বাংলাদেশ

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুককে সঙ্গে নিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে তাদের তোপের মুখে হাসপাতাল ছাড়লেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।

আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) এ ঘটনা ঘটে।

সকালে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকসহ নিটোরে আহতদের দেখতে আসেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। এ সময় প্রোটকলে থাকা এক দায়িত্বরত ব্যক্তির বিরুদ্ধে রোগীকে ধাক্কা দেয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর শুরু হয় হট্টগোল। এ সময় জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অর্থ না পাওয়ারও অভিযোগ তোলেন অনেকে।

তোপের মুখে তখন দ্রুত হাসপাতাল ছাড়ার চেষ্টা করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার। তবে বিক্ষোভকারীরা তাদের গাড়ি ঘিরে ধরেন। একপর্যায়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের সহযোগিতায় তারা হাসপাতাল থেকে চলে যান। এরপর নিটোরের গেট বন্ধ করে রাস্তায় অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। এতে যানজট দেখা দেয়।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আগের মতোই বড় পরিসরে একুশে বইমেলা করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে এমন একটা ন্যারেশন দাঁড় করাতে হবে, যেখানে সব ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি মেলবন্ধনের চিত্র উঠে আসে। কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে গুম, খুন, দুর্নীতি করেছিল পতিত স্বৈরাচার সরকার, সে বিষয়টিও তুলে ধরবে অন্তর্বর্তী সরকার।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আরও বলেন, নাট্যকর্মীদেরও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আর ঘুমিয়ে থাকবে না।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষকে দেয়া চিঠিতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বলে, গত ২১ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণেই অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ আয়োজন করতে হবে। ৬ নভেম্বর গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অধিশাখা-৩ থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়। সে ক্ষেত্রে আগামী বইমেলার আয়োজন কোথায় হবে, তা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা চলেছে বলে গণমাধ্যমে আসে।

বিষয়টি নিয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, রিপোর্ট হওয়ার আগে থেকে আমরা এটা নিয়ে কাজ করছিলাম। গণপূর্ত উপদেষ্টার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমাদের সচিব সাহেব গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন। এটার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জড়িত রয়েছে, সেই মন্ত্রণালয় সচিবের সঙ্গেও কথা বলেছেন। আমি এটুকু বলতে পারি যে আমরা একটা পজিটিভ আউটকামের দিকে যাচ্ছি। আশা করা যায় বইমেলা যেখানে হতো সেখানেই হবে এবং সুন্দর আয়োজনে হবে। কোনো ঝামেলা হবে না।

দেশ ধ্বংস করার পরেও শেখ হাসিনার কোন অনুশোচনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বললেন, ফের দেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্রে মেতে আছেন তিনি।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কোষাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান জাপানের রুহের মাগফেরাত কামনায় আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার মানসিকতাই সন্ত্রাসী মানসিকতার। এজন্য পাশের দেশ থেকে মাঝেমধ্যে হুংকার দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় নুর হোসেন দিবসেও দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রিজভী বলেন, সংস্কার দীর্ঘ মেয়াদি না হলে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রের ফন্দিফিকির হতে পারে। আবারও যেন ফ্যাসিবাদী শাসনের পুনরুত্থান না হয় সে বিষয়ে দেশের মানুষকে সোচ্চার থাকার আহ্বানও জানান তিনি।

এসময় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ইস্যুতে বলেন, ভেবেছিলাম বঙ্গভবনের যেখানে সব রাষ্ট্রপতির ছবি থাকে, সেখান থেকে ছবিটি সরানো হয়েছে। এজন্য সেটা নিয়ে বিরোধিতা করেছিলাম।

মাদরাসাগুলোতে কোন কারিকুলামে পড়াচ্ছে সেটা সরকারের নিয়ন্ত্রনে বা তত্ত্বাবধায়নে নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে জাতীয় শিক্ষা একাডেমির এক গবেষণা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, প্রাইমারি থেকে মাদরাসায় শিক্ষার্থীরা মাইগ্রেট হওয়ার পেছনে মাদরাসাকে অভিভাবকরা নিরাপদ মনে করেন। এজন্য বেশিরভাগ সময় প্রাইমারি থেকে শিক্ষার্থীরা ঝড়ে পড়ছে। এছাড়া শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার আরও একটা কারণ হচ্ছে অর্থনৈতিক অবস্থা।

উপদেষ্টা জানান, প্রাইমারি পর্যায়ই একটি শিশুকে শিক্ষা ও জ্ঞানের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে। সে জায়গাটিতে জোর দেয়ার আহ্বান জানান গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।

তিনি আরও বলেন, এখন ১৫০ উপজেলার স্কুলে মিড ডে মিল চালু করা হবে। পরে পর্যায়ক্রমে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিড ডে মিলের ব্যবস্থা করা হবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এলে তা সরাসরি তদন্ত করতে চায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। পাশাপাশি সমন জারির পরও কেউ হাজির না হলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করার ক্ষমতাও চায় কমিশন। আজ মঙ্গলবার এমন কিছু বিষয় যুক্ত করে বর্তমান আইনটি সংশোধনের জন্য লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছে কমিশন।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) মানবাধিকার কমিশনের সভা শেষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি তদন্তের এখতিয়ার পেতে মানবাধিকার কমিশন আইনের ১৮ ধারা বাতিলের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তাছাড়া, কমিশনের চেয়ারপারসন ও কমিশনারদের নিয়োগের জন্য বাছাই কমিটির সদস্য সংখ্যা ৯ জন করার প্রস্তাব দেয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কমিশনের সদস্যদের বাছাইয়ের জন্য কমিটিতে প্রধান বিচারপতির মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি ও স্পিকার মনোনীত সুশীল সমাজের একজন প্রতিনিধি রাখার সুপারিশও করা হয়েছে।

বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও ছাত্র আন্দোলনের নেতা মাহফুজ আলম আজ সোমবার (১১ নভেম্বর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন।

মাহফুজ আলম লিখেছেন, ’৭১-পরবর্তী ফ্যাসিস্ট নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দরবার হল থেকে সরানো হয়েছে। আমাদের জন্য লজ্জার যে, আমরা ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তার ছবি সরাতে পারিনি। ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু মানুষের মধ্যে জুলাইয়ের চেতনা বেঁচে থাকা পর্যন্ত তাকে কোথাও দেখা যাবে না।

তিনি আরও লিখেন, শেখ মুজিব ও তার মেয়ে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে যা করেছেন, তার জন্য আওয়ামী লীগকে অবশ্যই দায়স্বীকার করতে হবে, ক্ষমা চাইতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে— অগণতান্ত্রিক ’৭২-এর সংবিধান থেকে শুরু করে দুর্ভিক্ষ, হাজার হাজার কোটি অর্থ পাচার, হাজার হাজার ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধীদের বিচারবহির্ভূত হত্যা (১৯৭২-১৯৭৫, ২০০৯-২০২৪)। তাহলেই আমরা ’৭১-এর আগের শেখ মুজিবের কথা বলতে পারি। ক্ষমা প্রার্থনা ও ফ্যাসিস্টদের বিচার ছাড়া কোনো ধরনের পুনর্মিলন হবে না।

মাহফুজ আলম তার ফেসবুক পোস্টে একটি ছবি-ও যুক্ত করেছেন। তাতে তাকে দরবার হলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তিনি যে জায়গায় দাঁড়িয়ে ছবিটি তুলেছেন, সেখানকার দেয়ালে আগে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছিল। আর আজ যে ছবিটি পোস্ট করেছেন, সেখানে শেখ মুজিবের ছবি দেখা যায়নি।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হন আকিজ-বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশিরউদ্দীন, চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও মাহফুজ আলম।

তাদের শপথ অনুষ্ঠানের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, দরবার হলে যে স্থানে উপদেষ্টারা শপথ নিচ্ছেন, এর ঠিক পেছনেই শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টাঙানো। পরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়।

পোস্টের নিচে করা মন্তব্যের জবাবও দিয়েছেন এ উপদেষ্টা। ওয়াহিদ উজ জামান নামের একজন লিখেন, ভাই এইটা কি ছেলেভুলানো কাজ হলো না? যদি মুজিববাদীরা উপদেষ্টার গদিতেই থাকে তাহলে মুজিবের ছবি সরিয়ে কী লাভ? জবাবে মাহফুজ আলম বলেন, আমি কাউকে ভুলাচ্ছি না। আমি আমার গিল্ট (অপরাধবোধ) থেকে মুক্ত হলাম।

মাহফুজ আলম তার পোস্টের কমেন্ট বক্সে একটি ছবি-ও যুক্ত করেছেন। ওই ছবিতেও তাকে দরবার হলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। যে জায়গায় দাঁড়িয়ে ছবিটি তোলা হয়েছে সেখানকার দেয়ালে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ছবি রয়েছে।

দেয়ালে টাঙানো এই তিন নেতার ছবির সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা নিয়ে মাহফুজ আলম লিখেন, সত্যিকারের এবং গণতান্ত্রিক পূর্বপুরুষদের সাথে।

পুরো বাজার প্রক্রিয়াই একটা চ্যালেঞ্জ, তবে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন নয় বলেন মন্তব্য করেছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। বলেন, বাজারে কেউ কেউ কৃত্রিম দাম বাড়াতে চায়, তবে সেটাকে কঠোর হাতে দমন করা হবে বলেও জানান তিনি

সোমবার (১১ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানান খাদ্য উপদেষ্টা। তিন বলেন, গেল কয়েক মাস দেশ একটি ভিন্নরকম পরিবেশের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। এক সরকারের পতন হয়ে নতুন সরকার গঠন করার এই সময় কিছুটা অস্থিতিশীল থাকে সবখানেই। সেই প্রভাবে চালের দাম বেড়ে গিয়েছিল। সেটা এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।

নির্বাচন ইস্যুতে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সরকারের বোঝাপড়া ডায়ালগে আছে। নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো যতই বলুক সরকার চাপহীনভাবে কাজ করছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও করেছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত ভাবে হস্তান্তর না করা হলে কঠোর কর্মসুচীর হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

সোমবার (১১ নভেম্বর) ১১টার একই দাবিতে সকাল থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসুচী পালন করছিলো শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর ২টার পর শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের মূল প্রবেশ পেটের সামনে অবস্থান নিলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সচিবালয়ের ভেতর আটকা পড়েন সবাই। ফলে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার পাঁচটি মুখে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবি হলো– শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া ‘দুর্নীতিবাজ প্রকল্প পরিচালক’কে আইনের আওতায় আনা এবং সাত দিনের মধ্যে প্রকল্প পরিচালক হিসাবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ দিতে হবে; শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে এমন ঘোষণা আসতে হবে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল); অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সব অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।

এদিকে, গত ৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড সংযোগ এবং অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি সুবিধা দেওয়ার জন্য অর্থ সংস্থান নিশ্চিত করতে হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্প সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে ইউজিসি। এই প্রস্তাবনার অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পাইলট প্রকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। তবে জবি শিক্ষার্থীদের দাবি, পাইলট প্রজেক্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়েই শুরু করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় তিনজনকে বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রোববার (১০ নভেম্বর) রাতে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে।

তিনজন বিশেষ সহকারী হলেন—পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) খোদা বকশ চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক সায়েদুর রহমান এবং অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

তিনজন নতুন উপদেষ্টার শপথ গ্রহণের পরে বিশেষ সহকারীদের নিয়োগ দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করবেন। রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬ এর অধীনে তাদের ওই সব মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। বিশেষ সহকারী পদে থাকাকালে তারা প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।

অন্তর্বর্তী সরকারে নতুন করে ৩ উপদেষ্টা শপথ নেয়ার পর আবারও দফতর পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। রোববার (১০ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পেয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ; মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়; সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগে তার দায়িত্বে ছিল, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়; সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ; খাদ্য মন্ত্রণালয়; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

সালেহ উদ্দিন আহমেদের দায়িত্বে ছিল অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, তিনি পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়।

ড. আসিফ নজরুলের দায়িত্বে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রাণালয়; প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ছিলো। তবে তার দায়িত্বের জায়গা কমেছে তিনি এখন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রাণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালযয়ের দায়িত্ব পালন করবেন।

উপদেষ্টা হাসান আরিফ পেয়েছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; এবং ভূমি মন্ত্রণালয়। এখন তিনি পেয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংযুক্ত ছিলেন তিনি পেয়েছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে তিনি পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়; এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তিনি পেয়েছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

এ ছাড়াও, শেখ বশিরউদ্দীন পেয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়; এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় আর মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পেয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।