বাংলাদেশ

দেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার হাল ফেরাতে এখন থেকে সপ্তাহের বেশির ভাগ সময় বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেছেন, সপ্তাহের সোম ও মঙ্গলবার ঢাকায় অবস্থান করবেন। বাকি দিনগুলো ঢাকার বাইরে কাটানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি অবহিত করেছেন।

রাজধানীর মহাখালীর আইসিডিডিআর,বিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘বাংলাদেশে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ কর্মসূচি’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “দুদিন ঢাকায় থাকব আর বাকি কয়দিন সারা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করব। আমি যদি গ্রামের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে উন্নত করতে পারি, যদি উপজেলা, জেলার কমিউনিটি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে যথাযথ চিকিৎসা হয়, তাহলে ঢাকা শহরে রোগীর ভিড় হবে না।”

দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে গ্রামের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন ঘটাতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রাইমারি হেলথ কেয়ারকে যদি শক্তিশালী করতে পারি, তাহলে আমাদের সমস্যা থাকবে না। আইসিডিডিআর,বি তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

“তারা প্রশংসনীয়ভাবে গ্রামগঞ্জে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে। এই টার্গেট নিয়ে আমাদের এগোতে হবে।”

সেমিনারে আইসিডিডিআর,বির মাতৃ এবং শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের এমিরেটাস সায়েন্টিস্ট জেনা দেরাখশানি হামাদানি একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

এতে বলা হয়, খেলাধুলাভিত্তিক শিশু লালন-পালন কর্মসূচি শিশুদের জ্ঞান, ভাষা, শারীরিক এবং আচরণগত বিকাশ উন্নত করে। এই কর্মসূচি নরসিংদী, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষীপুর জেলার ২১টি উপজেলার ৬১৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৪৮৫ জন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রাথমিক শৈশব বিকাশ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, যারা পরে ১ হাজার ৮২১ জন স্বাস্থ্য কর্মীদের এই সেবা প্রদানের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৬ থেকে ৩৬ মাস বয়সী শিশুদের ১৪ হাজারের বেশি মা প্রশিক্ষিত হয়েছেন।

হামাদানি বলেন, “বয়স উপযোগী খেলাধুলার মাধ্যমে শিশু বিকাশ ত্বরান্বিত করা যেতে পারে। আশা করি আমরা দেশের সকল কমিউনিটি ক্লিনিকে কার্যক্রমটি কার্যকরভাবে স¤প্রসারণ করতে পারব এবং একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করতে পারব।” স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলম, আইসিডিডিআর,বির প্রধান নির্বাহী পরিচালক তাহমিদ আহমেদ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

বাগেরহাটের শরণখোলায় প্রকল্পের কাজ না করে হাটবাজার রক্ষণাবেক্ষণ খাতের ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন সাবেক ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম। জুন মাসের বার্ষিক হিসাব শেষে চেয়ারম্যানরা এ খবর জানতে পেরে হতবাক হয়ে পড়েন। এ ব্যাপারে তদন্ত করে সাবেক এই ইউএনওর কাছ থেকে ঐ টাকা ফেরত আনার দাবি জানান তারা।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের উপজেলার হাটবাজার রক্ষণাবেক্ষণ খাতের ২৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার কাগজে কলমে ৪টি প্রকল্প গ্রহণ করেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম। প্রকল্পগুলো হচ্ছে, রায়েন্দা ইউনিয়নের রায়েন্দা বাজারের সবজি মার্কেটে টল শেড নির্মাণ বাবদ ৯ লাখ টাকা ও টল শেড (ট্রাসের কাজ) নির্মাণ বাবদ ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার দুটি প্রকল্প। এ ছাড়া খোন্তাকাটা ইউনিয়নের খোন্তাকাটা বাজারের ড্রেন নির্মাণ বাবদ ৫ লাখ টাকা এবং সাউথখালী ইউনিয়নের তাফালবাড়ি বাজারের ড্রেন নির্মাণ বাবদ ৫ লাখ টাকার পৃথক দুইটি প্রকল্প তৈরি করা হয়।

এরপর ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখের হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হিসেবে ইউএনও জাহিদুল ইসলাম একাই স্বাক্ষর করে রেজুলেশন তৈরি করে ওই প্রকল্প অনুমোদন দেখান। পরে তিনি প্রকল্পের টাকা সুবিধামতো সময়ে উত্তোলন করেন। এরপর তিনি গত ২ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ শরণখোলা থেকে পাবনার শাঁথিয়া উপজেলায় বদলি হয়ে যান।

এ ব্যাপারে খোন্তাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন বলেন, আমার ইউনিয়নে ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পের কথা জানতে পেরে তৎকালীন ইউএনও’র কাছে খোঁজখবর নিয়েছিলাম। বিষয়টি জেনে ফেলেছি এ কারণে তিনি আমার ইউনিয়নের প্রকল্পটি পরিবর্তন করে একই তারিখের আরেকটি রেজুলেশন তৈরি করে ধানসাগর ইউনিয়নে অন্য একটি প্রকল্প অনুমোদন দেখিয়েছেন। তবে হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসেবে ওই রেজুলেশনে আমার কোনো স্বাক্ষর নেই।

সাউথখালী ইউপি চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন রাজিব বলেন, আমার ইউনিয়নের তাফালবাড়ি বাজারে ড্রেন নির্মাণের একটি প্রকল্প দেখিয়ে সাবেক ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম ৫ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। অথচ এ ধরনের কোনো কাজ আমার ইউনিয়নে হয়নি। এ ছাড়া হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসেবে আমি এর কিছুই জানি না।

ধানসাগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাইনুল ইসলাম টিপু বলেন, আমার ইউনিয়নের রাজাপুর বাজারের টলশেড মেরামতের নামে দুইটি টল শেডের ঢেউটিন পরিবর্তন করেছে। তাতে সর্বোচ্চ ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। অথচ ৫ লাখ টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন সাবেক ইউএনও। আমি ওই কমিটির সদস্য হয়ে এর কিছুই জানি না। তদন্ত করে ইউএনও’র কাছ থেকে ওই টাকা ফেরত আনার দাবি জানান তিনি।

রাজাপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম কবির তালুকদার বলেন, দুইটি শেডে ২২ মিলি মিটারের মাত্র ১০ বান্ডিল টিন লাগিয়ে তিনি ৫ লাখ টাকা হজম করেছেন। অথচ টলশেড দুটি এখনও জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

ধানসাগর, খোন্তাকাটা ও সাউথখালীর সংশ্লিষ্ট তিন চেয়ারম্যান জানান, উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করলে তা উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে প্রাক্কলন তৈরি করতে হয়। এ ছাড়া ওই খাতের অর্থে গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সব সময় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। কিন্তু সাবেক ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম টাকা আত্মসাৎ করতে কোনো কিছুর তোয়াক্কা করেননি। অনিক এন্টারপ্রাইজ নামের একজন ঠিকাদারের চেক ব্যবহার করে সাউথখালী ও ধানসাগর ইউনিয়নের দুইটি প্রকল্পের ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু রায়েন্দা ইউনিয়নের কাজ দু’টি বাগেরহাট-৪ আসনের এমপি বদিউজ্জামান সোহাগ উদ্বোধন করায় তিনি ওই প্রকল্পের টাকা নিতে পারেননি।

ওই প্রকল্পের টাকা রায়েন্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজমল হোসেন মুক্তার কাছে হস্তান্তর করতে বাধ্য হয়েছেন। জানতে চাইলে অনিক এন্ট্রারপ্রাইজের প্রোপাইটর মো. অনিক হোসেন গাজী বলেন, উপজেলা হাটবাজার রক্ষণাবেক্ষণ খাতের কোনো কাজ আমি করি নাই। সাবেক ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম আমার কাছ থেকে শুধু চেক চেয়ে নিয়েছিল। ওই চেক নিয়ে তিনি কী করেছেন তা আমার জানা নেই।

এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা প্রকৌশলী ও হাট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মো. ফেরদৌস আলম বলেন, ওই চার প্রকল্পের তিনি কোনো প্রাক্কলন তৈরি করেননি। এ ছাড়া কীভাবে ইউএনও টাকা উত্তোলন করেছেন তাও তিনি জানেন না।

বর্তমান শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদিপ্ত কুমার সিংহ বলেন, আমি এ উপজেলায় সদ্য যোগদান করেছি। বিষয়টি চেয়ারম্যানদের কাছে খোঁজখবর নিয়ে পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শরণখোলার সাবেক ইউএনও ও বর্তমানে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় ইউএনও হিসেবে কর্মরত মো. জাহিদুল ইসলাম দাবি করে বলেন, চেয়ারম্যানদেরসহ কমিটির সবাইকে নিয়ে প্রকল্প অনুমোদন করে আরএফটির (রিকোয়েস্ট ফর টেন্ডার) মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে ঠিকাদার কাজ না করলে সেটা আমার দেখার বিষয় না। এ ছাড়া রেজুলেশনে একটু ভুল হওয়ায় দ্বিতীয় রেজুলেশনটি তৈরি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ‘ইকেবানা’ উপহার পাঠিয়েছেন ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত জাপানি নাগরিক হিরোশি তানাকার মেয়ে আতসুকো তানাকা।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে এই উপহার গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এই উপহার এবং আতসুকো তানাকার একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রীর হাতে পৌঁছে দেন।

উপহারের ফুল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রশান্তি নিয়ে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, সভায় ১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা যুগোপযোগী করে নীতিমালা তৈরি করা, ২০১২ সালের শুদ্ধাচার নীতিমালা সংশোধনসহ আপডেট করার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। সর্বশেষ সচিব সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে আজ। সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

 
সম্প্রতি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ বিষয়ে আজকের সচিব সভায় কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন মাহবুব হোসেন। যদিও সভাটি এ কারণেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখ্য এটি বর্তমান সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সচিব সভা। ১১ জানুয়ারি সরকার গঠনের পর প্রথম সচিব সভাটি হয়েছিল ৫ ফেব্রুয়ারি। ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। তবে আজকের সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্যাবিনেট সচিব মাহবুব হোসেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই আজকের সভাটি অনুষ্ঠিত হলো।

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে, ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হতে পারে। এতে ৩০ বছরের কম বয়সী প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে। তাই সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হেসেন।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে পিরোজপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য শামীম শাহনেওয়াজের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী এ কথা বলেন। 
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেশনজট নেই উল্লেখ করে জনপ্রশাসনমন্ত্রী আরও বলেন, আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্য কোনো সেশনজট নেই বললেই চলে। শিক্ষার্থীরা ১৬ বছরে এসএসসিসহ ২৩-২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে থাকে। 

তিনি বলেন, চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর হওয়ার ফলে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৬-৭ বছর সময় পেয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২-১ বছর লেগে যায়। ফলে চাকরিতে যোগদানের জন্য ন্যূনতম বয়স ৩০ বছর থেকে ৩৫ বছর করার যে দাবি করা হচ্ছে প্রকৃত পক্ষে তার কাছাকাছি পর্যায়ে উপনীত হয়।

পাবলিক সার্ভিস কমিশনের রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় বিভিন্ন স্তরে উত্তীর্ণ প্রার্থীগণের বয়স ও জেন্ডারভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী কম বয়সী (২৩-২৫) সুপারিশকৃত প্রার্থীর সংখ্যা সব থেকে বেশি (৩৭.৬৮%) এবং বেশি বয়সী (২৯–এর ঊর্ধ্বে) সুপারিশকৃত প্রার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে কম ১.৭১%)।

কোটা নিয়ে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহালের দাবিতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ নিয়ে মন্ত্রী জানান, চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় বর্তমানে শূন্যপদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমে গেছে। এ প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদে বিপরীতে চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। 

তিনি বলেন, এতে নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে যাদের বয়স বর্তমানে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে।

এসব শিক্ষার্থীর কথা বিবেচনা করে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই বলে মন্ত্রী জানান।

দেশের ৫ বিভাগ এখন সম্পূর্ণভাবে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত হয়েছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।

বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে আট লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৭টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এতে উপকারভোগী মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩ লাখ ৩৯ হাজারেরও বেশি। এ পর্যন্ত ৫৮টি জেলা এবং ৪৬৪টি উপজেলা সম্পূর্ণভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হয়েছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহী এ ৫টি বিভাগ এখন সম্পূর্ণভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত। অর্থাৎ এসব জেলা, উপজেলা ও বিভাগে কোনো ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষ নেই।

তিনি বলেন, ব্যারাক হাউজের মাধ্যমে আমরা ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৯ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৮টি পরিবারকে পুনর্বাসন করেছি। ব্যারাক হাউজ ছাড়াও আমরা ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৫৩টি পরিবারকে নিজ জমিতে বিনামূল্যে গৃহনির্মাণ করে দিই। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫টি পরিবারের কাছে স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে ২ শতাংশ জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা একক ঘর হস্তান্তর করেছি। 

সংসদ নেতা শেখ হাসিনা জানান, মুজিববর্ষে উপকারভোগী মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৩০ হাজার মানুষ। ভূমিহীন-গৃহহীন-ছিন্নমূল মানুষকে জমির মালিকানাসহ ঘর করে দেওয়ার লক্ষ্যে সারা দেশে ৬ হাজার ৯৪৫ একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য তিন হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা।

সাতক্ষীরা-৪ আসনের এসএম আতাউল হকের প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরের ১৩ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা থেকে ৯.১২ গুণ বাড়িয়ে সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এক লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। ১১৯টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় এ সহায়তা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার জন্য সমতার ভিত্তিতে সুবিচার নিশ্চিত করা এবং বিচার ব্যবস্থায় দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধন করে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধপরিকর। বর্তমান সরকার বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি লাঘবে সঠিক বিচারের নিশ্চয়তা প্রদান করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ২০০৯ সাল থেকে অধস্তন আদালতে এক হাজার ৪২৯ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান সংসদ নেতা।

বাপেক্সে মেধাবী প্রার্থীদের বাদ দিয়ে কৌশলে শীর্ষ কর্মকর্তাদের আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের লোকজনকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এক্ষেত্রে নিয়োগবিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে। ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদ এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষাসনদ ছাড়াই অনেক ব্যক্তি নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত হয়েছেন। তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া এখন যাচাই-বাছাই পর্যায়ে আছে। এ ঘটনায় উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করেছেন সাতজন ভুক্তভোগী। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষার ফল ২ মে প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখা যায়, যাদের নাম তালিকায় উঠেছে, তাদের অধিকাংশই প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের লোকজন। তাদের মধ্যে অনেকেই মোটা অঙ্কের ঘুস বা উৎকোচ দিয়ে মৌখিক পরীক্ষায় পাশ করেছেন। আর যারা সত্যিকারের অভিজ্ঞতা সনদ জমা দিয়ে পরীক্ষায় ভালো ফল করেছেন, তাদের নানা অজুহাতে বাদ দেওয়া হয়েছে।

রিটে জ্বালানি বিভাগের সচিব, পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান, বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন), ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন), জেনারেল ম্যানেজার (হিসাব) ও সালদা রিভার গ্যাস ফিল্ডের প্রকল্প পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শোয়েব বলেন, তার আমলে এখন পর্যন্ত নতুন কোনো নিয়োগ হয়নি। আগের কয়েকটি নিয়োগের বিষয়ে হাইকোর্টের কিছু নির্দেশনা ছিল, সেগুলোরও বেশির ভাগ বাস্তবায়ন হয়ে গেছে। বাকিগুলোও পর্যায়ক্রমে হয়ে যাবে। নানা কারণে কিছু বাদ পড়েছেন, তারা আদালতে গেছেন। সম্প্রতি হাইকোর্টে যে রিট হয়েছে, সেটি তিনি এখনো দেখেননি। তিনি বলেন, বর্তমানে যে নীতিমালা করা হয়েছে, তাতে কোনো অনভিজ্ঞ কর্মী বা কর্মকর্তাদের আত্মীয়স্বজন ঢুকে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাছাড়া এসব নিয়োগে একটি শক্তিশালী নিয়োগ কমিটি আছে। কমিটির সদস্যদের মধ্যে ২/৩ জন বাদে বাকি সবাই মন্ত্রণালয়, পেট্রোবাংলাসহ বাইরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের। কাজেই ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তার আত্মীয়স্বজন বা অদক্ষ, অনভিজ্ঞ কেউ ঢুকে যাওয়ার সুযোগ নেই। তারপরও আদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

রিট মামলার কাগজপত্র (এনেক্সর-জে)-এর সঙ্গে দেওয়া একাধিক অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে একজনের অভিজ্ঞতার সনদ ভুয়া। তিনি বাপেক্সের একজন উপ-মহাব্যবস্থাপক এবং নিয়োগ কমিটির এক সদস্যের আত্মীয়। আলী নামের একজন প্রার্থী যিনি বাপেক্সের অনুমোদিত কোনো পদে কর্মরত ছিলেন না। রিগম্যানের ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদ দিয়ে তিনি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। বাংলাদেশে গ্যাস ড্রিলিং রিগের কোনো ইনস্টিটিউট না থাকায় তার কোনো অভিজ্ঞতার সনদ থাকার কথা নয়। ওই প্রার্থীর বাবা বাপেক্সের এমপ্লোয়েজ ইউনিয়নের একজন শীর্ষ নেতা। তার নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছেন নিয়োগ কমিটির একজন সদস্য এবং প্রশাসন বিভাগের একজন মহাব্যবস্থাপক। আরেক প্রার্থী আছেন, যিনিও বাপেক্সের অনুমোদিত কোনো পদে কর্মরত ছিলেন না। তিনিও রিগম্যানের যে অভিজ্ঞতার সনদ জমা দিয়েছেন, তা ভুয়া। তার জন্য সুপারিশকৃত কর্মকর্তা হলেন বাপেক্সের একজন ড্রিলিং ইনচার্জ। রিগম্যানের ভুয়া সনদ জমা দিয়ে আরেকজন প্রার্থীর নিয়োগ চূড়ান্ত হয়েছে, যার জন্য সুপারিশ করেছেন নিয়োগ কমিটির সদস্য ও একজন প্রকল্প পরিচালক ও ডিলিং সুপারিনটেনডেন্ট। ওই প্রার্থী সুপারিশকৃত এই কর্মকর্তার আত্মীয়।

একই অভিযোগ তোফাজ্জল হোসেন নামে অপর এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তিনি একজন উপ-মহাব্যবস্থাপকের আত্মীয়। নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত হওয়া বাপেক্সের একজন অফিস সহকারীও রয়েছেন। তার অভিজ্ঞতার সনদটিও ভুয়া। এই অফিস সহকারীর জন্য সুপারিশ করেছেন একজন টুলপুশার কর্মকর্তা। বাপেক্সে কোনোদিন কাজ না করলেও এই অফিসে কাজ করার অভিজ্ঞতার সনদ জমা দিয়েছেন একজন। তার জন্য সুপারিশ করেছেন একজন ডিলিং ইনচার্জ। বাপেক্সের সিমেন্টিং অপারেটর হিসাবে কর্মরত থাকলেও রিগম্যান হিসাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা সনদ জমা দিয়ে একজন চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তার জন্য সুপারিশ করেছেন বাপেক্সের একজন উপ-মহাব্যবস্থাপক। একইভাবে স্টোরকিপার হিসাবে চাকরি করে জমা দিয়েছেন রিগম্যানের সার্টিফিকেট ও অভিজ্ঞতার ভুয়া সনদ। ট্রেড কোর্স সনদ দিয়ে তিনি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। তার জন্য সুপারিশ করেছেন বাপেক্সের একজন ড্রিলিং সুপারিনটেনডেন্ট। একই কায়দায় বাপেক্সের সিমেন্টিং অপারেটর হিসাবে কর্মরত থাকলেও রিগম্যানের ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পেয়েছেন।

বুধবার (৩ জুলাই)  সকাল ৬টায় কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদের নুন খাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৬ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য নদ-নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।

এদিকে নাগেশ্বরী, রৌমারী, রাজিবপুর, চিলমারী, ভুরুঙ্গামারী, উলিপুর, ফুলবাড়ী, রাজারহাট ও সদর উপজেলার নদ-নদীর তীরবর্তী চর-দ্বীপ চর ও নিম্নাঞ্চলগুলো তলিয়ে গেছে এবং  ১৫টি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে ভাঙন।

 
 

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, ধরলার পানি বাড়ার কারণে এলাকার বিভিন্ন ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।

রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা আরো দু’একদিন থেমে থেমে অব্যাহত থাকতে পারে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি ও তালুকশিমুল বাড়ি পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

 

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’-এর কিছু বিষয় স্পষ্ট করে মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষকরা বলেছেন, তাদের চলমান এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

এদিকে দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনে অচল ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যায়গুলো। ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি, হয়নি দাপ্তরিক কোনো কার্যক্রমও। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইব্রেরিও বন্ধ ছিল। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের দুটি গ্রুপের সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয় প্রত্যয় স্কিম সম্পর্কে এক ব্যাখ্যায় বলেছে, ১ জুলাই থেকে এই স্কিম যাত্রা করেছে। স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে ১ জুলাই বা এর পর যোগদানকারী সব কর্মচারী বাধ্যতামূলকভাবে প্রত্যয় স্কিমের আওতাভুক্ত হবেন। ১ জুলাইয়ের আগে যোগদানকারীরা পুরোনো নিয়মেই পেনশন পাবেন। অনুরূপ ব্যাখ্যা দিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষও। এক বার্তায় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ বলেছে, ৩০ জুনের আগে চাকরিতে যোগদানকারী শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নতুন স্কিমে যুক্ত হওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। 

অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্পষ্টীকরণ ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া মঙ্গলবার রাতে 

বলেন, আমরা স্বতন্ত্র বেতন স্কেল চাচ্ছি। আমাদের তিনটি মূল দাবি রয়েছে- প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন। আর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি শুধু প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিল। ২০১৬ সালে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সুপার গ্রেডে বেতন দেওয়ার কথা ছিল; কিন্তু এখনো পাইনি। এখন এটাকে যেহেতু সর্বজনীন পেনশন স্কিম বলা হচ্ছে, তাই সরকারি চাকরিজীবীসহ সবাইকে একসঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। 

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সাড়ে তিন মাস ধরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি, অর্ধদিবসের কর্মবিরতি পালন করেছি। সাড়ে তিন মাসেও তাদের টনক নড়েনি। এখন আমরা যখনই আন্দোলনে গেলাম, তখন বললেন এটা ঠিক, ওটা ঠিক না। আমাদের দাবি- সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্যই আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। আমাদের দাবি আর তাদের মধ্যে পার্থক্য কোথায়, সেটার একটা সমাধান হোক। 

এর আগে বিকালে গণমাধ্যমকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় কিছু বিষয় স্পষ্ট করে যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, আমরা তা দেখেছি। আমরা দুপুরে আন্দোলনরত অবস্থায়ই তা দেখেছি। আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের এ ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করেছি। এটি মানি না। আমাদের আন্দোলন ও কর্মসূচি চলবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।