অপরাধ

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বিচারক, রাজনীতিবিদ, পুলিশ ও বেসামরিক কর্মকর্তাসহ ৬২৬ জনকে সেনানিবাসে আশ্রয় দেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ অধিদফতর (আইএসপিআর)। রোববার (১৮ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যপক অবনতি হয়। সে সময় প্রাণহানির শঙ্কায় ৫জন বিচারক, ২৪ জন রাজনীতিবিদ, ২৮ জন পুলিশের কর্মকর্তা, ৪৮৭ জন পুলিশ সদস্য, ১৯ জন বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ ১২ জন ও তাদের পরিবারর ৫১ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেয়া হয়।

এতে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ৬১৫ জন নিজ উদ্যোগে সেনানিবাস থেকে চলে যায়। এছাড়া এখন পর্যন্ত চারজনকে অভিযোগ বা মামলার ভিত্তিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে তিনজন ও তাদের পরিবারের চারজন সদস্যসহ মোট সাতজন সেনানিবাসে রয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (১৭ আগস্ট) মধ্যরাতে রাজধানীর লালবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ’র বাবা।

মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী’সহ ৯১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

এজাহারে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মতো ‘আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’এর শিক্ষার্থী খালিদ সাইফুল্লাহও অংশ নেয়।

গত ১৮ জুলাই, আসামিদের প্রত্যক্ষ মদদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শিক্ষার্থীদের উপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান খালিদ।

পরে ২০ জুলাই, হাসপাতালে তার লাশ সনাক্ত করা হয়। মামলার বাদীর অভিযোগ, মামলা নিয়ে শুরু থেকেই গড়িমসি করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

পরে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় রাত দু’টা নাগাদ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মামলার এজাহার গ্রহণ করা হয় বলে জানান বাদী কামরুল হাসান।

পলাতক শেখ হাসিনাকে দেশে এনে মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করা হবে। শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

এসময় মিনু বলেন, আওয়ামী লীগ যে লুটপাট করেছে, তার জবাব দিয়েছে ছাত্র জনতা। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে রাজশাহীতে যে তিনজন শহীদ হয়েছেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিতে শিক্ষার্থীদের হত্যার পেছনে হুকুম দাতাদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত রাজশাহীতে মামলা হবে।

আন্দোলনের সময় পুলিশের পাশাপাশি, একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যেভাবে অস্ত্র প্রদর্শন করেছে তারও বিচার হবে। বর্তমান সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে বলেও আশা করেন বিএনপি’র এই নেতা।

বিএনপি নেতাকর্মীরা কোনো বিশৃঙ্খলার মধ্যে জড়ালে, দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন মিনু। কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা দলীয় হাইকমান্ড বরদাস্ত করবে না বলেও জানান বিএনপির এই নেতা। 

সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি পাওয়া সাবেক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান আদালতে বলেছেন, গত ৭ আগস্ট রাতে আমাকে বাসা থেকে গোয়েন্দা সংস্থার একটি দল নিয়ে যায়। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ৮ দিন আয়নাঘরে বন্দি রাখা হয়।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালতে রিমান্ড শুনানিতে এ কথা বলেন জিয়াউল আহসান। এ সময় তিনি দাবি করেন, আয়নাঘর তার সৃষ্টি নয়। তিনি কোনো গুম, খুনের সাথে জড়িত নন।

জিয়াউল আহসান বলেন, যেসব ব্যক্তি আয়নাঘর থেকে বের হয়ে আসছে, তাদের কেউ বলুক আমি তাদের সেখানে রেখেছি। যেভাবে আমাকে নিয়ে দোষারোপ করা হচ্ছে, সেটা সঠিক নয়। আমি অসুস্থ। হার্টেসহ অন্যান্য সমস্যা রয়েছে।

প্যাগাসাস সফটওয়ারের বিষয়ে আদালত জানতে চাইলে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, প্যাগাসাস বলে কিছু নাই। মোবাইল ট্র্যাকিং করিনি।

আদালতে তার কথা বলা নিয়ে বিরোধিতা করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। তারা বলেন, তিনি গণহত্যার আসামি। তার কথা বলার অধিকার নেই। এর তীব্র বিরোধিতা করেন জিয়াউল আহসানের বোন অ্যাডভোকেট নাজনীন নাহার।

এরই মাঝে জিয়াউল আহসান বলেন, র‍্যাবে থাকাকালে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা জিডি হয়নি। এরপর আদালত তার ৮ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এছাড়া, তার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ সম্পর্কে আদালতকে বলেন, আন্দোলন চলাকালে যে সংস্থায় তিনি কাজ করেছেন, সেটার কোনো অস্ত্র নেই। সুতরাং গুলি চালাতে বলার প্রশ্নই ওঠে না বা সেরকম কমান্ড তিনি দেননি।

আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে জিয়াউল আহসান বলেন, নিউমার্কেট থানার যে মামলায় তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। সেই নিউমার্কেট সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ওই সময়ে তিনি যাননি।

পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী যুক্তি খন্ডন করে বলেন, গণহত্যায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে জিয়ার নাম শুরু থেকেই আছে। মোবাইলে আড়ি পেতে বিরোধী মতের সবাইকে তিনি ধরাশায়ী করেছেন। এছাড়া র‍্যাবে থাকাকালীন তিনি নিজ হাতে বহু গুম, খুন ও ক্রসফায়ার করেছেন।

হকার শাহজাহান হত্যার ঘটনায় রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা মামলায় আলোচিত সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এক খুদে বার্তায় বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা হতে জিয়াউল আহসানকে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে গ্রেফতার করা হয়।

শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর গত ৬ আগস্ট এক বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়ে জানিয়েছিল।

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের বিরোধী শিবির ও আন্দোলকারী শিক্ষার্থীরা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে ফোনে আড়িপাতা এবং গুপ্তহত্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতিকে সহযোগিতা করার অভিযোগ তুলেছিলেন।

জিয়াউল আহসান ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার। ২০০৯ সালের ৫ মার্চ র‍্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক ও একই বছর লে. কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে র‍্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক হন তিনি।

২০১৩ সালের ডিসেম্বরে তিনি কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে র‍্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি।

২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক আদেশে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্ব পান মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান।

ওএসডি হলেন সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদকে বিমানবন্দর পার করে দেয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহেদা সুলতানা। তাকে রাজশাহী রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহেদা সুলতানা র‍্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অপারেশনস) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার র‌্যাবের মহাপরিচালক জানিয়েছিলেন, তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গত ৪ মে রাত পৌনে ১২টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বেনজীরকে তুলে দেন শাহেদা সুলতানা। সিসিটিভিতে বেনজীরের কাগজপত্রসহ আগে আগে হাঁটতে দেখা যায় তাকে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাহেদা সুলতানা অনেকদিন ধরেই বেনজীর পরিবারের ঘনিষ্ঠ। বেনজীর র‍্যাব মহাপরিচালক থাকাকালে শাহেদাও র‍্যাবে কর্মরত ছিলেন। বেনজীর আইজিপি হলে শাহেদার পোস্টিং হয় আইজিপি সেকশনে। সেখানে তিনি আইজিপির স্ত্রীর প্রটোকল অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। অবসরে যাওয়ার পর আবার র‍্যাব সদর দফতরের অপারেশন উইংয়ে সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অপস) হিসেবে পোস্টিং পান শাহেদা সুলতানা। বেনজীর যখন দেশ ছেড়ে চলে যান, তখন তিনি র‍্যাবে কাজ করা সত্ত্বেও প্রভাব খাটিয়ে তাকে ইমিগ্রেশন পার হতে সাহায্য করেন।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুদকের উপপরিচালক আখতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ সিদ্ধান্ত জানান।

দুর্নীতি, অর্থপাচার ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এর আগে, মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) আসাদুজ্জামান খান কামাল, তার স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান এবং তাদের ছেলে-মেয়ের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই লোকচক্ষুর আড়ালে আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি দেশে আছেন নাকি বিদেশে, সেটিও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) অভিযোগকারী আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তদন্ত সংস্থা গতকাল বুধবার (১৪ আগস্ট) রাত থেকে তদন্ত শুরু করেছে।

এর আগে, বুধবার মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা দেয়া হয়। ট্রাইব্যুনালের ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে তদন্ত সংস্থার প্রধান কো-অডিনেটর বরাবর অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম এই আবেদন দায়ের করেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত বাগেরহাটের আরিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা মো. বুলবুল কবিরের পক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এই আবেদন করেন। একই অপরাধে ব্যক্তির পাশাপাশি দল ও সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার আর্জি জানানো হয়েছে আবেদনে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড তদন্তে জাতিসংঘের তদন্ত দল শীঘ্রই দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক। বুধবার (১৪ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে ফোনালাপে এ কথা বলেন তিনি।

বুধবার (১৪ আগস্ট) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ভলকার তুর্ককে বলেন, মানবাধিকার এবং প্রতিটি নাগরিকের সুরক্ষা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের মধ্যে থাকবে। এ সময় ড. ইউনূস দেশ পুনর্গঠন এবং মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে জাতিসংঘের সহযোগিতা চান। এছাড়া, ভলকার তুর্ক ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান বলেন, খুব শীঘ্রই জাতিসংঘের নেতৃত্বে ছাত্র বিপ্লবের সময় বিক্ষোভকারীদের হত্যার তদন্ত শুরু করা হবে। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের একটি দল তদন্ত করতে শিগগিরই বাংলাদেশে আসবে বলেও জানান তিনি।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।