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তখন সেনাপ্রধান ছিলেন জেনারেল (অব.) মঈন ইউ আহমেদ। 

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে মঈন ইউ আহমেদ বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় আমি যখন তদন্তের আদেশ দেই, তখন আমাকে বলা হয়, যখন সরকার এই বিষয়ে তদন্ত করছে, তখন আমাদের এর প্রয়োজনটা কী? এই তদন্ত করতে সরকারের কাছ থেকে যে সাহায্য প্রয়োজন, তা আমরা পাইনি।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছরেও প্রকৃত ঘটনা জানতে পারেনি দেশের মানুষ। হত্যাকাণ্ডটি নিয়ে বিগত বছরে শুধু সাবেক সরকারের কথা শুনতে হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা অনেক কিছুই জানা নেই। জনগণও জানতে পারেনি।

বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এই তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন করে জড়িতদের বের করতে সক্ষম হবেন এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেসময় অনেকের অসহযোগিতা এবং অনেকে জেলে থাকায় তদন্তের কাজ ঠিকভাবে করা যায়নি। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এ ঘটনার পুনঃতদন্ত করার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ১৬নং খাউলিয়া ইউনিয়নে বিএনপি। বিএনপির ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা পালিত হয়েছে , উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোরেলগঞ্জ উপজেলা বিএনপি'র যুগ্ম আহবায়ক জনাব ফকির রাসেল আল ইসলাম প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোড়েলগঞ্জ পৌর বিএনপি যুগ্ন আহবায়ক জনাব আসাদুজ্জামান মিলন , বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  বাগেরহাট জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও মোরেলগঞ্জ পৌর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জনাব আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাগেরহাট জেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম সুজন, মোড়লগঞ্জ উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি জনাব জয়নাল আবেদীন, মোরেলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল্লাহ, ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য মানিক হাওলাদার, ১৫ নং মোরেলগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান ইসলাম রাজু, উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন  ১৬ নং খাউলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট জনাব আব্দুল সালাম, অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জনাব গফ্ফার হোসেন বিএনপি নেতা ১৬ নং খাউলিয়া ইউনিয়ন।

ভারতে অবস্থানরত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কড়া বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভারতে বসে দেশ সম্পর্কে হাসিনার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বক্তব্য-বিবৃতিকে ‘অবন্ধুসুলভ’ আচরণ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ফেরত চাওয়ার আগ পর্যন্ত ভারত তাকে রাখতে চাইলে, তাকে চুপ থাকতে হবে।

গত রোববার ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেয়া এই সাক্ষাৎকারটি আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত হয়েছে।

সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। না হলে বাংলাদেশের মানুষের শান্তি হবে না। যে নৃশংসতা তিনি দেখিয়েছেন তার সমাধান বিচারের মাধ্যমেই হতে হবে।

ভারতে থেকে শেখ হাসিনার করা বিভিন্ন রাজনৈতিক মন্তব্যের সমালোচনাও করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এটি অবন্ধুসুলভ আচরণ, যা দুই দেশেই অস্বস্তি তৈরি করছে। এ সময় তিনি শেখ হাসিনাকে চুপ থাকার হুঁশিয়ারি দেন।

ড. ইউনূস বলেন, ভারতে তার অবস্থান নিয়ে কেউ স্বস্তিতে নেই। বিচারের জন্য তাকে আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই। তিনি ভারতে আছেন এবং মাঝে-মধ্যেই কথা বলছেন। এটি সমস্যাজনক। তিনি যদি চুপ থাকতেন, তাহলে আমরা তা ভুলে যেতাম। তিনি নিজের জগত নিয়ে থাকলে মানুষও তা ভুলে যেত। কিন্তু তিনি ভারতে বসে কথা বলে যাচ্ছেন এবং নির্দেশনা দিচ্ছেন। এটা কেউ পছন্দ করছে না।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।