বাংলাদেশ

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে হত্যা, গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, তারিক আহমেদ সিদ্দিকীসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর এ অভিযোগ দায়ের করেন হেফাজত ইসলামের নেতা জুনায়েদ আল হাবিব।

এর আগে, মুফতি হারুন ইজহারের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। যাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক এমপি হাজী সেলিম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহমেদ, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, নির্মূল কমিটির সদস্য অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার ও এনএসআইয়ের মো. মনজুর আহমেদ।

জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগের মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর (৩৮) জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে এই আদেশ দেন।

গতকাল সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে তাকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন রাতে তাকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আদালতে হাজির করা হয়।

গত ৩১ অক্টোবর বিএনপি নেতা ফিরোজ খান (পরে বহিষ্কৃত) বাদী হয়ে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হওয়ার পর নগরের নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্টে স্তম্ভের ওপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে, যা এখনও সেখানে রয়েছে। ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে লালদীঘির মাঠে একটি মহাসমাবেশ হয়। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো মানুষ ওই সমাবেশে যোগ দেন। ওইদিন চন্দন কুমার ধরসহ ৯ জন আসামির ইন্ধনে বাকি আসামিরা নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্ট স্তম্ভ ও আশপাশে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে সেখানে স্থাপন করে দেয়। এ নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

৪৩ থেকে ৪৭ তম বিসিএসের মাধ্যমে ১৮ হাজার ১৪৯ জনকে নিয়োগ দেবে সরকার। এর মধ্যে ১২ হাজার ৭৯০ জনকে ক্যাডার এবং ৫ হাজার ৪৩৯ জনকে নন ক্যাডার পদে নিয়োগ দেয়া হবে। রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রশাসন সচিব মোখলেস ঊর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ৪৬ তম বিসিএস থেকে সর্বোচ্চ চার হাজারেরও বেশি নিয়োগ দেয়া হবে। গেজেট ম্প্রকাশের পর সমালোচনার কারণে ৪৩ তম বিসিএসের ফলাফল যাচাই-বাছাই করছে পিএসসি। তাছাড়া, ৪৪ তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা পুনরায় নেয়া হবে। পাশাপাশি ৪৫ তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনরায় তৃতীয় পরীক্ষক দিয়ে মূল্যায়ন করা হবে। এ সময় দ্রুতই ৪৭তম বিসিএসের সার্কুলার প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, আদালতের রায় অনুযায়ী নতুন চাকরির ক্ষেত্রে কোটা বাস্তবায়ন করা হবে। উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব পদে প্রমোশনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসকদের ফিটলিস্ট নতুন করে তৈরি করা হবে। পাশাপাশি অতিরিক্ত সচিবদের গ্রেড ওয়ান দেয়া হবে। যাতে তারা স্বস্তি নিয়ে অবসরে যেতে পারবেন। এ সময় বিধি অনুযায়ী অন্য ক্যাডারদের পদোন্নতি দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী জমা দেয়ার সময় এক মাস বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছরের সম্পদ বিবরণী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জমা দেয়ার কথা থাকলেও আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা জমা দেয়া যাবে।

আজ রোববার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।

তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়ে সার্কুলার ইস্যু করব। গত ১৬ বছরে কেউ সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেয়নি। কীভাবে এটা জমা দিতে হবে, তা অনেকেই বুঝতে পারছেন না। এ জন্য সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে, প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হিসাব বিবরণী দেয়ার কথা থাকলেও এ বছর তা ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দিতে বলেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছিল, সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের বিবরণীর তথ্য গোপনীয়তার স্বার্থে সিলগালা করা খামে কর্তৃপক্ষ বরাবর দাখিল করতে হবে।

দুর্নীতির লাগাম টানতে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯, যা ২০০২–এ সংশোধনী এনে সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী পাঁচ বছর পরপর দেয়ার বিধান করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ১ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকারি কর্মচারীদেরকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশনা দেয়া হয়।

এদিকে, আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় আরও এক মাস বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন জমা দিতে পারবেন করদাতারা। রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন নির্ধারিত ছিল ৩০ নভেম্বর। ব্যবসায়ী ও করদাতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সময় বৃদ্ধি করা হয়।

গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের দেয়ালে স্বৈরাচার বিরোধী গ্রাফিতি মুছে ফেলা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনা। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীরা এসব গ্রাফিতি আঁকে শহরের দেয়ালে দেয়ালে। তবে অভিযোগ ওঠে ইচ্ছাকৃতভাবে এসব মুছে ফেলেছে কেউ।

তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ এরইমধ্যে জানিয়েছে তাদের অবস্থান। গ্রাফিতি মুছে যাওয়াকে সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত হিসেবে উল্লেখ করেছে গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল। এক বিবৃবিতে জানানো হয়, সরকারি সংস্কারের কাজের ফলে ঘটেছে এমন ঘটনা। বলা হয়, এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের বিদ্যালয়ের শিখার্থীরা যে অনুভূতি নিয়ে গ্রাফিতিগুলো অংকন করেছিল, আমাদের সেই শিক্ষার্থীরাই তা পুনারায় অংকন করুক। আমরা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সবরকম সহযোগিতা করবো।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গ্রাফিটি মুছে ফেলা নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করে বলছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে এগুলো কেউ মুছে ফেলেছে। তিনি বলেন, যে বা যারা এগুলো মুছে ফেলছে, তারা কখনও শিক্ষার্থীদের মন থেকে মুছতে পারবে না।

বিদেশে বসে শেখ হাসিনা গুজব ছড়িয়ে দুর্বৃত্তদের উস্কানি দিচ্ছে। ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্যই গত পনেরো বছর পুলিশ দিয়ে হত্যা ও নির্যাতন চালানো হয়েছে— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী রিকশা, ভ্যান ও অটোচালক দলের বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এখনও বঞ্চিত হচ্ছে। আন্দোলনে ছিল এমন পরিচয়ে কিছু মানুষ সব পদ দখল করে নিচ্ছে। আন্দোলনে হতাহতদের মাসিক ভাতা ও ভরনপোষণের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যারা শেয়ারবাজার ও ব্যাংক লুট করেছে তারা এখন তা ভোগ করবেন। কারাগারের সালমান এফ রহমান বহাল তবিয়তে রয়েছেন। ৯০ শতাংশ গার্মেন্টস আওয়ামীদের হওয়ায় সেখানে নৈরাজ্য চলছে।

নির্বাচন কমিশন গঠন হয়ে গেছে। এখন সরকার ধাপে ধাপে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এশিয়ান আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

হাসান আরিফ বলেন, যারা নির্বাচন কমিশনে এসেছেন তারা সবাই অভিজ্ঞ। এই নির্বাচন কমিশন ভালো একটি নির্বাচন উপহার দিতে পারবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে কাজ চলছে। আন্তর্জাতিক পর্যটকরা এদেশে সম্পূর্ণ নিরাপদ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে, শুক্রবার দুপুরে গাজীপুরে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন হাসান আরিফ। সে সময় ভারতে ভিসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারত ভিসা দেবে না দেবে না এটা তাদের ব্যাপার। সেটি নিয়ে আমাদের কোন বক্তব্য নেই।

সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে ছাত্র-জনতার কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকার কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস হলে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরসূরীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন– বীর মুক্তিযোদ্ধারাই দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। কারণ, তাদের জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ, আহত ও জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তার মাধ্যমে বাংলাদেশকে পৃথিবীর সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

ড. ইউনূস বলেন, নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সব মানুষকে একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। পরিবারে মতভেদ থাকবে, বাকবিতণ্ডা থাকবে কিন্তু আমরা কেউ কারও শত্রু হবো না। কাউকে তার মতের জন্য শত্রু মনে করবো না। কাউকে ধর্মের কারণে শত্রু মনে করবো না। আমরা সবাই সমান। এই সরকার সাম্য ও মানবিকতার ভিত্তিতে দেশ গড়তে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মানবিক ও কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে সমাদৃত। আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখবো। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি পারস্পরিক সম্মান, আস্থা, বিশ্বাস ও সহযোগিতা। জলবায়ু সংকট মোকাবিলা এবং বৈশ্বিক শান্তি ও অর্থনীতি সুসংহত করতে আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।