রাজনীতি

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ আদালত-৩ এর বিচারক আবু তাহের এই আদেশ দেন। এদিন আদালতে অব্যাহতির শুনানি শেষে বিচারক অব্যাহতির আদেশ দেন। আদালতে বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত অপর দুজন হলেন- সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

অন্যদিকে বিচার শুরু হওয়া আসামিরা হলেন- প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের স্ত্রী জাহানারা আনছার, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন ও এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌসচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন গ্যাটকো পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এ এস এম শাহাদত হোসেন ও বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহণ) এ এম সানোয়ার হোসেন।

রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন কোনো সাংবিধানিক সংকট নয়, দেশে এখন একটি নির্বাচন প্রয়োজন— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ছাত্রলীগকে কেবল নিষিদ্ধ করলে চলবে না, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবেও বলেও মন্তব্য করেন জয়নুল আবদিন ফারুক।

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের স্যালুট করি। কিন্তু দেশে কোনো রাজনৈতিক সংকট তৈরি করা যাবে না। সেটি চিন্তা করে আমরা সবাই কাজ করবো। পতিত সরকারের দোসসরা এখনও বহাল রয়েছে। তাদের হাতে বিভিন্ন অস্ত্র আছে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ চেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেয়া আলটিমেটামের মাঝে গতকাল বুধবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাষ্ট্রপতির পদটা সাংবিধানিক পদ। এ পদে হঠাৎ করে শূন্যতা রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক সংকটের সৃষ্টি হবে। রাষ্ট্রীয় সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে যদি গণতন্ত্র উত্তরণের পথ বিলম্বিত বা বাধাগস্ত হয় তা জাতির জন্য কাম্য নয়।

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যুতে ফ্যাসিবাদের দোসররা যেন সুযোগ নিতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে বলেও এ সময় উল্লেখ করেন বিএনপির এ নেতা।

এদিকে, গতকাল রাতে শহীদ মিনারে ডাকা জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সংবিধান বাতিল ও রাষ্ট্রপতিকে অপসারণে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উদ্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে বিএনপির এখনও নির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য আসেনি। বিক্ষিপ্ত মন্তব্য না করে নির্দিষ্টভাবে বলতে আহ্বান জানান তিনি। পরদিনই বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক এই ইস্যুতে দলটির স্পষ্ট বার্তা জানালেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করিয়া বিগত ১৫ বৎসরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এতৎসম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সকল প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হইয়াছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হইয়াছে।

এতে আরও বলা হয়, ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখ হইতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করিয়া শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করিয়াছে, আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করিয়াছে এবং
যেহেতু সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রহিয়াছে যে ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিনিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যের সহিত জড়িত রহিয়াছে; সেহেতু সরকার ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিল এবং উক্ত আইনের তফসিল-২ এ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করিল।

এই সপ্তাহের মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল সংগঠনটির দেয়া ৫ দফার একটি ছিল ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এই দাবি ঘোষণার একদিনের মাথায় ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হলো।

বাগেরহাট (মোড়লগঞ্জ) প্রতিনিধি: আজ বুধবার বাগেরহাট জেলা বিএনপি নেতা খায়রুজ্জামান শিপনকে কটুক্তি করায় জাতীয়তাবাদী তাতী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য এডভোকেট নিপা তালুকদার, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক লিটু শরীফের বিরুদ্ধে মিছিল করেছে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন বিএনপি।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে পথসভা করে ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল রহিম তালুকদার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন কাজী খায়রুজ্জামান শিপনকে নিয়ে যারা কটুক্তি করেন তারা কর্মী বিহীন নেতা আর কাজী শিপন কর্মীবান্ধব নেতা তাই তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এবং শিপন কাজী কে নিয়ে কটুক্তিমূলক বক্তব্য দেয় এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাদেরকে অবন্ত্রিত ঘোষণা করলাম।

পথসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মালেক তালুকদার, ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কাঞ্চন কাজী, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব তালুকদার, ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাদশা, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ফিরোজ শাহ ,ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুলাইমান রাজু।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে এবার রিভিউ আবেদন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির পক্ষে সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার রিভিউ আবেদনটি করেন। আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) এ রিভিউ আবেদনের পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বিষয়টি জানান।

গত ১৬ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারও রিভিউ আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে গতরাতে আন্দোলনের পর থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনে সামনে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে ছাত্র-জনতার উপস্থিতি দেখা না গেলেও কড়াকড়ি রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি।

সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা। বঙ্গভবনের সামনের বেষ্টনী ভেঙে যাতে কেউ ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে, তাই নতুন করে বসানো হযেছে তার কাটার বেড়া। সকাল থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও এখন পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের তেমন কোন জমায়েত দেখা যায়নি।

এর আগে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গভবন এলাকা ছেড়ে যায় আন্দোলনকারীরা। এ সময় বৃহস্পতিবারের মধ্যে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ নিশ্চিতের আশ্বাস দেন হাসনাত-সারজিসসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। এদিন বিকেল থেকেই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন তারা। এ সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়।

একপর্যায়ে গুলিস্তান আউটার স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে পুলিশের একটি বড় দল বঙ্গভবনের সামনে আসার চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীরা তাদের পথ আটকায়। তাদের তোপের মুখে পুলিশ পিছু হটলে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালানো হয়। এতে গাড়িতে থাকা পুলিশ সদস্যরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।

এসময় হামলার মুখে কয়েকজন পুলিশ সদস্য অস্ত্র ফেলে চলে যান। পরে আন্দোলনকারীরা অস্ত্রগুলো সেনাবাহিনীর কাছে জমা দেন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মানবজমিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এমন মন্তব্য দেশের রাজনীতিতে বেশ উত্তাপ-আলোচনার সৃষ্টি করে। এমন মন্তব্যের জেরে শিক্ষার্থীসহ অনেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করেন। একপর্যায়ে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলসহ বিভিন্ন ব্যানারে একাধিক প্লাটফর্ম আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনকারীরা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের আল্টিমেটামও ঘোষণা করেন।

এদিকে, সোমবার রাতে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি মীমাংসিত। এ বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান মো. সাহাবুদ্দিন।

৩ নভেম্বরের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূল ভবনে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচারকাজ চলবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভবনের সংস্কার কাজ পরিদর্শননে এসে একথা জানান আইন উপদেষ্টা।

এ সময়, মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির সাথে করা বৈঠক এবং রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। সংস্কার কাজ পরিদর্শনে তার সাথে ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর এডভোকেট তাজুল ইসলাম জানান, শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের গেফতারি পরোয়ানা আইজিপির কাছে পাঠানো হয়েছে ।

এর আগে, গত ১৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মামলায় পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

অন্য যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তারা হলেন– শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, দীপু মনি, আকম মোজাম্মেল হক, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, শেখ সেলিম, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলে শামস পরশ, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ মামুন, ডিবি হারুন, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার, প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, সাবেক ডিএমপি হাবিবুর রহমান, সাবেক র‌্যাব ডিজি হারুন অর রশিদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা তারেক আনাম সিদ্দিকী, বিচারপতি মানিক, ড. জাফর ইকবাল, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামসহ ৪৬ জন।

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে । বুধবার (২৩ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এই রিট দায়ের করেন।

রিটে আইন সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে রিটটির শুনানির কথা আছে।

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হইয়া কোনো ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি-(ক) উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন, অথবা (খ) সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন, তাহা হইলে সংসদে তাহার আসন শূন্য হইবে, তবে তিনি সেই কারণে পরবর্তী কোনো নির্বাচনে সংসদ-সদস্য হইবার অযোগ্য হইবেন না।’

অর্থাৎ এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে জাতীয় সংসদে স্বাধীন ভোটাধিকার সীমিত করা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদটি সংসদ সদস্যদের তাদের নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রাখে।

রিটকারী আইনজীবী জানান, এটা এর আগে দ্বিধাবিভক্ত রায় দিয়ে রিট খারিজ হয়েছিল। ষোড়শ সংশোধনী রিভিউ বাতিল হওয়ায় নতুন করে আবার রিট করেন আইনজীবী। সংবিধানের যে মৌলিক কাঠামো তার সাথে ৭০ অনুচ্ছেদ সাংঘর্ষিক।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র-জনতা ব্যানারে একাধিক প্লাটফর্ম বঙ্গভবনের সামনে কর্মসূচি পালন করছে। কর্মসূচি থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয়া হয়। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে বঙ্গভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

আন্দোলনকারীরা বলেন, রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে বসে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্র নাকি খুজেন পান না। যিনি একটি পদত্যাগপত্র সংরক্ষণ করতে পারেন না তিনি দেশকে সংরক্ষণ করতে পারবেন না। তাই আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি। আমরা জানি কীভাবে দাবি আদায় করতে হয়। প্রয়োজন হলে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ১২ ঘণ্টাতে নিয়ে আসবো।

বাহার উদ্দিন নামে একজন আন্দোলনকারী বলেন, রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত রাজপথ ছেড়ে যাব না। তিনি একজন মিথ্যাবাদী। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর। কোনও স্বৈরাচারের দোসর এই পদে থাকুক তা আমরা চাই না।

এদিকে, ইনকিলাব মঞ্চ নামের ব্যানারে আন্দোলনে আসা আরেকটি পক্ষ দ্রুত রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এরপর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।

সম্প্রতি মানবজমিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এমন মন্তব্য দেশের রাজনীতিতে বেশ উত্তাপ-আলোচনার সৃষ্টি করেছে। এমন মন্তব্যের জেরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ চাইছেন শিক্ষার্থীসহ অনেকে। যদিও গতকাল সোমবার রাতে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি মীমাংসিত। এ বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান মো. সাহাবুদ্দিন।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।