বাংলাদেশ

কৌশলগত অংশীদারিত্ব থেকে ‘ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশদারিত্বে’ উন্নীত হতে ২১টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি এবং ৭টি ঘোষণাপত্র সই করেছে বাংলাদেশ ও চীন। এর মধ্যে ২টি সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হয়েছে।

বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে বেইজিংয়ের ‘গ্রেট হল অব দ্য পিপল’ এ সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে এসব চুক্তি-সমঝোতা এবং ঘোষণাপত্র সই হয়। চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সইয়ের আগে গ্রেট হলে দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন লি কিয়াং এবং শেখ হাসিনা।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও দুই দেশের মধ্যেকার ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতাসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রী চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই, ঘোষণাপত্র সই এবং দলিল হস্তান্তর প্রত্যক্ষ করেন।

এর আগে, সকালে গ্রেট হলে পৌঁছালে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। এখানে শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অভ্যর্থনা জানিয়ে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

পাবনা সংবাদপত্র মালিক গ্রুপ এর প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। 
৮ (জুলাই)  সোমবার  রাত ৮ টার সময় আল-আকসা মার্কেট ২য় তালায় মোঃ সোহেল রানা বিল্পব এর সভাপতিত্বে ও ইমরুল হাসান রন্টি সঞ্চালনয় পাবনা সংবাদপত্র মালিক গ্রুপ এর প্রধান কার্যালয়  উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ- কমিটির সদস্য  ও টেলিভিশন এন্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সভাপতি আরশাদ আদনান (রনি)। 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন দৈনিক এযুগের দীপ পত্রিকার  সম্পাদক ওমর সরকার, দৈনিক জীবন কথা পত্রিকার সম্পাদক এ এস এম আব্দুল্লাহ, দৈনিক সিনসা পত্রিকার সম্পাদক এস এম মাহবুবুল আলম, দৈনিক বিবৃত পত্রিকার  নির্বাহী সম্পাদক কাজী মোর্শেদ বাবলা, আনন্দ টেলিভিশনের পাবনা জেলা প্রতিনিধি (পূর্ব)  ও বাংলা ৭১ পাবনা জেলা প্রতিনিধি নবী নেওয়াজ, দৈনিক জনবাণী পাবনা জেলা প্রতিনিধি পলাশ হোসেন, দৈনিক মুক্তি সমাচার পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মোমিন, আমার সংবাদ পাবনা জেলা প্রতিনিধি সফিক ইসলাম, এশিয়ান টেলিভিশনের পাবনা জেলা প্রতিনিধি ফজলুল হক, দৈনিক আমার বার্তা পাবনা জেলা প্রতিনিধি রবিউল রনি, দৈনিক খোলা কাগজ পাবনা জেলা প্রতিনিধি হুমায়ুন কবির, দৈনিক পাবনার চেতনা নির্বাহী সম্পাদক এস এম আদনান উদ্দিন, দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শিশির ইসলাম, এশিয়ান টিভি জেলা সংবাদদাতা ফজলুল হক,দৈনিক স্বতঃকন্ঠ বার্তা সম্পাদক শিউলি আক্তার, দৈনিক পাবনার আলো এর রেহেনা আক্তার,আনন্দ টিভির সেলিম মোর্শেদ রানা, চ্যানেল এস এর সুলভ খান, সাংবাদিক জিম খান,  সাংবাদিক রাজিব জোয়ার্দার সহ অনেকে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, সকলের জন্য মঙ্গলজনক সমাধানের বিষয়ে দেশের সরকারপ্রধান সজাগ রয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের কোটা পুনর্বহাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা জানান।

কোটার বিষয়ে তিনি বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীসহ সকলকে নিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। কোটা বিচারাধীন বিষয়। আদালত নিশ্চয়ই এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবে।

শিক্ষকদের আন্দোলনের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যয়’ স্কিমে শিক্ষকদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হবে না। যদিও আন্দোলন তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে আন্দোলন করে বিশ্ববিদ্যালয় অচল করা ঠিক হবে না।

‘নৈপুণ্য অ্যাপ, জাতীয় পাঠ্যক্রম পোর্টাল ও বিষয়ভিত্তিক অনলাইন ট্রেনিং কার্যক্রমে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে নতুন পাঠ্যক্রম প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষকদের মানসিকতা পরিবর্তন না হলে কখনোই তারা প্রশিক্ষিত হতে পারবেন না। নিজেদের চেষ্টা থাকতে হবে। এ সময়, সরকার দশম শ্রেনী পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট ক্রোক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

সোমবার দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

দুদক সচিব বলেন, বেনজীর আহমেদের গুলশানের চারটি ফ্ল্যাটের সমন্বয়ে যে ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট রয়েছে, সেটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমাদের একজন কর্মকর্তাকে রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে। আজ ঢাকা জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ও দুদকের একজন পরিচালকসহ একটি টিম বাড়িটির সবকিছুর ইনভেনটরি (তালিকা) করে ডুপ্লেক্সটি সিলগালা করে। পরে সেগুলো তারা কমিশনে জমা দেবেন।

এর আগে গতকাল রোববার বেনজীরের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বাংলো বাড়ি ক্রোক করা হয়। এছাড়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বেনজীর, তার স্ত্রী জিশান মীর্জা ও তিন মেয়ের নামে থাকা গোপালগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্ট, বান্দরবান ও সেন্টমার্টিনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১১৩টি দলিলে তাদের নামে থাকা ৭০২ বিঘা জমি, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ২৫টি কোম্পানির বিনিয়োগ ক্রোক ও জব্দ করেছে দুদক।

গত ৩০ জুন বেনজীরের স্ত্রী–কন্যাদের নামে থাকা গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাটের তালা খুলতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের আবেদন করে দুদক। সংস্থাটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন। এর আগে ৬ জুন ফ্ল্যাট চারটি ক্রোক করার আদেশ দেন মহানগর বিশেষ জজ আদালত।

তবে দুদকের দুই দফা তলবে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যরা সাড়া দেয়নি। তৃতীয়বার তলবের আইনি সুযোগ না থাকায় গত ২ জুলাই বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মীর্জা, বড় কন্যা ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর ও মেজো কন্যা তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে থাকা স্থাবর–অস্থাবর সম্পদের তথ্য চেয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয় সংস্থাটি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ২০ থেকে ২২টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

গতকাল রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই সফরকালে অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাতে সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল অর্থনীতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা,ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি ও দুদেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগের সমঝোতা স্মারকগুলো সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

চার দিনের দ্বিপক্ষীয় সফরে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটের দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইট (বিজি-১৭০১) প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফর সঙ্গীদের নিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। চীনা প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা এ সফরে যাচ্ছেন।

চীনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টায় বেইজিং ক্যাপিটেল ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীর পৌঁছানোর কথা।

১১ জুলাই পর্যন্ত বেইজিংয়ে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। ১০ জুলাই চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক এবং চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক করবেন তিনি

টানা অষ্টম দিনে গড়াল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি। ফলে অচলাবস্থা বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে ১ জুলাই থেকে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একযোগে এই সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন। এই কর্মসূচির কারণে তালা ঝুলছে শ্রেণিকক্ষ ও অফিসে। এ কারণে ক্লাস, পরীক্ষা হচ্ছে না। প্রশাসনিক ভবনেও কোনো কাজ হচ্ছে না।

আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল, বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা–কর্মচারীর অংশগ্রহণে একটি বড় মিছিল হয়েছে। মিছিলটি ক্যাম্পাস ঘুরে মিছিলকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের (প্রশাসনিক) সামনে অবস্থান নিয়েছেন। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে শিক্ষকেরা জমায়েত হচ্ছেন। প্রতিদিন দুপুরে তাঁরা এখানে জমায়েত হয়ে বেশ কিছু সময় অবস্থান করেন। সেখানে বক্তব্য দিয়ে নিজেদের দাবির কথা তুলে ধরেন।

এ রকম পরিস্থিতি বেশি দিন চললে উচ্চশিক্ষার পুরোনো ব্যাধি সেশনজট আবার তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনা বা বৈঠক হওয়ার খবর আছে কি না, জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক ভুঁইয়া আজ প্রথম আলোকে বলেন, যোগাযোগ চলছে। তবে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

রয়ে গেছে। সংস্থাটির পরিকল্পনা ঘাটতির কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছরের ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ১৫৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি চট্টগ্রাম নগরের ‘মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী-সিডিএ এক্সপ্রেসওয়ে’-এর উদ্বোধন করেছিলেন।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ২০২০ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দুই দফা সময় বৃদ্ধি করে মেয়াদ চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছিল। এ সময়ে প্রকল্পের ব্যয় ১ হাজার ৪৮ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। কিন্তু বর্ধিত সময়েও কাজ শেষ করতে পারেনি সিডিএ। এখন আরেক দফা সময় বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছরের জুন পর্যন্ত করার জন্য আবেদন করেছে সংস্থাটি। 

চালুর জন্য প্রস্তুত চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। সম্প্রতি লালখানবাজার এলাকায়জুয়েল শীল

উদ্বোধনের সাড়ে সাত মাস পরও যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি চট্টগ্রাম নগরের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত নির্মিত এই এক্সপ্রেসওয়ে গাড়ি চলাচলে আরও অন্তত দুই মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা। অর্থাৎ আগস্ট মাসে গাড়ি চলাচল শুরু হবে, এমনটা বলছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বর ও চলতি বছরের মার্চে গাড়ি চলাচল শুরুর কথা জানিয়েছিল সংস্থাটি। 

সিডিএ জানায়, মূল অবকাঠামোর নির্মাণকাজ শেষ হলেও নিরাপত্তা ও সুরক্ষার কিছু কাজ এখনো বাকি রয়ে গেছে। সংস্থাটির পরিকল্পনা ঘাটতির কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছরের ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ১৫৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি চট্টগ্রাম নগরের ‘মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী-সিডিএ এক্সপ্রেসওয়ে’-এর উদ্বোধন করেছিলেন।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ২০২০ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দুই দফা সময় বৃদ্ধি করে মেয়াদ চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছিল। এ সময়ে প্রকল্পের ব্যয় ১ হাজার ৪৮ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। কিন্তু বর্ধিত সময়েও কাজ শেষ করতে পারেনি সিডিএ। এখন আরেক দফা সময় বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছরের জুন পর্যন্ত করার জন্য আবেদন করেছে সংস্থাটি। 

সিডিএ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক্সপ্রেসওয়ের মূল অবকাঠামোর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে গত এপ্রিলে। তখন থেকে যান চলাচলের উপযোগী হয়ে যায় এক্সপ্রেসওয়ে। কিন্তু সড়কবাতি, ক্লোজড সার্কিট টিভি (সিসিটিভি) ক্যামেরা স্থাপনের কাজ বাকি রয়েছে। 

এলিভেটেডে এক্সপ্রেসওয়ের মূল উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুমোদনের সময় টোল আদায়ের বিষয়টি উল্লেখ ছিল। কিন্তু মূল অবকাঠামো নির্মাণের জন্য দরপত্র দিলেও সেখানে টোল প্লাজার বিষয়টি উল্লেখ ছিল না। ছিল না সড়কবাতি ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজও। নির্মাণকাজের শেষ পর্যায়ে এসে গত বছরের এপ্রিলে এক্সপ্রেসওয়ের র‍্যাম্প নির্মাণ এবং টোল প্লাজা স্থাপনের জন্য দরপত্র দিয়েছিল। কিন্তু টোল প্লাজা স্থাপনের দরপত্র বাতিল হয়ে যায়। টোল প্লাজার জন্য আবার নতুন করে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দরপত্র আহ্বান করে সিডিএ। 

সিডিএর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান র‍্যাঙ্কিন লিমিটেড। 

টানা পঞ্চম দিনের মতো বন্ধ রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরণের একাডেমিক কার্যক্রম। এতে সেশনজটের আশঙ্কা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৭ জুলাই) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনের সামনে শিক্ষকদের পূর্বনির্ধারিত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষকরা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান একাডেমিক অচলাবস্থার দায় কোনোভাবেই শিক্ষকরা নেবে না। এ দায় আমরা এককভাবে সরকারকেও দিতে চাই না। সরকারের যে মন্ত্রণালয় ও বিভাগ পেনশন সংক্রান্ত এ বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থার জন্য তারাই দায়ী।

 

রাবি শিক্ষ সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক সরকার জানান, এটি শুধু শিক্ষকদের নয়, শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা ও সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদার আন্দোলন। আমরা বাধ্য হয়েই সর্বাত্মক আন্দোলনের মতো কঠোর কর্মসূচি পালন করছি। তবে আমাদের দাবি পূরণ হয়ে গেলে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের এ ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে বিবৃতি প্রদান, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, মানববন্ধন, প্রতীকী কর্মবিরতি, স্মারকলিপি প্রদান এবং অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় গত ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অর্ধদিবস এবং ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হয়। এছাড়াও ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।

 

পড়াশোনা বাদ দিয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৭ জুলাই) বেলা পৌনে ১১টার দিকে গণভবনে যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, কোটা বাতিলের আন্দোলন হচ্ছে। কোটা বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ে বহাল হয়েছে। পড়াশোনা বাদ দিয়ে ছেলে-মেয়েরা আন্দোলন করছে। এর কোনো যৌক্তিকতা নেই।

সার্বজনীন পেনশন স্কিমের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিবিদসহ সবার সার্বজনীন পেনশন স্কিমে যুক্ত হওয়া দরকার। 

বিএনপি সমাজের বোঝা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের সন্ত্রাসী চেহারা মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। বিএনপি-জামায়াত যেন আর ক্ষমতায় ফিরতে না পারে, সেজন্য মানুষকে সচেতন থাকতে হবে।

বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় যেভাবে নিযার্তন করেছে তা নিন্দারও যোগ্য নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, দলটি ভোট চুরি করে মাত্র দেড় মাস টিকেছিল। গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ২০০১ সালে ক্ষমতায় গিয়েছিল বিএনপি। ভোট চুরির অবপাদে ২ বার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে তারা।

অনুষ্ঠানে যুব মহিলা লীগের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সমন্বিত উন্নয়ন উদ্যোগ, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ অবকাঠামো নির্মাণ এবং জ্বালানি সরবরাহের সক্ষমতা বৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চীনের কাছ থেকে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সহযোগিতা চাইতে পারে বাংলাদেশ।

এরমধ্যে দেশের চলমান রিজার্ভ সংকট মোকাবিলায় ৫ বিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তা এবং ১২টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাকি ১৫ বিলিয়ন ডলার প্রকল্প সহায়তা হিসেবে ঋণ চাওয়া হতে পারে।

আগামী ৮ থেকে ১১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের সময় বাংলাদেশ চীনের কাছে এই বিপুল পরিমাণ আর্থিক ও উন্নয়ন সহযোগিতা চাইতে পারে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর এবারের চীন সফরে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেতে পারে দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে “সাউদার্ন ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এসআইডিআই)” শীর্ষক একটি সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা। পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করে দক্ষিণাঞ্চলের সমন্বিত উন্নয়নের এই উদ্যোগে উন্নত সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পায়রা সমুদ্রবন্দর হয়ে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত উন্নত রেল যোগাযোগ বিস্তৃত করতে চায় সরকার।

এছাড়াও দক্ষিণাঞ্চলের সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনায় উন্নয়ন যোগাযোগ ব্যবস্থা ছাড়া আইসিটি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, লজিস্টিকস এবং একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

তিনি বলেন, এই উন্নয়ন উদ্যোগের আওতায় ওই অঞ্চলের একটি কৌশলগত স্থানে একটি বৈদ্যুতিক গাড়ির প্ল্যান্ট, একটি হাই-টেক পার্ক এবং একটি লজিস্টিক হাব স্থাপন করতে চায় সরকার। দ্য বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভের আওতায় এই উন্নয়ন পরিকল্পনা চীনের কাছে উপস্থাপন করা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর এবারের চীন সফরে বাংলাদেশের এই কৌশল বাস্তবায়নে বাংলাদেশ চীনের কাছে বিশেষ সহযোগিতার আহ্বান জানাবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।