বাংলাদেশ

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তে বেনজীরের অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য মিলেছে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম। রোববার (২৮ জুলাই) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের দ্বৈত বেঞ্চে এ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।

খুরশিদ আলম বলেন, অস্বাভাবিক লেনদেনের বিষয়টি দুদকের অনুসন্ধানকারী দল খতিয়ে দেখছে। পাশাপাশি দেশের বাহিরে আরও কিছু রয়েছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৩ এপ্রিল বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে দুদককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এক্ষেত্রে অনুসন্ধানের অগ্রগতির দুই মাস পর হলফনামা আকারে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত ২৩ মে দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বেনজীর আহমেদের ৮৩টি দলিলের সম্পত্তি ও ২৭টি ব্যাংকের ৩৩টি আকাউন্ট জব্দের (ক্রোক) নির্দেশ দেয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরে ২৬ মে একই আদালত তিনি ও তার স্ত্রী এবং তিন সন্তানের আরও ১১৯টি স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জব্দেরও নির্দেশ দেন।

এর আগে, গত ২৫ এপ্রিল বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নগদ অর্থের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে চিঠি দেয় দুদক। এছাড়া, এফডিআর, সঞ্চয়পত্রসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য চেয়ে জয়েন্ট স্টক, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরেও চিঠি দেয় সংস্থাটি।

এদিকে, বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের নামে থাকা বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট (বিও) স্থগিত করার নির্দেশও দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে, তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র‍্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র‍্যাব এবং র‍্যাবের সাবেক ও বর্তমান যে সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাদের মধ্যে বেনজীর আহমেদের নামও ছিল। তখন তিনি আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে কতজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন তা নিরূপণে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। পুলিশের সাথে সংঘর্ষে নিহত বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর উত্তরার বাসায় শনিবার (২৭ জুলাই) গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি প্রায় এক ঘণ্টা নিহতের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে নিহত প্রতিটি ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে। যারা এর সাথে জড়িত তাদের সবার বিচার করা হবে। সহিংসতায় নিহতদের পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ সময় তাদের সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই রাজধানীতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের সাথে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এদিন বিকেলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে প্রাণ হারান মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। ওইদিন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মুগ্ধের সাথে ছিলেন তার বন্ধু নাইমুর রহমান আশিক।

নাইমুর রহমান আশিক বলেন, ওইদিন মুগ্ধ গুলিবিদ্ধ হওয়ার কয়েকমিনিট আগে আমি ওর ছবি তুলে দিয়েছিলাম। এরপর কিছুক্ষণ পরেই মাথায় গুলি লাগে মুগ্ধর। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মুগ্ধের বড় ভাই দীপ্ত বলেন, মুগ্ধ পানি ও বিস্কুট আন্দোলনরতদের মাঝে বিতরণ করছিল। এ সময় হঠাৎ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় সে।

মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধ বলেন, মুগ্ধর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পাইলট হওয়ার ইচ্ছে ছিল। কোনো কারণে সেটি হতে পারেনি। এটিই সবসময় মনে পড়বে।

জনগণের জানমাল রক্ষায় হওয়া হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করলে পুলিশ হত্যারও প্রতিবাদ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী। যারা এক পক্ষের হত্যার প্রতিবাদ করছেন তারা বরং প্রকান্তরে হত্যারই সমর্থন দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

শনিবার (২৭ জুলাই) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক গোলটেবিল আলোচনায় গণপূর্তমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।

এ সময় তিনি বলেন, ছাত্রদের দাবি মেনে সরকার কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করেছে। তারপরও আন্দোলন অব্যাহত রাখার কী দরকার, এমন প্রশ্ন তোলেন র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী।

গণপূর্তমন্ত্রী আরও বলেন, হত্যার বিচার দাবি করলে এজন্য সময় দিতে হবে। এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সময় নয় বলেও মনে করেন তিনি।

জনগণের প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানাবে, এমনটা প্রত্যাশা করেছিলেন বলে জানান র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী।

কোটা আন্দোলনে সংহতি দেখাতে গিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আটক ও সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশিদের নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনটাই জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।

শনিবার (২৭ জুলাই) গণমাধ্যমে দেয়া এক বার্তায় এই তথ্য জানান তিনি। তিনি বলেন, এ বিষয় ঘিরে আর কোন প্রবাসী যেন সমস্যায় না পড়েন সে বিষয়ে দূতাবাসগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকার প্রবাসীদের সুরক্ষা নিশ্চিতের বিষয়ে বদ্ধপরিকর বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

এ সময় তিনি প্রবাসীদের বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন থাকারও আহ্বান জানান। বিদেশে প্রবাসীদের সামগ্রীক জীবন-যাপন নিরাপদ করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

আগামীকাল রোববার (২৮ জুলাই) থেকে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) পর্যন্ত ঢাকাসহ ৪ জেলায় সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এছাড়া, বাকি জেলাগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন জেলা প্রশাসক।

শনিবার (২৭ জুলাই) রাতে ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থতির উন্নতি হওয়ায় কারফিউ শিথিলের সময় কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। খুব দ্রুত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নতি হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, যারা আন্দোলন করেছে এবং আন্দোলনকে নাশকতার দিকে নিয়ে গেছে, তারা কেউ সহিংসতার দায় এড়াতে পারে না। এ সময় দ্রুত আন্দোলন প্রত্যাহারের আহ্বানও জানান তিনি।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরও দুই সমন্বয়ককে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তারা হলেন সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। এ নিয়ে এই আন্দোলনের মোট ৫ সমন্বয়ক ডিবির হেফাজতে গেলেন।

শনিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় সারজিস ও হাসনাতকে ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়। এর আগে শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকালে তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে ডিবি হেফাজতে নিয়ে যায় ডিবি। গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

ডিবির হেফাজতে থাকা কোটা সংস্কার আন্দোলনের এই পাঁচ সমন্বয়কই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে নাহিদ ইসলাম সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। আসিফ মাহমুদ ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আর আবু বাকের ভূতত্ত্ব বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। নতুন করে হেফাজতে নেওয়া সারজিস আলম প্রাণিবিদ্যা বিভাগের আর হাসনাত আবদুল্লাহ ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আলোচনার প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে সরকার। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে সংসদ ভবন এলাকায় ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান আইনমন্ত্রী। এ সময় সরকারের উচ্চপদস্থ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষার্থীদের আলোচনার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘তারা যখন বসতে রাজি হয়, তখনই বসা হবে।’ দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠকটি আজ বিকেলে হতে পারে বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে।

আর কোটা ইস্যুর বিষয়টি দেশের সর্বোচ্চ আদালতে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, কোটা নিয়ে আপিল বিভাগে আগামী ৭ আগস্ট শুনানির দিন নির্ধারিত আছে। শুনানির সময় এগিয়ে আনতে আমাকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এজন্য আগামী রোববার আদালতে আবেদন করতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন চলাকালে বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় হাইকোর্টের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে দিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী।

আনিসুল হক এ সময় আরও বলেন, আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য হচ্ছে কোটা সংস্কার করা। আমরাও (সরকার) এর পক্ষে আছি। তাই শিক্ষার্থীদের আহ্বান তারা যেন তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার বা স্থগিত করেন।

রাজধানীর মিরপুরে কোটা সংস্কার ইস্যুতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরের পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আগুন ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডের ধোঁয়া কুণ্ডলি পাকিয়ে উপরের দিকে উঠে রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিনত করে মিরপুর-১০ কে।। গোল চত্বরের ঠিক ওপরে অবস্থিত মেট্রোরেলের লাইন। সেখানেও ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে ওঠে।

এর আগে, সকাল ১১টার দিকে সেখানে শিক্ষার্থী ও পুলিশ মুখোমুখি অবস্থানে ছিল। দুপুর একটার পর তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। মিরপুরের শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও আশপাশের শিক্ষার্থীরা মিরপুর-১০ গোল চত্বরে এসে অবস্থান নেন।

একই সময় একটি সমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠান করছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পুলিশ ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়লে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। কিছু সময় পর পুনরায় বিভিন্ন অলিগলি দিয়ে সেখানে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। একপর্যায় পুলিশ সেখান থেকে পিছু হাটে। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে।

উল্লেখ্য, ঢাকাসহ সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলছে। এ কর্মসূচি ঘিরে সকালে উত্তরায় প্রথম সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর রাজধানীজুড়ে তা ছড়িয়ে পড়ে।

অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালসহ যারা শিক্ষার্থীদের দাবির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ও আজীবন নিষিদ্ধ করেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনকারীদের শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার (১৬ জুলাই) গণমাধ্যমের কাছে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে মুহম্মদ জাফর ইকবালের করা একটি লিখিত মন্তব্য নিয়ে আলোচনা শুরর পর এ সিদ্ধান্ত নিলেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা। ওই চিঠিতে জাফর ইকবাল বলেছিলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার বিশ্ববিদ্যালয়, আমার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে আমি মনে হয় আর কোনোদিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চাইবো না। ছাত্র-ছাত্রীদের দেখলেই মনে হবে, এরাই হয়তো সেই রাজাকার। আর যে কয়দিন বেঁচে আছি, আমি কোনো রাজাকারের মুখ দেখতে চাই না। একটাই তো জীবন। সেই জীবনে আবার কেন নতুন করে রাজাকারদের দেখতে হবে?’

আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শিক্ষার্থীদের আজ বিকেল ৩টার মধ্যে হল ত্যাগেরও নির্দেশ দেয়া হয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।