খেলাধুলা

মার্সেলো বিয়েলসা—এ নামটাতেই কি আগামী পরশু সকালে বড় ভয় লুকিয়ে ব্রাজিলের জন্য!

গত বছরের ১৭ নভেম্বর। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে। আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা বরাবরের মতো সেদিনও আরেকটি নৈমিত্তিক জয়ের প্রত্যাশায় বসেছিলেন খেলা দেখতে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা তখন টানা ১৪ ম্যাচ অপরাজিত।

এমনকি ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের পর খেলা টানা ৮ ম্যাচে কোনো গোলও হজম করেনি তারা। এমন একটি দলকে হারানো তো এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার মতো কঠিন কিছু। কিন্তু কে জানত, প্রকৃতি অলক্ষ্যে বসে লিখছিল ভিন্ন এক চিত্রনাট্য!

১৪ ম্যাচ পর সেদিন উরুগুয়ের কাছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ২-০ গোলে হেরে থেমেছিল আর্জেন্টিনার জয়রথ। প্রকৃতি কী, আসলে তো সেদিন বুয়েনস এইরেসে উরুগুয়ের ডাগআউটে বসে আর্জেন্টাইন বিয়েলসাই রচনা করেছিলেন আর্জেন্টিনাকে হারানোর ‘মাস্টারপ্ল্যান’। আর্জেন্টিনাকে হারানোর আগের ম্যাচেই তাঁর আরেক মহাপরিকল্পনায় উরুগুয়ে হারিয়েছিল ব্রাজিলকে। ১৯৬০ সালের পর প্রথমবারের মতো একই পঞ্জিকাবর্ষে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনাকে হারানোর কীর্তি গড়ে উরুগুয়ে।

পরপর দুই ম্যাচে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে উরুগুয়ে ফুটবল–দুনিয়াকে জানান দিয়েছিল, বিয়েলসাকে সারথি করে সামনের দিনগুলোয় বড় অর্জনেই চোখ তাদের। চলতি কোপা আমেরিকায়ও সেই লক্ষ্যে অবিচল বিয়েলসার দল। টানা তিন ম্যাচ জিতে গ্রুপ–সেরা হয়েই শেষ আট নিশ্চিত করেছে তারা। গ্রুপ পর্বে ৩ ম্যাচে ১ গোল হজম করার বিপরীতে উরুগুয়ে গোল করেছে ৯টি।

শুধু গোল করাতেই নয়, উরুগুয়ের মাঠের পারফরম্যান্সও ছিল অনবদ্য। এমনকি অনেকের কাছে ব্রাজিলের বিপক্ষে বাংলাদেশ সময় আগামী পরশু সকালের কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ে ফেবারিটও বটে। দারউইন নুনিয়েজ-রোনাল্দ আরাউহোর মতো দলের তারকা খেলোয়াড়েরাও আছেন দারুণ ছন্দে। এই উরুগুয়েকে থামানো ব্রাজিলের জন্য তাই কঠিনই হবে।

শ্রীলংকান প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) জাফনা কিংসের কাছে ৪ উইকেটে হারল মোস্তাফিজ-তাওহিদের দল ডাম্বুলা সিক্সার্স। টুর্নামেন্টে এটি তাদের টানা দ্বিতীয় হার।

ডাম্বুলার হয়ে প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়া তাওহিদ হৃদয়কে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি। তবে ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত এক থ্রোয়ে রানআউট করে নজর কেড়েছেন তিনি।

 

অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে খরুচে বোলিং করা মোস্তাফিজুর রহমান কিছুটা ছন্দে ফিরেছেন। ৩০ রানে ২ উইকেট নিয়েও অবশ্য জয় এনে দিতে পারেননি দলকে। ডাম্বুলার লংকান বোলাররা যে দুই হাতে রান বিলিয়েছেন।

জাফনা কিংসের বিপক্ষে বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম ওভারেই কুশল মেন্ডিসের উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজ। ১৭তম ওভারে জাফনার অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কাকেও সাজঘরের পথ চেনান এই বাঁহাতি পেসার।

তবে ততক্ষণে কিছুটা দেরি হয়ে গেছে। কারণ চতুর্থ উইকেটে আভিশকা ফার্নান্দো এবং আসালাঙ্কার ১৩৪ রানের জুটিতে ডাম্বুলার দেওয়া ১৯২ রানের লক্ষ্য তাড়া করার পথে অনেকটা এগিয়ে যায় জাফনা।

ফার্নান্দো ৩৪ বলে ৭ চার এবং ৬ ছক্কায় করেন ৮০ রান। ৩৬ বলে ৫০ রান আসে আসালাঙ্কার ব্যাটে। এই দুই ইনিংসে বৃথা যায় ডাম্বুলার হয়ে করা কুশল পেরেরার ৫২ বলে ১০২ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস।

উল্লেখ্য, আসরের প্রথম ম্যাচে ক্যান্ডি ফ্যালকনসের কাছে ৬ উইকেটে হারে ডাম্বুলা। সেই ম্যাচে ১ রানে আউট হয়ে যান হৃদয়। ৩ ওভার বল করে ৪৪ রান খরচায় ১ উইকেট নেন মোস্তাফিজ।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সদ্য শেষ হওয়া আসরে তাসকিন আহমেদের খেলারই কথা ছিল না। চোট কাটিয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে না পাওয়া সত্ত্বেও তার ওপর আস্থা রাখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। 

শুধু তাই নয়, জাতীয় দলের এই পেসারকেই বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসরে সহ-অধিনায়কের মতো গুরু দায়িত্ব দেয় বিসিবি। কিন্তু সেই গুরু দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেন তাসকিন।

বিশ্বকাপের সুপার এইটের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত। ক্রিকেট পরাশক্তি প্রতিবেশী এই দলের সঙ্গে খেলা মানেই ম্যাচের পরতে পরতে বাড়তি উত্তেজনা বিরাজ করে।

অথচ ভারতের মতো শক্তিশালী এবং চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নিজের অবহেলার কারণে খেলতে পারেননি তাসকিন। সেই ম্যাচে ঘুমের কারণে টিম বাস মিস করেন তিনি। টস হওয়ার ৫-১০ মিনিট আগে মাঠে পৌঁছানোর কারণে তাকে একাদশে রাখতে পারেনি টিম ম্যানেজমেন্ট।

অথচ এর চেয়েও মামুলি অপরাধের কারণে ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে অস্ট্রেলিয়া থেকে বিশ্বকাপের মাঝ পথেই দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয় পেস বোলার আল-আমিনকে।

বিশ্বকাপে ভারত ম্যাচে তাসকিনের না খেলার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু বিষয়টি গোপন থাকেনি। এ নিয়ে সর্বপ্রথম সংবাদ প্রকাশ করে ভারতীয় ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। তাদের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘুমের কারণে নাকি খেলতে পারেননি তাসকিন। 

কিন্তু জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছেন ভিন্ন কথা। আজ বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সাকিব বলেন, ‘তাসকিন টস হওয়ার ৫-১০ মিনিট আগে মাঠে গিয়েছে। তখন হয়তো খেলানোর সুযোগ ছিল না। এছাড়া অন্য কারণও থাকতে পারে আমি তা জানি না।’

ঘুমের কারণে মাঠে পৌঁছাতে দেরি হওয়ার কথা স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন তাসকিন, ‘আমার একটু দেরি হয়েছিল। তবে যেটা বলা হচ্ছে টসের পর গেছি, এটা ভুল। টস হওয়ারও আধঘণ্টা বা ৪০ মিনিট আগে পৌঁছেছিলাম মাঠে।’

ভারতের বিপক্ষে তাসকিনের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পান জাকের আলী অনিক। তবে ঘুমের কারণেই সেই ম্যাচে দলে জায়গা হয়নি তার, এই কথা মানতে নারাজ এই ডানহাতি পেসার, ‘টিম বাস আমি মিস করেছিলাম। সকাল সাড়ে ৮টায় ছিল বাস ছাড়ার সময়। বাস ছেড়েছিল ৮টা ৩৫ মিনিটে। আমি ৮টা ৪৩ মিনিটে গাড়িতে করে মাঠে গেছি। মানে বাসের সঙ্গে সঙ্গেই গিয়েছি। পরে পৌঁছেছি। আমাকে যে খেলায়নি, সেটা দেরিতে যাওয়ার জন্য নয়। এমনিই খেলায়নি।’

উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যৌথভাবে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন তাসকিন। ৬ ম্যাচে বল করে ৮ উইকেট ঝুলিতে পোরেন এই পেসার। এক ম্যাচ বেশি খেলে তার সমান উইকেট পান মোস্তাফিজুর রহমানও।

সেমিফাইনালে জিতে চোকার্স অপবাদ ঘুচেছে দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু জিততে জিততে হেরে যাওয়ার স্বভাব বদলায়নি। ভারতের বিপক্ষে টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে শিরোপা ছোঁয়া দূরত্বে ছিল প্রোটিয়ারা। সেখান থেকে হুট করে 'চোকিং' করে ৭ রানে হেরেছে তারা। ১৭৬ রানের পুঁজি গড়ে প্রোটিয়াদের ১৬৯ রানে থামিয়ে দিল ভারত। এতে ফাইনালে বারবার পা হড়কানো ভারত ১৭ বছর পর টি-২০ বিশ্বকাপের এবং ১১ বছর পর আইসিসির টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কপিল দেব ও মহেন্দ্র সিং ধোনির পর ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো তৃতীয় অধিনায়ক হওয়ার গৌরব অর্জন করলেন রোহিত শর্মা।

ভারতের জয়ের নায়কদের একজন বিরাট কোহলি। আসর জুড়ে ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী ভারতীয় মহাতারকা নিজেকে মেলে ধরেন ফাইনালে। খেলেন ৫৯ বলে ৭৬ রানের চমৎকার এক ইনিংস। এতে ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে। যদিও পাওয়ার প্লের মধ্যে ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল ভারত। সেখান থেকে কোহলি ও অক্ষর ৭২ রানের দারুণ জুটি গড়ে ওই ধাক্কা সামাল দেন। ব্যাট হাতে ৪৭ রান করে বড় অবদান রাখেন অক্ষর প্যাটেল।

এরপর কোহলি শিভম দুবেকে সঙ্গে নিয়ে ৩৩ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়ে আউট হন। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানো ভারত শেষ পর্যন্ত গেল ১৭৬ পর্যন্ত। যেটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে সর্বোচ্চ স্কোর। বল হাতে প্রোটিয়াদের কেশব মহারাজ ৩ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন মার্কো জানসেন, কাগিসো রাবাদা ও আনরিখ নরকিয়া।

১৭৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১২ রানের মধ্যে জোড়া উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫ বল খেলে ৪ রান করে আউট হন রেজা। মার্করামও ফেরেন ৪ রান করে। এরপর দলের হাল ধরেন কুইন্টন ডি কক ও ক্রিস্টান স্টাবস। ৩৯ রান করে ডি কক ও ৩১ রান করে স্টাবস বিদায় নিলে দল চাপে পড়ে যায়। তবে ক্লাসেন ও মিলার সেই চাপকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেন। জয়ের আশা দেখা ভারত মুহূর্তেই ম্যাচ ফসকে যেতে দেখে।

দুটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ২৭ বলে ৫২ রান করে ক্লাসেন যখন বিদায় নেন, ততক্ষণে মনে হচ্ছিল ভারত ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে। তবে ৪ বলে ২ রান করে মার্কো জানসেন বুমরাহর বলে বোল্ড হলে আবারো ম্যাচে ফেরে ভারত। শেষ ৩ ওভারে ২২ রান প্রয়োজন ছিল। বুমরাহর করা ১৮তম ওভারে আসে মাত্র ২ রান।

শেষ ওভারে ১৬ রান প্রয়োজন ছিল প্রোটিয়াদের। মিলার হার্দিককে লং অফে উড়িয়ে মারলেও সূর্যকুমার অবিশ্বাস্য ক্যাচে ৬ রান আটকানোর পাশাপাশি ৭ম উইকেটের পতন ঘটান। শেষপর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েই মাঠ ছাড়ে ভারত। 

বল হাতে আলো ছড়ান আর্শদীপ সিং ও জাসপ্রিত বুমরাহ। ৪ ওভারে ২০ রান দেন আর্শদীপ, বুমরাহ দেন কেবল ১৮। তাদের প্রাপ্তি দুটি করে উইকেট। ভারতের সফলতম বোলার অবশ্য হার্দিক পান্ডিয়া। ৩ ওভারে ২০ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তিনি।

ক্রিকেট-বিধাতা আজ প্রাপ্যটা কাকে বুঝিয়ে দেবেন-ভারত নাকি দক্ষিণ আফ্রিকাকে? যে কোনো নিরপেক্ষ ক্রিকেটপ্রেমী স্বীকার করতে কুণ্ঠিত হবেন না যে, একটি বৈশ্বিক শিরোপা দুদলেরই ‘প্রাপ্য’ হয়ে গেছে।

সেই প্রাপ্য বুঝে নেওয়ার তীব্র তাড়নায় পুরো আসরে অপরাজিত থেকে এবারের টি ২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল অবধি পৌঁছেছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশ সময় আজ রাত সাড়ে ৮টায় ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র বারবাডোজের ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে টি ২০র বিশ্বসেরা হওয়ার ধুন্ধুমার লড়াইয়ে যুঝবে দুদল। টি ২০ বিশ্বকাপের ১৭ বছরের ইতিহাসে ভারতের সামনে দ্বিতীয় এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে প্রথম শিরোপার হাতছানি।

ওয়ানডে ও টি ২০ মিলিয়ে সাত সাতবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায়ের শোকগাথা পেছনে ফেলে এবারই প্রথম ফাইনালের চৌকাঠে পা রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। একটি অপেক্ষার অবসানের পর এবার শিরোপার আজন্ম হাহাকার ঘোচানোর অপেক্ষায় রংধনুর দেশ। শিরোপা অবশ্য একটি আছে দক্ষিণ আফ্রিকার। সেটি ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে জেতা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম আসরের শিরোপা। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল প্রোটিয়ারা। এরপর আরেকটি ফাইনালের দেখা পেতেই লেগে গেল ২৬ বছর। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আর বিশ্বকাপের ওজন অবশ্য এক নয়। আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে ভারতের জেতা সবশেষ শিরোপাও এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সেটি এসেছিল ২০১৩ সালে। এরপর গত ১১ বছরে প্রায় সব টুর্নামেন্টে ফেভারিট হিসাবে শুরু করে শেষ পর্যন্ত স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়েছে ভারত। গত বছর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে তারা হেরেছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে। এর আগে ২০১৪ টি ২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে হার শ্রীলংকার বিপক্ষে। টি ২০ বিশ্বকাপে ভারত তাদের একমাত্র শিরোপাটি জিতেছে সেই ২০০৭ সালের প্রথম আসরে। সব মিলিয়ে শিরোপার জন্য রোহিত, কোহলিদের অপেক্ষাও কম দীর্ঘ নয়।

তাহলে ক্রিকেট-বিধাতা এখন কী করবেন? সমাধান একটা আছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, আজ ও আগামীকাল ক্যারিবীয় সাগরের দ্বীপরাষ্ট্র বারবাডোজে মাঝারি বৃষ্টি ও বজগ্ম-চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে। বাস্তবে অবশ্য সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ। রিজার্ভ ডে থাকায় বৃষ্টি ঝামেলা পাকালেও দুদিন মিলে অন্তত ১০ ওভারের ম্যাচ আয়োজন খুবএকটা কঠিন হবে না। খেলা হলে শক্তি ও অভিজ্ঞতায় ভারতের চেয়ে খানিকটা পিছিয়ে থাকলেও সুতীব্র আকাঙ্ক্ষায় শেষ বাধা পেরোতে মরণকামড় দিতে প্রস্তুত নেলসন ম্যান্ডেলার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। সেমিফাইনালে আফগানিস্তানকে নয় উইকেটে চূর্ণ করার পর প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম বলে দিয়েছেন, ‘বিশ্বাসের শক্তি সবচেয়ে বড় শক্তি। আমরা বিশ্বাস করি, ফাইনালে বিশ্বের সেরা দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমরা ট্রফি জিততে পারব।’ প্রোটিয়া স্পিনার তাবরাইজ শামসির কণ্ঠেও অভিন্ন সুর, ‘ফাইনালে উঠতে নয়, ফাইনাল জিততে এসেছি আমরা।’

বৃষ্টিবিঘ্নিত সেমিফাইনালে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হেসেখেলে ৬৮ রানে হারানোর পর এমন কোনো ঘোষণা না দিলেও নিজেদের সাফল্যের রহস্য জানিয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। যে কোনো পরিস্থিতিতে শান্ত থাকার মন্ত্রে অবিচল থেকে এবার ফাইনালও জিততে চান রোহিত, ‘আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করব। দল ভালো অবস্থায় আছে। আশা করি, ফাইনালেও শান্ত থেকে কাজটা ভালোভাবে শেষ করতে পারব। পুরো আসরে দল হিসাবে আমরা ধীরস্থির থেকেছি। কখনোই অস্থির হইনি। আমাদের সাফল্যের পেছনে এটাই ছিল মূল ব্যাপার। উপলক্ষ্য যত বড়ই হোক না কেন, ভালো ক্রিকেট তো খেলতে হবে।’

ধারণা করা হচ্ছে, আজকের ফাইনাল দিয়েই আন্তর্জাতিক টি ২০ ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টানতে পারেন ভারতের দুই ব্যাটিং স্তম্ভ রোহিত ও বিরাট কোহলি। রোহিত দারুণ ছন্দে থাকলেও সাত ইনিংসে কোহলির ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৭৫ রান। তবে ফাইনালে তাকে একাদশ থেকে বাদ দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে রোহিত বলেছেন, ‘আমরা তার মান বুঝি। ১৫ বছর খেলার পর ফর্ম কোনো সমস্যা নয়। সেরাটা সম্ভবত ফাইনালের জন্য জমিয়ে রেখেছে বিরাট।’

জিতলেই ফাইনালে, হারলে বিদায়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মতো এমন হাইভোল্টেজ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে ভারত।

ভারতের হয়ে ৩৯ বলে ৬টি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ৩৬ বলে চারটি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ রান করেন সূর্যকুমার যাদব। ১৩ বলে এক চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে ২৩ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া। ইংল্যান্ডের হয়ে ৩ ওভারে ৩৭ রানে ৩ উইকেট নেন ক্রিস জর্ডান।

বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে নেমেই ২.৩ ওভারে স্কোর বোর্ডে মাত্র ১৯ রান জমা হতেই সাজঘরে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি। চলতি বিশ্বকাপে ছন্দে নেই এই তারকা ওপেনার। দলীয় ৪০ রানে ফেরেন ঋষভ পন্থ।

এরপর সূর্যকুমার যাদবকে সঙ্গে নিয়ে ৫০ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক রোহিত মর্শা। দলীয় ১১৩ রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার রোহিত। তার আগে ৩৯ বলে ৬টি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন ভারতীয় অধিনায়ক।

এরপর মাত্র ১১ রানের ব্যবধানে ফেরেন ব্যাটিং তান্ডব চালিয়ে ৬ বলে চারটি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ রান করা সূর্যকুমার যাদব। ৪ উইকেটে ভারতের সংগ্রহ ছিল ১৪৬ রান। এরপর মাত্র দুই বলের ব্যবধানে ফেরেন হার্দিক পান্ডিয়া ও শিবম দুবে।

ইনিংসের ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে ক্রিস জর্ডানকে ছক্কা হাঁকান। চতুর্থ বলে কুরানের হাতে তালুবন্দি হয়ে বিদায় নেন হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি ১৩ বলে ২৬ রান করেন। পঞ্চম বলে শিবাম দুবে এসেই বাটলারের হাতে কটবিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ক্রিজে নেমে ষষ্ঠ বলে ১ রান নিয়ে জর্ডানের হ্যাটট্রিক ঠেকান অক্ষর প্যাটেল। 

এরপর ৬ বলে ১০ রান করে ইনিংস শেষ হওয়ার এক বল আগে ফেরেন অক্ষার প্যাটেল। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রানে ইনিংস থামায় ভারত। ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রিস জর্ডান ৩ ওভারে ৩৭ রান খরচ করে ৩ উইকেট শিকার করেন।

ওভারে ৬ ছক্কায় ৩৬ রানের গল্প এখন পুরোনো। কাউন্টি ক্রিকেটে দুবার ওভারে ৩৮ রানও দেখা গেছে। তবে এবার সব ছাপিয়ে ওভারে ৪৩ রান দিয়ে বসেছেন ইংলিশ পেসার ওলি রবিনসন। সাসেক্স বনাম লেস্টারশায়ার ম্যাচে অভাবনীয় এই ওভার করেছেন তিনি।

লেস্টারের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে ছিলেন লুইস কিম্বার। রবিনসন বল করতে এসে প্রথম বলেই ছক্কা হজম করেন। দ্বিতীয় বল করতে এসে নো বল করে বসেন রবিনসন। সে বলে চার হাঁকান কিম্বার। সাধারণত ক্রিকেটে নো বল হলে ব্যাটিং দল এক রান পায়, তবে কাউন্টি ক্রিকেটে যোগ হয় ২ রান। এর ফলে দ্বিতীয় বলেও ৬ রান পেয়ে যায় লেস্টার।

পরের তিন বলে ৪, ৬ ও ৪ রান সংগ্রহ করেন কিম্বার। পঞ্চম বল করতে এসে ফের নো বল করে বসেন রবিনসন। এই বলেও কিম্বার ৪ হাঁকানোয় ফের ৬ রান পেয়ে যায় লেস্টার। পরের বলে আবার ৪ হজম করেন রবিনসন। শেষ বল করতে এসে তৃতীয়বারের মতো নো বল করেন রবিনসন এবং সে বলেও চার মারেন কিম্বার। শেষ বলে ওঠে ১ রান।

অর্থাৎ, তিনটি নো বল মিলিয়ে রবিনসনের সেই ওভারের ৯টি বলে যথাক্রমে ৬, ২+৪, ৪, ৬, ৪, ২+৪, ৪, ২+৪ ও ১ রান ওঠে। এটাই এখন কাউন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে খরুচে ওভার আর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্বিতীয়।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবচেয়ে খরুচে ওভারের রেকর্ড এখনো নিউজিল্যান্ড স্পিনার বার্ট ভ্যান্সের দখলে। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে শেল ট্রফিতে ওয়েলিংটন বনাম ক্যান্টারবারি ম্যাচ এই অফ স্পিনার এক ওভারে দিয়েছিলেন ৭৭ রান। সে ওভারে ১৭টি নো বল করেছিলেন ভ্যান্স।

অ্যান্টিগায় বৃষ্টি থামার আর নাম নেই। যার কারণে ম্যাচটি আর পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। ফলে বাংলাদেশের বিপক্ষে বৃষ্টি আইনে ২৮ রানে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং ইনিংসে যখন দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টি শুরু হয়, তখনই ধারণা করা হচ্ছিল ম্যাচটি বাংলাদেশের নাগালেই বাইরে চলে গেছে। আর হয়েছেও তাই। বৃষ্টির কারণে আর খেলা মাঠে গড়ায়নি। যার ফলে ২৮ রানে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। 

প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৪০ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে অধিনায়ক শান্তর (৪১ রান) ব্যাট থেকে। তাওহীদ হৃদয় করেন ৪০ রান। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী হয়ে খেলতে থাকেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার হেড ও ওয়ার্নার। মাঝে একবার বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ হলেও এগিয়ে ছিল অজিরা। 
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে রিশাদের ঘূর্ণিতে দুই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথম হেডকে বোল্ড করেন রিশাদ। এরপরের ওভারে অজি অধিনায়ক মার্শকেও তুলে নেন তিনি। 
 
 
 

অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং ইনিংসে যখন দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টি শুরু হয়, তখনই ধারণা করা হচ্ছিল ম্যাচটি বাংলাদেশের নাগালেই বাইরে চলে গেছে। আর হয়েছেও তাই। বৃষ্টির কারণে আর খেলা মাঠে গড়ায়নি। যার ফলে ২৮ রানে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। 

প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৪০ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে অধিনায়ক শান্তর (৪১ রান) ব্যাট থেকে। তাওহীদ হৃদয় করেন ৪০ রান। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী হয়ে খেলতে থাকেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার হেড ও ওয়ার্নার। মাঝে একবার বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ হলেও এগিয়ে ছিল অজিরা। 

এ ম্যাচে প্যাট কামিন্স তার ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক তুলে নিয়েছেন। প্রথমে মাহমুদউল্লাহকে বোল্ড করেন তিনি। তার পরের বলেই মেহেদি হাসানকে তুলে নেন অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ও টেস্ট অধিনায়ক। ২০তম ওভারের প্রথম বলে হৃদয়কে তুলে নিয়ে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন কামিন্স। হ্যাটট্রিককের কারণে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সপ্তম এবং অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ব্রেট লি। ২০০৭ সালে এই বাংলাদেশের বিপক্ষেই হ্যাটট্রিকের দেখা পান তিনি।

অর্থ ও বিত্তবান হলে নাকি বেরিয়ে আসে মানুষের আসল চেহারাটা। খসে পড়ে মুখোশ বেরিয়ে আসে ভেতরের আসল মানুষটা। এক্ষেত্রে মেসি যেন বড্ড ব্যতিক্রম। এখনও সেই আগের মতোই আছেন। বিত্তবান, নাম যশ খ্যাতি রেকর্ড ও অর্জনে ঝুলিটা পূর্ণ হলেও মেসি বদলে যাননি এতটুকুও।। ছোট বেলার বান্ধবী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোকে আবর্তন করেই এখনও ঘূর্ণায়মান তার পৃথিবী।

ব্যক্তি জীবনে নিজেরে শৈশবের দিনগুলোতে রোকুজ্জোর সঙ্গে কাটানোর মধুর সময়। ফুটবলের জন্য স্পেনে চলে আসা এবং ফের তারকা খ্যাতি নিয়ে রোকুজ্জোর কাছে ফিরে যাওয়া। ফের দু’জনের একসঙ্গে পথ চলা। এসব গল্পই এবার কোপা আমেরিকা মিশনে নামার আগে মেসি শোনিয়েছেন তার ভক্তদের। খুলে দিয়েছেন ব্যক্তিগত জীবনের দুয়ার। যাকে অনুকরণ হিসেবে মেনে নিয়ে জীবন গড়তে পারলে কমতে পারে বিচ্ছেদ।

রোকুজ্জোর সঙ্গে মেসির পরিচয়টা হয়েছিল তার চাচাত ভাই লুকাসের মাধ্যমে। যার সঙ্গে মেসির বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল নিওয়েলস ওল্ড বয়েজে খেলার সময়। সেই বন্ধুত্বের সূত্র ধরেই রোকুজ্জোদের বাড়িতে যাওয়া আসা হতো মেসির। সেখানেই রোকুজ্জোর প্রতি তার ভালোলাগা শুরু।

যা নিয়ে মেসি বলেন, ‘আমি ওদের বাড়িতে যেতাম, ওর সঙ্গে দেখা হতো, তখন খুবই ছোট ছিলাম। সবসময় আমি ওকে পছন্দ করতাম। এরপর যখন আমার বয়স ১৩ বছর, আমি স্পেনে চলে গেলাম এবং যেভাবেই হোক যোগাযোগাটা নষ্ট হয়ে গেল।’

স্পেনে যাওয়ার পর রোকুজ্জোর সঙ্গে যোগাযোগটা থেমে গিয়েছিল মেসির। যা নিয়ে মেসি বলেন, ‘এখনকার চেয়ে তখন যোগাযোগ করা ছিল আরও বেশি কঠিন। চিঠিপত্র, ইমেইল কিংবা ল্যান্ডলাইন ফোনের মাধ্যমে হতো, যেটা ছিল ব্যয়বহুল। তো আমরা কথা বন্ধ করে দিলাম। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল, কেবল রোকুজ্জোর সাথে নয়, লুকাসের সাথেও।’

এরপর যৌবনে ফের রোকুজ্জোর সঙ্গে দেখা হয় মেসির। যা নিয়ে মেসি বলেন, ‘১৬ বা ১৭ বছর বয়সে ফের সাক্ষাৎ হওয়ার আগ পর্যন্ত, মেসেঞ্জারের কারণে যোগাযোগ সহজতর হলো, আমরা বার্তা আদান-প্রদান করতাম। আবারও কাছাকাছি এলাম। ছোট বেলায় পরস্পরের প্রতি যে অনুভূতি ছিল, সেটা কখনও হারিয়ে যায়নি, কিছুই বদলায়নি। ১৯-২০ বছরে আমরা ডেটিংও শুরু করে দিলাম।’

দীর্ঘ পথচলায় রোকুজ্জোকে ঈর্ষা করার কথাও স্বীকার করেছেন মেসি। যা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন করি না, কিন্তু হ্যাঁ, আগে করতাম, যখন তরুণ ছিলাম। আমার হাতে সময় ছিল, কিন্তু এখন সেটা একদমই নেই। যখন ছোট ছিলাম, সম্পর্কের শুরুতে যখন আমরা বয়ফ্রেন্ডের মতো ছিলাম, তখন ঈর্ষাপরায়ণ ছিলাম; এখন একটুও না।’

বাংলাদেশের পেস আক্রমনে দিন দিন ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন তরুণ র্তুকী তানজিম হাসান সাকিব। এখন পর্যন্ত চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বেশ সফল তিনি। গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচে নিয়েছেন ৯ উইকেট। আজ নেপালের বিপক্ষেও বল হাতে ছড়ি ঘুরিয়েছেন তিনি। ৪ ওভারে ২ মেডেনসহ মাত্র ৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

স্বল্প রানের টার্গেট দিয়েও নেপালের বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশ। তবে টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দিয়ে নেপালের ব্যাটিং অর্ডার পঙ্গু করে দিয়েছিলেন তানজিম সাকিব। যদিও পরে বাকি কাজ সেরে নেয় সাকিব-মুস্তাফিজরা। নিজের এই বোলিংয়ের মাধ্যমে আরও একটি মাইলফলক স্পর্শ করেন তানজিম সাকিব। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ২১টি বল ডট দিয়ে সর্বোচ্চ ডট বলের রেকর্ড গড়েছেন।

৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপে বাংলাদেশি বোলাদের মধ্যে যা দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার। একইসঙ্গে টি-টুয়েন্টিতে তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিংও এটি। গত ১০ জুন নিউ ইয়র্কে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করা ১৮ রানে ৩ উইকেট ভেঙে দিলেন এক ম্যাচ পর। প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের এক ম্যাচে নিলেন দুটি মেডেন। তবে সাকিব জানিয়েছেন এই ম্যাচে তাঁর ভালো করার আত্মবিশ্বাসই তাকে দিয়েছে সফলতা। 

ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে এসে এই কথাই  বলেন তিনি। সাকিব বলেন, “(স্বল্প রানের টার্গেট) আমরা আতঙ্কিত হইনি। (ইনিংস বিরতিতে) আমরা বিষয়গুলো সহজ রাখতে চেয়েছিলাম। ভালো জায়গায় টান বল করে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল, এই স্কোর দিয়েই জেতা সম্ভব। বোলিংয়ে ভালো করায় এটা সম্ভব হয়েছে

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।