রাজনীতি

কোটাবিরোধী আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দিতে পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি — এমন অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন। সরকার এই আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে কেনো মোকাবেলা করবে? এই আন্দোলন নিয়ে বিএনপিসহ একটি চিহ্নিত মহল অপকৌশল ও ষড়যন্ত্র করছে। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এটিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করছে।

তিনি আরও বলেন, কোটার বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। এ নিয়ে সরকারের কিছু করার নেই। চূড়ান্ত শুনানিতে আদালত সবার বক্তব্য শুনে রায় দেবেন। এ সময় জনদুর্ভোগ হয় এমন কর্মসূচি পরিহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যেতে আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক আন্দোলন করেছে। আদালতের আদেশের পর তারা ঘরে ফিরে গেছে, তবে পেশাদার আন্দোলনকারীরা ব্লকেড ব্লকেড খেলা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

শুক্রবার (১৩ জুলাই) বিকেলে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মতামত সংগ্রহ করে জনদুর্ভোগ লাঘব করে এমন একটি যৌক্তিক সমাধানে ছাত্রলীগ উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানান তিনি।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, কোটা ইস্যুটি এখন আদালতের হাতে। আদালত ‌‘স্ট্যাটাস কো’ দেওয়ার পরে মোড়ে মোড়ে ব্লকেড করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা কোনো সঠিক প্রক্রিয়া হতে পারে না। খেলা যদি মিরপুরের মাঠে হয় তবে সিলেট/চট্টগ্রামের স্টেডিয়ামে গিয়ে লাভ আছে? কোটার বিষয়টি এখন আদালতে গেছে আর এরা শাহবাগ মোড়ে বসে আছে। ব্লকেড ব্লকেড খেলা এটি কি কোনো প্রক্রিয়া?

সংবাদ সম্মেলনে, কেউ যেনো ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে, সেজন্য ডোর-টু-ডোর কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ছাত্রলীগ; শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে ভর করে একটি পক্ষ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বাধা দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

তিনি বলেন, আদালত ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রেখে সিদ্ধান্ত দিলেও একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় রয়েছে। আদালত শিক্ষার্থীদের দাবির যৌক্তিকতা বিবেচনা করেই ৪ সপ্তাহ সময় নিয়েছেন। এরপরও এই আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

কোটা আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আগামীকাল রোববার (১৪ জুলাই) গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবেন আন্দোলনকারীরা। এরপর তারা রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দেবেন। শনিবার (১৩ জুলাই) কর্মসূচি বিষয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

এ সময় জানানো হয়, আগামীকাল বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে তারা গণপদযাত্রা শুরু করবেন। এরপর তারা রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দেবেন। একই সময়ে দেশের সব জেলায় শিক্ষার্থীরা পদযাত্রা করবেন এবং সেই জেলার জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দেবেন।

আন্দোলনকারীরা বলেন, দশ দিনের আন্দোলনে দেশের কোথাও ভাঙচুর, নৈরাজ্য হয়নি। ষড়যন্ত্র করে শিক্ষার্থীদের নামে পুলিশ মামলা করেছে। যে মামলা করেছে ওই পুলিশ সদস্যকে বদলির দাবি জানান তারা। মামলাটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের আল্টিমেটামও দেন তারা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকার আন্দোলন দমনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের ছাত্র ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। শিক্ষকরা ক্লাস-পরীক্ষা নিলেও তাতে শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে না।

আন্দোলনের সমন্বয়করা বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধী না। আমরা চাই সংস্কার। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা কোটা পাক সেটি আমরাও চাই। নাতি-নাতনিরা যেন এসব কোটা না পান, সে বিষয়টি বারবার বলে আসছি।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান বলেছেন, জামায়াত-বিএনপি নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। কোটা সংস্কারের নামে তারা তাদের সন্তানদের মাঠে নামিয়েছে। এত দিন দলের ব্যানারে আন্দোলন করে সফল হতে পারেনি। এবার তারা কোটা সংস্কারের নাম নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে।

আজ শুক্রবার বিকেলে সিলেটের ওসমানীনগরে বন্যাদুর্গত ব্যক্তিদের ত্রাণসহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাইনুল হোসেন খান এ কথা বলেন। আজ বিকেল চারটার দিকে ওসমানীনগর উপজেলা সম্মেলনকক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান বলেছেন, জামায়াত-বিএনপি নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। কোটা সংস্কারের নামে তারা তাদের সন্তানদের মাঠে নামিয়েছে। এত দিন দলের ব্যানারে আন্দোলন করে সফল হতে পারেনি। এবার তারা কোটা সংস্কারের নাম নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে।

আজ শুক্রবার বিকেলে সিলেটের ওসমানীনগরে বন্যাদুর্গত ব্যক্তিদের ত্রাণসহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাইনুল হোসেন খান এ কথা বলেন। আজ বিকেল চারটার দিকে ওসমানীনগর উপজেলা সম্মেলনকক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শিক্ষার্থীদের কেবল কোটার জন্য নয়, ভোট ও গণতন্ত্রের জন্যও লড়াই করার আহ্বানও জানিয়েছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে পূর্ণতা আনতে হবে।

শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতন্ত্র মঞ্চের আলোচনা সভায় তিনি কোটা প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আর্থিক ও রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ আগেই ডুবেছে; এখন বন্যার পানিতে ডোবার অপেক্ষা।

ক্ষমতাসীনরা বাংলাদেশকে মেধাবী রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় না বলেও মন্তব্য করেন আমীর খসরু। এসময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ছাত্র-শিক্ষকদের লড়াই আরও জোরদার হবে। তার অভিযোগ, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ছাত্র আন্দোলনকে আদালতের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে সরকার।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর, চট্টগ্রাম এবং বরিশাল মহানগরে আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরবকে আহ্বায়ক ও বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ফুটবলার আমিনুল হককে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।

আর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুকে আহ্বায়ক ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ রবিনকে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।

অন্যদিকে বিএনপি নেতা এরশাদুল্লাহকে আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রদল নেতা নাজিমুর রহমানকে সদস্য সচিব করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।

এ ছাড়া বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুককে আহ্বায়ক, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়াকে সদস্য সচিব ও সাবেক ছাত্রদল নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিনকে ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক করে বরিশাল মহানগর বিএনপির তিন সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে গেল ‌১৪ জুন রাতে ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণসহ, চট্টগ্রাম ও বরিশাল মহানগরের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। একই দিন বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যেই বিএনপির নেত্রী বলেছিলেন সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হলে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হবে, সেই বিএনপি কানেক্টিভিটির মর্ম বোঝার কথা নয়। তিনি আজ বিকেলে নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। 
ভারতের সাথে কানেক্টিভিটি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর নিয়ে বিএনপির সমালোচনাকে অবান্তর উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ইউরোপে কোনো সীমান্ত চৌকি নেই। সেখানে কি দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়ে গেছে? ভারতের ওপর দিয়ে আমরা নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করছি, এতে কি ভারতের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়ে গেছে? আমরা কানেক্টিভিটি বাড়ানোর জন্য ভারতের সাথে বিভিন্ন সমঝোতা করেছি। নেপালের সাথেও কানেক্টিভিটি হবে। 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সাথেও অর্থাৎ আমরা ‘রিজিওনাল কানেক্টিভিটি’  বাড়ানোর মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি, এই কানেক্টিভিটির মর্ম বিএনপি বোঝে না, বোঝার কথাও নয়। 
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। আমদের মূল শক্তি হচ্ছে দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ও জননেত্রী শেখ হাসিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি, সাহসিকতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিচক্ষণতা, সমস্ত সংকটে অবিচল থেকে সেটিকে মোকাবিলা করা, সমস্ত প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নেতৃত্বের ক্ষমতা, দলীয় ঐক্য এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতি তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অগাধ আস্থা, বিশ্বাস, সমর্থন এবং তাদের মেধা-শ্রম-ঘামের কারণেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পরপর চারবার এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর পাঁচবার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছি।’ 
পরপর চারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কারণে কিছু নেতা-কর্মীদের মধ্যে যে আলস্য এসেছে, তা ঝেড়ে ফেলতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পশ্চিমবাংলায় বামফ্রন্ট ৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল এবং এর সবচেয়ে বড় কারণ, সংগঠন শক্তিশালী ছিল। 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের পর বিএনপি-জামাত অপশক্তি ও তাদের সাথে যুক্ত আন্তর্জাতিক চক্র উন্মুখ হয়ে বসেছিল যে সরকার আন্তর্জাতিকভাবে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হয়। এ পর্যন্ত ৮১টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান, প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ, ওআইসি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কমিশনসহ ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা শেখ হাসিনাকে পরপর চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায়  অভিনন্দন জানিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পরপর চতুর্থবার নির্বাচিত  শেখ হাসিনার সরকারের সাথে কাজের অভিপ্রায় ব্যক্ত করে চিঠি লিখেছেন। 
তিনি বলেন, “এতে সেই চক্রের বেলুন ফুস হয়ে গেছে। আর বিএনপিতে এখন ‘তারেক ভূত আতংক’ বিরাজ করছে। দলটির কর্মীরা এখন আতংকে থাকে, সকালবেলা উঠে দেখবে কি না যে পদ চলে গেছে!”
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান এমপির সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য এডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, এডভোকেট সফুরা বেগম রুমি বক্তব্য রাখেন।

গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কমিটিতে স্থান পাননি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। 

মঙ্গলবার (০২ জুলাই) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত পত্রে এই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর গাজীপুরের ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠে মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সভাপতি পদে পুনরায় অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডলকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন। 

তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। কমিটিতে ২৮ সদস্যর একটি উপদেষ্টা পরিষদও অনুমোদন দেওয়া হয়। এই কমিটির মেয়াদ থাকবে তিন বছর।’

কমিটিতে অন্যান্য পদে রয়েছেন সহসভাপতি বেগম শামসুন নাহার, মতিউর রহমান মতি, আব্দুল হাদী শামীম, রেজাউল করিম ভূঁইয়া, মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, ওসমান আলী, আসাদুর রহমান কিরণ, সফর উদ্দিন খান, শেখ আসাদুল্লাহ, হেদায়েতুল ইসলাম এবং আব্দুল আলীম মোল্লা। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন আফজাল হোসেন সরকার রিপন, কাজী ইলিয়াস আহমেদ ও এবিএম নাসির উদ্দিন নাসির।

আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালেদ হোসেন, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক নাসির উদ্দিন মোল্লা, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ফজলুর রহমান, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, দফতর সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রাসেল, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আকতার হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হালিম সরকার, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সাইজ উদ্দিন মোল্লা, বিজ্ঞান ও প্রযুত্তিবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ উল্লাহ, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক হোসনে আরা জুলি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হীরা সরকার, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান মাস্টার, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক বাছির উদ্দিন, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক সোলায়মান মিয়া।

এ ছাড়া কমিটিতে মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেলকে সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান, এস এম আলতাব হোসেন ও আব্দুল্লাহ-আল মামুন মন্ডল। উপ-দফতর সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম দ্বীপ, উপ-প্রচার সম্পাদক সালমা বেগম ও কোষাধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

কমিটির সদস্যরা হলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জাহিদ আহসান রাসেল, মেহের আফরোজ চুমকি, কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন, প্রফেসর এম এ বারী, অ্যাডভোকেট ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, আব্দুর রউফ নয়ন, এস এম মোকছেদ আলম, আবু সাহিদ খান, অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, আজিজুর রহমান শিরিশ, অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন আহম্মেদ, আব্দুর রহমান মাস্টার, আনোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলু, জাহিদ আল মামুন, ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন, আবুল কাশেম, মীর আসাদুজ্জামান (তুলা), খলিলুর রহমান, এম. এ হাজী আদম আলী, অ্যাডভোকেট আকতার হোসেন, এস এম আকরাম হোসেন, নীলিমা আক্তার লিলি, জালাল উদ্দিন, এস এম শামীম আহমেদ, খোরশেদ আলম রানা, মতিউর রহমান, অ্যাডভোকেট কামাল আহমেদ খান, সেলিম মিয়া, কবির হোসেন, আব্দুর রউফ, এইচ এম শাহজাহান মাস্টার, অরুন কুমার সাহা, কাজী সেলিম ও আলমগীর হোসেন খান। 

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ভারতকে ট্রানজিট দেওয়াতে কী ক্ষতি হবে? ট্রানজিট তো অলরেডি দেওয়া আছে। ত্রিপুরা থেকে বাস ঢাকা হয়ে কলকাতা যাচ্ছে। সেখানে ক্ষতিটা কী হচ্ছে? বরং আমরা রাস্তার ভাড়া পাচ্ছি। সুবিধা পাচ্ছে দেশের মানুষ। আমরা কিছু অর্থ উপার্জন করছি।’ বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় (বাজেট) অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

ভারতকে ট্রনিজিট দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন মহলের আপত্তি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসামের রুমালীগড় হয়ে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পার্বতীপুরে ডিপোতে তেল আসছে। সেটা নাটোর পর্যন্ত আনব। ক্ষতিটা কী হয়েছে? বরং আমরা তেলটা সস্তায় কিনতে পারছি।

 

বাংলাদেশ কেন বিচ্ছিন্ন থাকবে
এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভুটান থেকে মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ড পর্যন্ত একটি রাস্তা যাচ্ছে। সেই রাস্তাটা যাচ্ছে বাংলাদেশকে বাইপাস করে। বিশ্বব্যাপী রোড হচ্ছে সেটা থেকে বিচ্ছিন্ন বাংলাদেশ। কেন বিচ্ছিন্ন থাকব? ভারত চাচ্ছিল এ রাস্তাটা ভুটান থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারত ও মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ড যাবে। এটা হলে আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে কত সুবিধা হতো। সেটাও খালেদা জিয়া নাকচ করে দিয়েছিল। আমরা চারদিকে বন্ধ হয়ে থাকব। এই হলো তাদের (বিএনপির) অবস্থা। তিনি বলেন, নিজেদের দরজা নিজেরা বন্ধ রাখতে পারি না। সারাবিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। নেপাল, ভুটানের সঙ্গে ট্রানজিট পাওয়া গেছে ভারতের। এটা একটা দেশ না, আঞ্চলিক ট্রানজিট ও যোগাযোগ সুবিধার জন্য এটা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে এত বেশি কথা হচ্ছে তাই এগুলো বলা উচিত।

 

সংসদ নেতা বলেন, একটা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পৃথিবীটা হচ্ছে আজ গ্লোবাল ভিলেজ। একে অপরের উপর নির্ভরশীল। ব্যবসা-বাণিজ্যে যোগাযোগের দরজা বন্ধ করে থাকা যায় না। কি সর্বনাশ করা হয়েছে- এমন আক্ষেপ করে তিনি বলেন, দেশের মিয়ানমারের গ্যাসক্ষেত্রে ভারত, চীন, জাপানের বিনিয়োগ ছিল, ওই গ্যাসটা বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত নিয়ে যাবে, নিয়ে যাওয়ার সময় আমরা একটা ভাগ নেব। এটা হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাসের কোনো অভাব হতো না। খালেদা জিয়া সেটা হতে দেয়নি। কেন দেয়নি? আজকে সেই গ্যাস নিয়ে গেছে চীন। আর কোনো দেশ তো নিতে পারছে না। অথচ আমরা সেটা থেকে গ্যাস পেতাম। আমি সরকারে আসার পর অনেক চেষ্টা করেছিলাম। একটু গ্যাস আনতে পারি কিনা? কিন্তু পারলাম না।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।