বাংলাদেশ

নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে আমদানি করা জলবিদ্যুতে ঝুঁকছে বাংলাদেশ। সরকারের এই অবস্থান স্পষ্ট করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আনতে কাজ করছে সরকার।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৯) শেষে এসব কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, জলবিদ্যুতের জন্য দক্ষিণ এশীয় গ্রিড তৈরির ওপর জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। নেপালের পাশাপাশি ভুটান থেকেও আমদানির সম্ভাবনা উজ্জ্বল। তবে সে জন্য লাগবে ভারতের অনাপত্তি।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দক্ষিণ এশীয় গ্রিড করার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি, দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে সার্ককে কার্যকর করাও ডক্টর ইউনূসের কূটনীতির অগ্রাধিকার।

বাংলাদেশ ও নেপালের দূরত্ব কমবেশি ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। গ্রিড হলে নেপালের জলবিদ্যুৎ সহজলভ্য হবে। বাংলাদেশ বর্তমানে ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ পায়।

রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জুলাই বিপ্লবে আহতদের ৫ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে আহতদের দেখতে গিয়ে দলটির পক্ষ থেকে এ অনুদান প্রদান করা হয়।

হাসপাতাল পরিদর্শনে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এসময় তারা আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবরও নেন।

পরে সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, কিছু মানুষের চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। তাদের দ্রুত বিদেশে পাঠানোর দাবি জানান তিনি।

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সব আহত ও শহীদ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে বলেও জানান তিনি। এসময়, ফ্যাসিবাদী শক্তি কীভাবে মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়ায়, কীভাবে রাজনীতি করতে চায় এমন প্রশ্নও তোলেন সালাহ উদ্দিন।

আইন করে কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ে দায়মুক্তি দেয়া অবৈধ ছিলো বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

হাইকোর্ট বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধিতে বিশেষ আইন ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি দেয়া হয়। এছাড়া ক্রয় সংক্রান্ত ৬ ধারা অনুযায়ী মন্ত্রীকে একক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়। যা সম্পূর্ণ অবৈধ।

কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলের শুনানি শেষে গত ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রায়ের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. শাহদীন মালিক। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সিনথিয়া ফরিদ।

গত ২ সেপ্টেম্বর কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধিতে করা বিশেষ বিধান কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর আগে, কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি এবং ক্রয় সংক্রান্ত ৬ (২) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী।

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ছয় হাজারের বেশি অবৈধ অস্ত্র এবং প্রায় ২ লাখ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে আড়াই হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস-এ আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ ইন্তেখাব হায়দার খান।

দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদান করতে তিনি জানান, এই মুহূর্তে দেশের ৬২টি জেলায় সেনাসদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকার, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন সংস্থা, গণমাধ্যম ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

কর্নেল স্টাফ ইন্তেখাব হায়দার বলেন, সারাদেশে সাতশর বেশি বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে সেনাবাহিনী। যার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত ঘটনা ছিল ১৪১টি, সরকারি সংস্থা বা অফিস সংক্রান্ত ৮৬টি, রাজনৈতিক কোন্দল ৯৮টি এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ৩৮৮টি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সময়মতো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে অনেক অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ও বহু মানুষের জানমালের ক্ষতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে।

এছাড়াও অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার, বিভিন্ন অপরাধী ও নাশকতামূলক কাজের ইন্ধনদাতা ও পরিকল্পনাকারীদের গ্রেফতার কার্যক্রমে সেনাবাহিনী সক্রিয় রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ইন্তেখাব হায়দার খান। তিনি বলেন, যৌথ অভিযানে ৭০০ জনের বেশি মাদক ব্যবসায়ী অথবা মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, ফেনসিডিল, মদ, গাঁজাসহ অন্যান্য অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে যারা আহত হয়েছেন সেনাবাহিনী তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে বলে উল্লেখ করেন সেনা কর্মকর্তা ইন্তেখাব হায়দার খান। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ২৯৫ জনকে দেশের বিভিন্ন সিএমএইচে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৩ জন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মানবাধিকার লঙ্ঘন বা বিচারবহির্ভূত হত্যা প্রতিরোধের ব্যাপারে সেনাবাহিনী অত্যন্ত সচেতন জানিয়ে কর্নেল স্টাফ ইন্তেখাব আরও বলেন, এ বিষয়ে তাদের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নির্দিষ্ট আদেশ রয়েছে, যেকোনো ধরনের পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী যেন বিচারবহির্ভূত হত্যা সংঘটিত হতে না দেয়। তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে এটা প্রতিরোধ করার। বিচার বহিভূর্ত হত্যা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে সেনাবাহিনী সর্তক অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিন মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত দুজনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে ময়মনসিংহের পৃথক পৃথক স্থান থেকে তাদের মরদেহ তোলা হয়।

এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর ভাটিকাশর কবরস্থান থেকে শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মাহিনের মরদেহ তোলা হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে রাজউক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারায় মাহিন। গত ২১ আগস্ট তার বাবা জামিল হোসেন উত্তরা পশ্চিম থানায় শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের নাম ও অজ্ঞাত পরিচয় ৬০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।

অন্যদিকে এদিন সকাল ১০টার দিকে নগরের কালীবাড়ি কবরস্থান থেকে নাজমুল ইসলাম রাজুর মরদেহ উত্তোলন করা হয়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের খবরে আনন্দ মিছিলে অংশ নিতে গিয়ে উত্তরা পূর্ব থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন পোশাককর্মী নাজমুল।

তার মৃত্যুর ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলা করেন ছোট ভাই রেজাউল। ২৫ আগস্ট থানায় করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।

আদালতের আদেশে মাহিনের মরদেহ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ আল ইমরান। তার উপস্থিতিতে দাফনের ৩ মাস ৭ দিন পর মাহিনের মরদেহ উত্তোলন করা হলো। অন্যদিকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এসএম নাজমুস ছালেহীনের উপস্থিতিতে দাফনের ৩ মাস ৬ দিন পর নাজমুলের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। মরদেহ কবর থেকে তোলার সময় সিআইডি, থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুককে সঙ্গে নিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে তাদের তোপের মুখে হাসপাতাল ছাড়লেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।

আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) এ ঘটনা ঘটে।

সকালে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকসহ নিটোরে আহতদের দেখতে আসেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। এ সময় প্রোটকলে থাকা এক দায়িত্বরত ব্যক্তির বিরুদ্ধে রোগীকে ধাক্কা দেয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর শুরু হয় হট্টগোল। এ সময় জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অর্থ না পাওয়ারও অভিযোগ তোলেন অনেকে।

তোপের মুখে তখন দ্রুত হাসপাতাল ছাড়ার চেষ্টা করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার। তবে বিক্ষোভকারীরা তাদের গাড়ি ঘিরে ধরেন। একপর্যায়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের সহযোগিতায় তারা হাসপাতাল থেকে চলে যান। এরপর নিটোরের গেট বন্ধ করে রাস্তায় অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। এতে যানজট দেখা দেয়।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আগের মতোই বড় পরিসরে একুশে বইমেলা করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে এমন একটা ন্যারেশন দাঁড় করাতে হবে, যেখানে সব ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি মেলবন্ধনের চিত্র উঠে আসে। কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে গুম, খুন, দুর্নীতি করেছিল পতিত স্বৈরাচার সরকার, সে বিষয়টিও তুলে ধরবে অন্তর্বর্তী সরকার।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আরও বলেন, নাট্যকর্মীদেরও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আর ঘুমিয়ে থাকবে না।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষকে দেয়া চিঠিতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বলে, গত ২১ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণেই অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ আয়োজন করতে হবে। ৬ নভেম্বর গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অধিশাখা-৩ থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়। সে ক্ষেত্রে আগামী বইমেলার আয়োজন কোথায় হবে, তা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা চলেছে বলে গণমাধ্যমে আসে।

বিষয়টি নিয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, রিপোর্ট হওয়ার আগে থেকে আমরা এটা নিয়ে কাজ করছিলাম। গণপূর্ত উপদেষ্টার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমাদের সচিব সাহেব গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন। এটার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জড়িত রয়েছে, সেই মন্ত্রণালয় সচিবের সঙ্গেও কথা বলেছেন। আমি এটুকু বলতে পারি যে আমরা একটা পজিটিভ আউটকামের দিকে যাচ্ছি। আশা করা যায় বইমেলা যেখানে হতো সেখানেই হবে এবং সুন্দর আয়োজনে হবে। কোনো ঝামেলা হবে না।

দেশ ধ্বংস করার পরেও শেখ হাসিনার কোন অনুশোচনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বললেন, ফের দেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্রে মেতে আছেন তিনি।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কোষাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান জাপানের রুহের মাগফেরাত কামনায় আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার মানসিকতাই সন্ত্রাসী মানসিকতার। এজন্য পাশের দেশ থেকে মাঝেমধ্যে হুংকার দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় নুর হোসেন দিবসেও দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রিজভী বলেন, সংস্কার দীর্ঘ মেয়াদি না হলে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রের ফন্দিফিকির হতে পারে। আবারও যেন ফ্যাসিবাদী শাসনের পুনরুত্থান না হয় সে বিষয়ে দেশের মানুষকে সোচ্চার থাকার আহ্বানও জানান তিনি।

এসময় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ইস্যুতে বলেন, ভেবেছিলাম বঙ্গভবনের যেখানে সব রাষ্ট্রপতির ছবি থাকে, সেখান থেকে ছবিটি সরানো হয়েছে। এজন্য সেটা নিয়ে বিরোধিতা করেছিলাম।

মাদরাসাগুলোতে কোন কারিকুলামে পড়াচ্ছে সেটা সরকারের নিয়ন্ত্রনে বা তত্ত্বাবধায়নে নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে জাতীয় শিক্ষা একাডেমির এক গবেষণা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, প্রাইমারি থেকে মাদরাসায় শিক্ষার্থীরা মাইগ্রেট হওয়ার পেছনে মাদরাসাকে অভিভাবকরা নিরাপদ মনে করেন। এজন্য বেশিরভাগ সময় প্রাইমারি থেকে শিক্ষার্থীরা ঝড়ে পড়ছে। এছাড়া শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার আরও একটা কারণ হচ্ছে অর্থনৈতিক অবস্থা।

উপদেষ্টা জানান, প্রাইমারি পর্যায়ই একটি শিশুকে শিক্ষা ও জ্ঞানের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে। সে জায়গাটিতে জোর দেয়ার আহ্বান জানান গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।

তিনি আরও বলেন, এখন ১৫০ উপজেলার স্কুলে মিড ডে মিল চালু করা হবে। পরে পর্যায়ক্রমে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিড ডে মিলের ব্যবস্থা করা হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।