রাজনীতি

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত ‘স্বৈরশাসক’ শেখ হাসিনার দলের মধ্যে ‘ফ্যাসিবাদের সমস্ত বৈশিষ্ট্য’ দৃশ্যমান এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন আর আওয়ামী লীগের ‘কোনো স্থান নেই’।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান। বুধবার ওই সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে ফিনান্সিয়াল টাইমস।

পত্রিকাটি লিখেছে, বাংলাদেশের ‘প্রাচীনতম ও বৃহত্তম’ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেওয়ার বিষয়টি সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করেছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ইউনূস।

আন্দোলন দমানোর চেষ্টায় ‘গণহত্যার’ অভিযোগে ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

তবে ইউনূস ফিনান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, তার সরকার ট্রাইব্যুনালের রায়ের আগে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর কথা ভারত সরকারকে বলবে না।

সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, “এখন বাংলাদেশে তার (শেখ হাসিনা) কোনো জায়গা নাই, এটা নিশ্চিত। আওয়ামী লীগের কোনো জায়গা বাংলাদেশে নাই।

"তারা জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করেছে, তারা রাজনৈতিক কাঠামোকে নিয়ন্ত্রণ করেছে, তারা নিজেদের স্বার্থে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোনো ফ্যাসিবাদী দলের অস্তিত্ব থাকা উচিত নয়।"

আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া হলে 
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের আয়োজনে 'গণঅভ্যুত্থান- গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র : নাগরিক বিতর্ক' শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শেখ আব্দুন নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, নির্বাচন সংস্কার কমিটির সদস্য ডা. জাহেদ উর রহমান, শ্রমজীবী নারী মৈত্রী'র সভাপতি বহ্নিশিখা জামালী, এডভোকেট তাসমিন রানা।

বক্তারা রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিয়ে কথা বলেন। জুলাই আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক - জনতার রক্তঝরা অভূতপূর্ব গণজাগরণ ও গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণে এক বিরাট সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। 

শেখ আব্দুন নূর তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, একটি বৈষম্যহীন মানবিক ও জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলার পথও উন্মুক্ত করেছে এই আন্দোলন। একবার মুক্তিযুদ্ধের পর, আরেকবার নব্বই এর গণঅভ্যুত্থানের পর এই সুযোগ তৈরী হয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের অদূরদর্শীতায় এই সুযোগ কাজে লাগানো যায়নি। এর ফল হয়েছে মারাত্মক। মানুষের অধিকার আর মুক্তির যে আকাঙ্ক্ষা জেগে উঠেছিল বারে বারে তা প্রতারিত হয়েছে, আশা হতাশায়, আর স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিনত হয়েছে। দেশের মানুষকেই এর মাশুল দিতে হয়েছে।

নূর আরো বলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাধীন দেশের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা আর সামাজিক ন্যায়বিচারের যে রাজনৈতিক দিশা নির্ধারণ করা হয়েছিল গত ৫৪ বছরে বাংলাদেশকে তার বিপরীত দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গণতন্ত্রের পরিবর্তে চরম কর্তৃত্ববাদী স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা, সাম্যের পরিবর্তে বিশাল বৈষম্য, ভোটসহ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে মানবিক মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। ক্ষমতার নামে এক ধরনের জমিদারী ব্যবস্থার পত্তন করা হয়েছিল। রাষ্ট্র ক্ষমতাকে বেশুমার লুটপাটের লাইসেন্স হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুর্বৃত্তদের অশুভ সিন্ডিকেট সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করত। অবাধ এই লুন্ঠন ও স্বেচ্ছাচারীতা চালানোর জন্য দেশের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ নষ্ট করে দেয়া হয়েছিল। এভাবে বিপুল সম্ভাবনায় দেশ ও জনগণকে অনিশ্চিত অন্ধকারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান ছিল এই মাফিয়া রাজত্বের বিরুদ্ধে ছাত্র তরুণ, শ্রমজীবী মেহনতি মানুষসহ জনগণের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। দেশের মানুষ আর আগের জমানায় ফিরতে চাইবেনা। তারা চায় সাম্যভিত্তিক বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সরকার- সংবিধান, এক মানবিক সমাজ ব্যবস্থা; যা জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকল নাগরিকের অধিকার, মর্যাদা ও সুযোগ নিশ্চিত করবে।

সংগঠনের সদস্য সচিব বাবর চৌধুরী বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদ কোন রাজনৈতিক দল নয়। একটি নীতি গবেষণা ও পর্যালোচনা প্লাটফর্ম। এই পরিষদ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার প্রাসঙ্গিক বিষয়সমূহের উপর মনোযোগ রাখবে, নীতি নির্ধারণী ইস্যু নিয়ে কাজ করবে। সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপরও মতামত গঠনের প্রচেষ্টা নেবে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ এই পরিষদের সাথে যুক্ত হতে পারবেন।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনে সার্চ কমিটি করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে সার্চ কমিটির প্রধান করা হচ্ছে। আর সদস্য হিসেবে হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানকে মনোনীত করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ কর্তৃক এ দুজন বিচারপতির নাম মনোনীত হওয়ার পর তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত সার্চ কমিটি গঠন হয়ে গেছে। হয়তো প্রজ্ঞাপনে প্রধান উপদেষ্টা স্বাক্ষরও করেছেন। আজ অথবা কালকের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। আমাদের নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু হয়ে গেছে।

সার্চ কমিটি হয়ে গেলে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে বলেও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি। জানান, এরপর ভোটার তালিকা সংশোধন করা হবে। ভুয়া নির্বাচন নয়; অসাধারণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন তিনি।

আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখাসহ বিভিন্ন নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে দুইটি রিট আবেদন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক। সোমবার (২৮ অক্টোবর) রিট দুইটির আবেদন করা হয়। রিটের নাম্বার যথাক্রমে ১২৫৯৮/২৪ ও ১২৫৯৯/২৪। রিটকারী তিন সমন্বয়ক হলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম ও হাসিবুল ইসলাম।

রিট করার বিষয়ে সারজিস আলম জানিয়েছেন, দুইটি রিট করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের অধীনে হওয়া বিগত ৩টি নির্বাচন কেন অবৈধ ঘোষনা করা হবে না এবং অবৈধভাবে প্রাপ্ত সুবিধাগুলো কেন ফিরিয়ে দেবে না সে বিষয়ে প্রথম রিট ৷ আর এর রায় না হওয়া পর্যন্ত কেন তাদেরকে সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হবে না সে বিষয়ে দ্বিতীয় রিট করা হয়েছে ৷ দল হিসেবে নিষিদ্ধ কিংবা নিবন্ধন নিষিদ্ধের কোনো কথা রিটে নেই ৷

এর আগে, গত ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি হাসিবুর রশিদ ও প্রোক্টর শরিফুল ইসলামসহ ৭ জনের নাম নতুন করে এজাহারে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বাদী পক্ষের আইনজীবী রোকনুজ্জামান জানান, গত ৯ অক্টোবর আবু সাঈদ হত্যা মামলার বাদী রমজান আলী আদালতে আরও সাতজনকে তার পূর্বের করা মামলায় নথিভুক্ত করতে আবেদন করেন। ২০ অক্টোবর শুনানি শেষে ২৪ অক্টোবর এই আদেশ দেন আদালত।

বাকি ৪ জন হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মোহাম্মদ নুরুন্নবী, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত শাহ নূর আলম পাটোয়ারী, সুরতহাল প্রস্তুতকারী এসআই তরিকুল ইসলাম এবং সুরতহাল রিপোর্টে প্রতি স্বাক্ষরকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাত।

এর আগে গত ১৯ আগস্ট পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, সাবেক পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, উপকমিশনার আল মারুফ হোসেন, সহকারী কমিশনার মো. আরিফুজ্জামান, আল ইমরান হোসেন, তাজহাট থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায়, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মশিউর রহমান ও লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মণ্ডল, প্রোক্টর অফিসের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার রায়, দফতর সম্পাদক বাবুল হোসেনসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ১৩০-১৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী।

ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই সৈয়দ আমির আলী এবং কনস্টেবল সুজনচন্দ্রকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল। এখন তারা কারাগারে আছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খাদিজা আক্তার ঊর্মি ও সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম এইচ রাকিব সরকারকে গ্রেফতার করেছে ডিবি ।

রোববার (২৭ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন বিভাগ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী ঢাবির শামসুন্নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খাদিজা আক্তার ঊর্মি ও সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম এইচ রাকিব সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঊর্মির বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

এর আগে, রোববার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের ২২০ জন সদস্যদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার অন্যতম আসামী হলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির সায়ন ও সেক্রেটারি তানভীর হাসান সৈকত।

রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে কোনো হঠকারি সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। এ বিষয়ে সাংবিধানিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে চায় বিএনপি। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (২৭ অক্টোবর) যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন কেন্দ্রীক সংস্কার করে নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। অভ্যুত্থানের ফসল যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার মির্জা ফখরুলসহ দলটির শীর্ষ নেতাদের সাথে বৈঠক করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। এ সময় রাষ্ট্রপতি অপসারণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ জানান, বিএনপি আমাদের কথা শুনেছে। দলীয় ফোরামে আলোচনার পর দলটি তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে যুবদল নেতা শামীম হাওলাদার হত্যা মামলায় সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন আর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) তাদেরকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক রাজু আহম্মেদ পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর থেকে জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন সকালে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন মোস্তাফা কামাল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ২০ জুলাই মোহাম্মদপুর থানার বেড়িবাঁধ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান শামীম হাওলাদার। এ ঘটনায় শামীমের ফুফাতো ভাই মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করেও ফলাফল বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে বিক্ষোভকারী ২৬ জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। রাজধানীর শাহবাগ থানায় হওয়া মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিক্ষোভকারী বাকি ২৮ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল বুধবার সচিবালয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করে বিক্ষোভের ঘটনায় ৫৪ জনকে আটক করা হয়েছিল। এই ঘটনায় শাহবাগ থানার মামলায় ২৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি ২৮ জনকে তাঁদের অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।