বাংলাদেশ

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এলে তা সরাসরি তদন্ত করতে চায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। পাশাপাশি সমন জারির পরও কেউ হাজির না হলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করার ক্ষমতাও চায় কমিশন। আজ মঙ্গলবার এমন কিছু বিষয় যুক্ত করে বর্তমান আইনটি সংশোধনের জন্য লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছে কমিশন।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) মানবাধিকার কমিশনের সভা শেষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি তদন্তের এখতিয়ার পেতে মানবাধিকার কমিশন আইনের ১৮ ধারা বাতিলের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তাছাড়া, কমিশনের চেয়ারপারসন ও কমিশনারদের নিয়োগের জন্য বাছাই কমিটির সদস্য সংখ্যা ৯ জন করার প্রস্তাব দেয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কমিশনের সদস্যদের বাছাইয়ের জন্য কমিটিতে প্রধান বিচারপতির মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি ও স্পিকার মনোনীত সুশীল সমাজের একজন প্রতিনিধি রাখার সুপারিশও করা হয়েছে।

বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও ছাত্র আন্দোলনের নেতা মাহফুজ আলম আজ সোমবার (১১ নভেম্বর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন।

মাহফুজ আলম লিখেছেন, ’৭১-পরবর্তী ফ্যাসিস্ট নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দরবার হল থেকে সরানো হয়েছে। আমাদের জন্য লজ্জার যে, আমরা ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তার ছবি সরাতে পারিনি। ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু মানুষের মধ্যে জুলাইয়ের চেতনা বেঁচে থাকা পর্যন্ত তাকে কোথাও দেখা যাবে না।

তিনি আরও লিখেন, শেখ মুজিব ও তার মেয়ে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে যা করেছেন, তার জন্য আওয়ামী লীগকে অবশ্যই দায়স্বীকার করতে হবে, ক্ষমা চাইতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে— অগণতান্ত্রিক ’৭২-এর সংবিধান থেকে শুরু করে দুর্ভিক্ষ, হাজার হাজার কোটি অর্থ পাচার, হাজার হাজার ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধীদের বিচারবহির্ভূত হত্যা (১৯৭২-১৯৭৫, ২০০৯-২০২৪)। তাহলেই আমরা ’৭১-এর আগের শেখ মুজিবের কথা বলতে পারি। ক্ষমা প্রার্থনা ও ফ্যাসিস্টদের বিচার ছাড়া কোনো ধরনের পুনর্মিলন হবে না।

মাহফুজ আলম তার ফেসবুক পোস্টে একটি ছবি-ও যুক্ত করেছেন। তাতে তাকে দরবার হলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তিনি যে জায়গায় দাঁড়িয়ে ছবিটি তুলেছেন, সেখানকার দেয়ালে আগে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছিল। আর আজ যে ছবিটি পোস্ট করেছেন, সেখানে শেখ মুজিবের ছবি দেখা যায়নি।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হন আকিজ-বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশিরউদ্দীন, চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও মাহফুজ আলম।

তাদের শপথ অনুষ্ঠানের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, দরবার হলে যে স্থানে উপদেষ্টারা শপথ নিচ্ছেন, এর ঠিক পেছনেই শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টাঙানো। পরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়।

পোস্টের নিচে করা মন্তব্যের জবাবও দিয়েছেন এ উপদেষ্টা। ওয়াহিদ উজ জামান নামের একজন লিখেন, ভাই এইটা কি ছেলেভুলানো কাজ হলো না? যদি মুজিববাদীরা উপদেষ্টার গদিতেই থাকে তাহলে মুজিবের ছবি সরিয়ে কী লাভ? জবাবে মাহফুজ আলম বলেন, আমি কাউকে ভুলাচ্ছি না। আমি আমার গিল্ট (অপরাধবোধ) থেকে মুক্ত হলাম।

মাহফুজ আলম তার পোস্টের কমেন্ট বক্সে একটি ছবি-ও যুক্ত করেছেন। ওই ছবিতেও তাকে দরবার হলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। যে জায়গায় দাঁড়িয়ে ছবিটি তোলা হয়েছে সেখানকার দেয়ালে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ছবি রয়েছে।

দেয়ালে টাঙানো এই তিন নেতার ছবির সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা নিয়ে মাহফুজ আলম লিখেন, সত্যিকারের এবং গণতান্ত্রিক পূর্বপুরুষদের সাথে।

পুরো বাজার প্রক্রিয়াই একটা চ্যালেঞ্জ, তবে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন নয় বলেন মন্তব্য করেছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। বলেন, বাজারে কেউ কেউ কৃত্রিম দাম বাড়াতে চায়, তবে সেটাকে কঠোর হাতে দমন করা হবে বলেও জানান তিনি

সোমবার (১১ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানান খাদ্য উপদেষ্টা। তিন বলেন, গেল কয়েক মাস দেশ একটি ভিন্নরকম পরিবেশের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। এক সরকারের পতন হয়ে নতুন সরকার গঠন করার এই সময় কিছুটা অস্থিতিশীল থাকে সবখানেই। সেই প্রভাবে চালের দাম বেড়ে গিয়েছিল। সেটা এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।

নির্বাচন ইস্যুতে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সরকারের বোঝাপড়া ডায়ালগে আছে। নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো যতই বলুক সরকার চাপহীনভাবে কাজ করছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও করেছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত ভাবে হস্তান্তর না করা হলে কঠোর কর্মসুচীর হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

সোমবার (১১ নভেম্বর) ১১টার একই দাবিতে সকাল থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসুচী পালন করছিলো শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর ২টার পর শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের মূল প্রবেশ পেটের সামনে অবস্থান নিলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সচিবালয়ের ভেতর আটকা পড়েন সবাই। ফলে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার পাঁচটি মুখে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবি হলো– শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া ‘দুর্নীতিবাজ প্রকল্প পরিচালক’কে আইনের আওতায় আনা এবং সাত দিনের মধ্যে প্রকল্প পরিচালক হিসাবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ দিতে হবে; শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে এমন ঘোষণা আসতে হবে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল); অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সব অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।

এদিকে, গত ৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড সংযোগ এবং অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি সুবিধা দেওয়ার জন্য অর্থ সংস্থান নিশ্চিত করতে হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্প সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে ইউজিসি। এই প্রস্তাবনার অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পাইলট প্রকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। তবে জবি শিক্ষার্থীদের দাবি, পাইলট প্রজেক্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়েই শুরু করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় তিনজনকে বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রোববার (১০ নভেম্বর) রাতে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে।

তিনজন বিশেষ সহকারী হলেন—পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) খোদা বকশ চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক সায়েদুর রহমান এবং অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

তিনজন নতুন উপদেষ্টার শপথ গ্রহণের পরে বিশেষ সহকারীদের নিয়োগ দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করবেন। রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬ এর অধীনে তাদের ওই সব মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। বিশেষ সহকারী পদে থাকাকালে তারা প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।

অন্তর্বর্তী সরকারে নতুন করে ৩ উপদেষ্টা শপথ নেয়ার পর আবারও দফতর পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। রোববার (১০ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পেয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ; মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়; সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগে তার দায়িত্বে ছিল, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়; সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ; খাদ্য মন্ত্রণালয়; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

সালেহ উদ্দিন আহমেদের দায়িত্বে ছিল অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, তিনি পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়।

ড. আসিফ নজরুলের দায়িত্বে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রাণালয়; প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ছিলো। তবে তার দায়িত্বের জায়গা কমেছে তিনি এখন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রাণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালযয়ের দায়িত্ব পালন করবেন।

উপদেষ্টা হাসান আরিফ পেয়েছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; এবং ভূমি মন্ত্রণালয়। এখন তিনি পেয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংযুক্ত ছিলেন তিনি পেয়েছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে তিনি পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়; এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তিনি পেয়েছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

এ ছাড়াও, শেখ বশিরউদ্দীন পেয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়; এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় আর মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পেয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু ও জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের দলীয় পদের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার (১০ নভেম্বর) বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২১ আগষ্ট বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদের প্রাথমিক সদস্য পদসহ বিএনপির সকল পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছিলো। আজ তার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২১ আগষ্ট বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক পদসহ বিএনপির সকল পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছিল। আজ তার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এর আগে, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের পথসভা আয়োজনকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের নগরকান্দায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত হন। আহত হয় অন্তত ২০ জন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের দলের সমস্ত পদ স্থগিত করে বিএনপি।

ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে শেখ হাসিনা। তাই আমাদের সতর্কতার সাথে চলতে হবে— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (৯ নভেম্বর) জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার সুযোগ এসেছে। তবে পতিত স্বৈরাচাররা এখনও নতুন করে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। তাদের সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়েই বিএনপির জন্ম নিয়েছিল। এই বিপ্লবের মাধ্যমেই জিয়াউর রহমান জাতির সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন। এরপর অল্প সময়ের মধ্যেই রাজনীতি ও অর্থনীতির গুনগত পরিবর্তন করেন। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিয়ে আসেন।

দেশের ভেতর আওয়ামী লীগের সভা, সমাবেশ এমনকি কোনো ধরনের মিছিল করার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আগামীকাল রোববার (১০ নভেম্বরর) রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ প্রসঙ্গে আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৮ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে তিনি এ কথা জানান।

ফেসবুক পোস্টে প্রেস সচিব লিখেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী দল। বাংলাদেশে প্রতিবাদ করার মতো দলটির কোনো সুযোগ নেই। গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নির্দেশে কেউ সভা, সমাবেশ ও মিছিলের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা কঠোরভাবে মোকাবেলা করবে।

অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সহিংসতা বা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভঙ্গের প্রচেষ্টাকে বরদাস্ত করবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন শফিকুল আলম।

এদিকে, আগামীকাল বিকেল ৩টায় গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে নেতাকর্মীদের জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দিতে হবে। তিন মাসে এই সরকার অনেক কাজ করেছে, সংস্কারের জন্য অনেক কমিশন করেছে, ফ্যাসিবাদের বিচারের উদ্যেগ নিয়েছে। এই সুযোগ আমাদের হাতছাড়া করা যাবে না।

শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনও সংস্কার অর্থবহ হবে না, আর তা হতে হবে সংসদীয় ব্যবস্থায়, সেজন্য নির্বাচন দরকার। বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক কথার কারণে ফ্যাসিবাদীরা ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পাচ্ছে, কোনও কোনও মিডিয়া সেটিকে আবার প্রমোট করছে, এটা বন্ধ করতে হবে।

তরুণ-যুবকরাই দেশের ভবিষ্যৎ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বয়স্কদের অভিজ্ঞতার সাথে যুবকদের শক্তি, সাহসকে এক করে দেশের কাজে লাগাতে হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।