খেলাধুলা

একসময় টানা ফাইনাল হেরেই যাচ্ছিলো আর্জেন্টিনা। ২০১৪ সালের পর ব্যাক টু ব্যাক কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির কাছে হারে তারা। ২০১৬ কোপা ফাইনালে হেরে অবসরের ঘোষণাই দিয়ে ফেলেছিলেন এলএমটেন। এরপর আর্জন্টিনার সময় পরিবর্তন হয়েছে। কোপা, ফিনালিসিমা, বিশ্বকাপ জয়ের পর আবারও কোপার ফাইনালে আলবিসেলেস্তেরা।

এবার আরও একটি কোপার ফাইনালে দল। আরও একটি শিরোপার অপেক্ষায় সময়ের অন্যতম সেরা তারকা। প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া। সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে মুখোমুখি হবে দুই দল। দলের এই দারুণ সময় উপভোগ করছেন মেসি। এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন এখন অবসর নিয়ে ভাবছেন না। দলের এই ভালো সময়টা শুধু উপভোগ করতে চান।

ফ্লোরিডার উপকণ্ঠে মিয়ামির হার্ডরক স্টেডিয়ামে সোমবার ভোরে ফাইনালের মহারণে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা-কলম্বিয়া। ৬৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার মাঠে বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় শুরু ম্যাচ। এই ম্যাচ দিয়েই কোপাকে বিদায় বলবে আর্জেন্টিনার তারকা ডি মারিয়া। তবে অবসর ভাবনায় আপাতত নেই মেসি।

মেসি বলেন, ‌এই মুহূর্তে এটা নিয়ে আমি ভাবছি না। আমি উপভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। কী ঘটছে, কী অর্জন করছি, এসব আমি দিন ধরে ধরে ভাবছি। জাতীয় দলের জার্সিতে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছি, আবার খারাপ সময়ও কাটিয়েছি। এখন শুধু উপভোগের মধ্যে থাকতে চাই। যতক্ষণ না মনে হবে যে, দলকে আমার আর দেয়ার নেই, ততক্ষণ পর্যন্ত এভাবেই চালিয়ে যাব।

অপরদিকে আর্জেন্টিনা জিতেছে এমন সবগুলো ফাইনালেই গোল করেছেন ৩৬ বছর বয়সী ডি মারিয়া। এবারের কোপার ফাইনালেও তার কাছে গোল চান অধিনায়ক মেসি। বরাবরের মতো ক্যারিয়ারের শেষ ফাইনালেও সতীর্থ-বন্ধু ডি মারিয়ার কাছে এমন আবদার লিওর।

উল্লেখ, সোমবারের ফাইনাল জিতলে জাতীয় দলের হয়ে চারটি শিরোপা জিতবেন লিও।

১৪ জুন শুরু হওয়া প্রতিযোগিতার পরিসমাপ্তি হচ্ছে ১৪ জুলাই রাতে। ইউরোর ফাইনালে স্পেনের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। স্প্যানিশরা তিনবার ইউরো কাপ জিতার রেকর্ড থাকলেও ইংল্যান্ড জিতেনি একবারও। তবে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি ইংলিশরা। তিন বছর আগে ফাইনালে উঠে সেই খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল গ্যারেথ সাউথগেটের ইংল্যান্ডকে। সেবার প্রতিপক্ষ ছিল ইতালি। এবার প্রতিপক্ষ তার থেকে শক্তিশালী স্প্যানিশরা।

স্পেন যে ফেভারিট তা মানছেন ইংল্যান্ড কোচ সাউথগেট। তিনি বলেন, স্প্যানিশদের আটকাতে হলে তার দলকে নিখুঁত ফুটবল খেলতে হবে। ইংল্যান্ড কোচ বলেন, স্পেন এই টুর্নামেন্টে যা খেলেছে তাতে ওরাই ফেভারিট। ওরাই এবারের সেরা দল। কোয়ার্টার, সেমি এবং ফাইনাল, তিনবারই ওরা মাঝখানে একদিন বেশি পেয়েছে। তাই আমাদের তরতাজা হয়ে ওঠার ব্যাপারে নজর দিতে হবে। কৌশলগতভাবে আমাদের পারফেক্ট হতে হবে কারণ ওরা এতটাই ভালো দল।

নিজেদের টানা দ্বিতীয় ফাইনাল নিয়ে ইংলিশ কোচ বলেন, আমাদের নিখুঁত ফুটবল খেলতে হবে। আমাদের কোন জায়গায় সমস্যা আছে, সেগুলো আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। মাঠে নিজেদের সেরাটা দেয়াই মুল লক্ষ। বিদেশের মাটিতে এই প্রথমবার ফাইনালে উঠেছি। আমি অনেক বেশি খুশি খেলোয়াড়দের জন্য।

টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে অবশ্য বেশ সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিলেন সাউথগেটকে। দর্শকরা খুশি ছিলেননা তার টেকনিক নিয়ে। কাপ জিতে তাই নিজেকে প্রমাণ করতে চাইবেন তিনি।

২০১৮ সালে সবশেষ উয়েফা নেশন্স লিগে মুখোমুখি হয় দুই দল। সেবার স্পেনকে হারায় ইংলিশরা। এর আগে ১৯৯৬ সালে প্রথম বারের মতো ইউরোর নকআউট পর্ব কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড ও স্পেন।
সেবার ওয়েম্বলিতে স্প্যানিশদের টাইব্রেকারে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড।

আর মাত্র এক ম্যাচ। তারপরই শেষ হচ্ছে ইউরোর মহারণ। ফাইনালে উঠেছে দুই শক্তিশালী দল স্পেন ও ইংল্যান্ড। দু’দলই নিজেদের শেষ প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে। কে হবে ইউরোর ২০২৪ এর চ্যাম্পিয়ন সেটা নিশ্চিত হওয়া যাবে ১৪ জুলাই দিবাগত রাত ১টায়।

ইংল্যান্ড ও স্পেনের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচের জন্য রেফারি নিয়োগ দিয়েছে উয়েফা। ফরাসি রেফারি ফ্রাঁসোয়া লেটেক্সিয়ার ম্যাচ নিয়ন্ত্রন করবেন বলে নিশ্চিত করেছে কনফেডারেশন। ফ্রান্স, পোল্যান্ড ও ইতালির কর্মকর্তাসহ আট সদস্যের একটি দলের অংশ হিসেবে বার্লিনের অলিম্পিয়াস্টাডিয়নে এই ম্যাচের তদারকি করবেন লেটেক্সিয়ার।

উয়েফা বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ৩৫ বছর বয়সী ফরাসি রেফারি ফ্রাঁসোয়া লেটেক্সিয়ার বার্লিনে স্পেন ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে রেফারি হিসাবে থাকবে। ২০১৭ সাল থেকে উয়েফার রেফারির দায়িত্ব পালন করা লেটেক্সিয়ার এই সময়ে ৬৫টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। ইউরো ২০২৪-এর গ্রুপ পর্বে স্পেন ও জর্জিয়া, ডেনমার্ক ও সার্বিয়া এবং ক্রোয়েশিয়া ও আলবেনিয়ার মধ্যকার ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে চতুর্থ অফিশিয়াল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন লেটেক্সিয়ার।

উয়েফা আরও জানিয়েছে, লেটেক্সিয়ারের সাথে ফরাসি সহকারী সিরিল মুগনিয়ার এবং মেহদি রাহমাউনি এবং পোল্যান্ডের সিজিমন মার্চিনিয়াক চতুর্থ কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করবেন। ভিএআরের দায়িত্ব পেয়েছেন ফ্রান্সের জেরোম ব্রিসার্ড এবং তাকে সহায়তা করবেন ফরাসি তারকা উইলি দেলাজোদ ও ইতালির মাসিমিলিয়ানো ইরাতি। সহকারী রিজার্ভ রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন পোল্যান্ডের টমাজ লিস্টকিউইচ।

৪৮তম কোপা আমেরিকার আর মাত্র দুটি ম্যাচ বাকি। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ও মেগা ফাইনাল। প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্রে্র ফ্লোরিডা। কোপার শতবর্ষী আসরের ৮ বছর পর মার্কিন মুলুকে আবারও কোপা আমেরিকার আয়োজন। তবে আসর শেষ না হতেই যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে নতুন খবর, ছাঁটাই করা হয়েছে তাদের হেড কোচ গ্রেগ বারহল্টারকে।

বুধবার (১০ জুলাই) এক বিবৃতিতে এই খবর জানায় দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান সিন্ডি পার্লো। কোচকে বরখাস্ত করার পর মার্কিন ফুটবল এগিয়ে নেয়ার জন্য নতুন কোচও খুঁজতে বলা হয় ফেডারেশনের কর্তাদের।

এবারের আসরে বলিভিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে আসরে দুর্দান্ত শুরু করেছিল স্বাগতিকরা। তবে এরপরেই ছন্দপতন। পানামার কাছে ২-১ ও উরুগুয়ের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের। এবার তাদের নজর প্রতিবেশী দুই দেশ কানাডা ও মেক্সিকোর সাথে যৌথভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজন এবং সেখানে ভালো ফলাফল নিয়ে আসা। তাই এখন থেকেই কাজ শুরু করতে চাইছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন।

২০১৮ সালে প্রথমবার মার্কিন ফুটবলের দায়িত্ব নিয়ে বেশ ভালো ফলাফলই বয়ে এনেছিলেন বারহল্টার। সবশেষ কাতার বিশ্বকাপে নকআউটে খেলে তার শিষ্যরা। তবে সেই টুর্নামেন্টের পরই দলের খেলোয়াড়দের সাথে বিবাদে জড়ানোয় কোচের পদ থেকে অব্যহতি দেয়া হয় তাকে।

মাঝে কয়েকমাস অন্তর্বর্তীকালীন কোচ দিয়ে চালানও হয় জাতীয় দলের কার্যক্রম। তবে আবারও তাকে ডাগআউটে ফেরায় দেশটির বোর্ড। নতুন চুক্তি অনু্যায়ী দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ পর্যন্ত তার সাথে দলের থাকার কথা থাকলেও কোপার ফলাফল পরিস্থিতি পরিবর্তন করে দেয়। ৭৪ ম্যাচে ডাগআউটে দেখা গেছে গ্রেগকে, যার মধ্যে ৪৪টি ম্যাচ জিতেছে তার শিষ্যরা।

ভারতের হরভজন সিংয়ের সঙ্গে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের দ্বন্দ্ব যে কিছুতেই থামার নয়। কোনো ব্যাপারে যদি পাকিস্তান জড়িয়ে যায়, তখন ভারতীয় ক্রিকেটারের মুখ ছোটে তরবারির মতো। এক মাসের ব্যবধানে আরও একবার দ্বন্দ্বে জড়ালেন হরভজন ও কামরান আকমল। 

জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় হরভজনের সঙ্গে প্রথম দ্বন্দ্ব বাধে আকমলের। নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ চলার সময় আর্শদীপ সিংকে নিয়ে বেঁফাস মন্তব্য করেন আকমল। হরভজন পরে তীব্র প্রতিবাদ জানালে ক্ষমা চেয়েছিলেন আকমল। দুই সাবেক ক্রিকেটারের আবার দেখা হয়েছে ইংল্যান্ডে চলমান ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডসে (ডব্লিউসিএল)। চলতি সপ্তাহের শনিবার বার্মিংহামে ভারতীয় চ্যাম্পিয়ন ও পাকিস্তানি চ্যাম্পিয়ন দলের ম্যাচ শেষে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে আকমল ও হরভজনের। সামাজিকমাধ্যমে দ্রুত সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। 

হরভজনের সঙ্গে কী বিষয়ে ঝগড়া হয়েছিল, তা নিয়ে মুখ খুলেছেন আকমল।

স্থানীয় এক ইউটিউব চ্যানেলে আকমল বলেন, ‘আমি একটা ভুল করেছিলাম এবং সেটা নিয়েই কথা বলছিলাম তার সঙ্গে। আমি কখনোই কারও ধর্মকে আঘাত করে কথা বলার চিন্তাই করিনি (আর্শদীপের প্রসঙ্গ)। পরে আমি তার (হরভজন) সঙ্গে আলাপ করছিলাম বাবর আজমকে নিয়ে কৌতুক করায়। স্বীকার করে নিচ্ছি, বাবর ও ব্রায়ান লারার ক্লাস জীবনেও মিলবে না। তাদের তুলনা করার কোনো মানেও হয় না। তবে ক্রিকেটার হিসেবে কখনো আমাদের কৌতুক করা উচিত নয়। তিনিও বুঝতে পেরেছেন যে এটা করা উচিত হয়নি।’ 

বাবরকে নিয়ে হরভজনের কৌতুকের ঘটনা সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরপরই। এক স্পোর্টস প্ল্যাটফরমে হরভজনকে প্রশ্ন করা হয়, কুমার সাঙ্গাকারা ও ব্রায়ান লারা এই দুজনের মধ্যে কাকে বেছে নেবেন তিনি (হরভজন)? উত্তরে হরভজন বলেছেন লারার নাম। পরের প্রশ্ন, লারা ও বাবর আজমের মধ্যে হরভজন কাকে বেছে নেবেন? হরভজন উত্তর দেবেন কীভাবে, তিনি তো হেসেই কুল পাচ্ছিলেন না।

মার্সেলো বিয়েলসা—এ নামটাতেই কি আগামী পরশু সকালে বড় ভয় লুকিয়ে ব্রাজিলের জন্য!

গত বছরের ১৭ নভেম্বর। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে। আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা বরাবরের মতো সেদিনও আরেকটি নৈমিত্তিক জয়ের প্রত্যাশায় বসেছিলেন খেলা দেখতে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা তখন টানা ১৪ ম্যাচ অপরাজিত।

এমনকি ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের পর খেলা টানা ৮ ম্যাচে কোনো গোলও হজম করেনি তারা। এমন একটি দলকে হারানো তো এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার মতো কঠিন কিছু। কিন্তু কে জানত, প্রকৃতি অলক্ষ্যে বসে লিখছিল ভিন্ন এক চিত্রনাট্য!

১৪ ম্যাচ পর সেদিন উরুগুয়ের কাছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ২-০ গোলে হেরে থেমেছিল আর্জেন্টিনার জয়রথ। প্রকৃতি কী, আসলে তো সেদিন বুয়েনস এইরেসে উরুগুয়ের ডাগআউটে বসে আর্জেন্টাইন বিয়েলসাই রচনা করেছিলেন আর্জেন্টিনাকে হারানোর ‘মাস্টারপ্ল্যান’। আর্জেন্টিনাকে হারানোর আগের ম্যাচেই তাঁর আরেক মহাপরিকল্পনায় উরুগুয়ে হারিয়েছিল ব্রাজিলকে। ১৯৬০ সালের পর প্রথমবারের মতো একই পঞ্জিকাবর্ষে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনাকে হারানোর কীর্তি গড়ে উরুগুয়ে।

পরপর দুই ম্যাচে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে উরুগুয়ে ফুটবল–দুনিয়াকে জানান দিয়েছিল, বিয়েলসাকে সারথি করে সামনের দিনগুলোয় বড় অর্জনেই চোখ তাদের। চলতি কোপা আমেরিকায়ও সেই লক্ষ্যে অবিচল বিয়েলসার দল। টানা তিন ম্যাচ জিতে গ্রুপ–সেরা হয়েই শেষ আট নিশ্চিত করেছে তারা। গ্রুপ পর্বে ৩ ম্যাচে ১ গোল হজম করার বিপরীতে উরুগুয়ে গোল করেছে ৯টি।

শুধু গোল করাতেই নয়, উরুগুয়ের মাঠের পারফরম্যান্সও ছিল অনবদ্য। এমনকি অনেকের কাছে ব্রাজিলের বিপক্ষে বাংলাদেশ সময় আগামী পরশু সকালের কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ে ফেবারিটও বটে। দারউইন নুনিয়েজ-রোনাল্দ আরাউহোর মতো দলের তারকা খেলোয়াড়েরাও আছেন দারুণ ছন্দে। এই উরুগুয়েকে থামানো ব্রাজিলের জন্য তাই কঠিনই হবে।

শ্রীলংকান প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) জাফনা কিংসের কাছে ৪ উইকেটে হারল মোস্তাফিজ-তাওহিদের দল ডাম্বুলা সিক্সার্স। টুর্নামেন্টে এটি তাদের টানা দ্বিতীয় হার।

ডাম্বুলার হয়ে প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়া তাওহিদ হৃদয়কে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি। তবে ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত এক থ্রোয়ে রানআউট করে নজর কেড়েছেন তিনি।

 

অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে খরুচে বোলিং করা মোস্তাফিজুর রহমান কিছুটা ছন্দে ফিরেছেন। ৩০ রানে ২ উইকেট নিয়েও অবশ্য জয় এনে দিতে পারেননি দলকে। ডাম্বুলার লংকান বোলাররা যে দুই হাতে রান বিলিয়েছেন।

জাফনা কিংসের বিপক্ষে বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম ওভারেই কুশল মেন্ডিসের উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজ। ১৭তম ওভারে জাফনার অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কাকেও সাজঘরের পথ চেনান এই বাঁহাতি পেসার।

তবে ততক্ষণে কিছুটা দেরি হয়ে গেছে। কারণ চতুর্থ উইকেটে আভিশকা ফার্নান্দো এবং আসালাঙ্কার ১৩৪ রানের জুটিতে ডাম্বুলার দেওয়া ১৯২ রানের লক্ষ্য তাড়া করার পথে অনেকটা এগিয়ে যায় জাফনা।

ফার্নান্দো ৩৪ বলে ৭ চার এবং ৬ ছক্কায় করেন ৮০ রান। ৩৬ বলে ৫০ রান আসে আসালাঙ্কার ব্যাটে। এই দুই ইনিংসে বৃথা যায় ডাম্বুলার হয়ে করা কুশল পেরেরার ৫২ বলে ১০২ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস।

উল্লেখ্য, আসরের প্রথম ম্যাচে ক্যান্ডি ফ্যালকনসের কাছে ৬ উইকেটে হারে ডাম্বুলা। সেই ম্যাচে ১ রানে আউট হয়ে যান হৃদয়। ৩ ওভার বল করে ৪৪ রান খরচায় ১ উইকেট নেন মোস্তাফিজ।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সদ্য শেষ হওয়া আসরে তাসকিন আহমেদের খেলারই কথা ছিল না। চোট কাটিয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে না পাওয়া সত্ত্বেও তার ওপর আস্থা রাখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। 

শুধু তাই নয়, জাতীয় দলের এই পেসারকেই বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসরে সহ-অধিনায়কের মতো গুরু দায়িত্ব দেয় বিসিবি। কিন্তু সেই গুরু দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেন তাসকিন।

বিশ্বকাপের সুপার এইটের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত। ক্রিকেট পরাশক্তি প্রতিবেশী এই দলের সঙ্গে খেলা মানেই ম্যাচের পরতে পরতে বাড়তি উত্তেজনা বিরাজ করে।

অথচ ভারতের মতো শক্তিশালী এবং চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নিজের অবহেলার কারণে খেলতে পারেননি তাসকিন। সেই ম্যাচে ঘুমের কারণে টিম বাস মিস করেন তিনি। টস হওয়ার ৫-১০ মিনিট আগে মাঠে পৌঁছানোর কারণে তাকে একাদশে রাখতে পারেনি টিম ম্যানেজমেন্ট।

অথচ এর চেয়েও মামুলি অপরাধের কারণে ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে অস্ট্রেলিয়া থেকে বিশ্বকাপের মাঝ পথেই দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয় পেস বোলার আল-আমিনকে।

বিশ্বকাপে ভারত ম্যাচে তাসকিনের না খেলার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু বিষয়টি গোপন থাকেনি। এ নিয়ে সর্বপ্রথম সংবাদ প্রকাশ করে ভারতীয় ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। তাদের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘুমের কারণে নাকি খেলতে পারেননি তাসকিন। 

কিন্তু জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছেন ভিন্ন কথা। আজ বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সাকিব বলেন, ‘তাসকিন টস হওয়ার ৫-১০ মিনিট আগে মাঠে গিয়েছে। তখন হয়তো খেলানোর সুযোগ ছিল না। এছাড়া অন্য কারণও থাকতে পারে আমি তা জানি না।’

ঘুমের কারণে মাঠে পৌঁছাতে দেরি হওয়ার কথা স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন তাসকিন, ‘আমার একটু দেরি হয়েছিল। তবে যেটা বলা হচ্ছে টসের পর গেছি, এটা ভুল। টস হওয়ারও আধঘণ্টা বা ৪০ মিনিট আগে পৌঁছেছিলাম মাঠে।’

ভারতের বিপক্ষে তাসকিনের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পান জাকের আলী অনিক। তবে ঘুমের কারণেই সেই ম্যাচে দলে জায়গা হয়নি তার, এই কথা মানতে নারাজ এই ডানহাতি পেসার, ‘টিম বাস আমি মিস করেছিলাম। সকাল সাড়ে ৮টায় ছিল বাস ছাড়ার সময়। বাস ছেড়েছিল ৮টা ৩৫ মিনিটে। আমি ৮টা ৪৩ মিনিটে গাড়িতে করে মাঠে গেছি। মানে বাসের সঙ্গে সঙ্গেই গিয়েছি। পরে পৌঁছেছি। আমাকে যে খেলায়নি, সেটা দেরিতে যাওয়ার জন্য নয়। এমনিই খেলায়নি।’

উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যৌথভাবে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন তাসকিন। ৬ ম্যাচে বল করে ৮ উইকেট ঝুলিতে পোরেন এই পেসার। এক ম্যাচ বেশি খেলে তার সমান উইকেট পান মোস্তাফিজুর রহমানও।

সেমিফাইনালে জিতে চোকার্স অপবাদ ঘুচেছে দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু জিততে জিততে হেরে যাওয়ার স্বভাব বদলায়নি। ভারতের বিপক্ষে টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে শিরোপা ছোঁয়া দূরত্বে ছিল প্রোটিয়ারা। সেখান থেকে হুট করে 'চোকিং' করে ৭ রানে হেরেছে তারা। ১৭৬ রানের পুঁজি গড়ে প্রোটিয়াদের ১৬৯ রানে থামিয়ে দিল ভারত। এতে ফাইনালে বারবার পা হড়কানো ভারত ১৭ বছর পর টি-২০ বিশ্বকাপের এবং ১১ বছর পর আইসিসির টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কপিল দেব ও মহেন্দ্র সিং ধোনির পর ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো তৃতীয় অধিনায়ক হওয়ার গৌরব অর্জন করলেন রোহিত শর্মা।

ভারতের জয়ের নায়কদের একজন বিরাট কোহলি। আসর জুড়ে ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী ভারতীয় মহাতারকা নিজেকে মেলে ধরেন ফাইনালে। খেলেন ৫৯ বলে ৭৬ রানের চমৎকার এক ইনিংস। এতে ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে। যদিও পাওয়ার প্লের মধ্যে ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল ভারত। সেখান থেকে কোহলি ও অক্ষর ৭২ রানের দারুণ জুটি গড়ে ওই ধাক্কা সামাল দেন। ব্যাট হাতে ৪৭ রান করে বড় অবদান রাখেন অক্ষর প্যাটেল।

এরপর কোহলি শিভম দুবেকে সঙ্গে নিয়ে ৩৩ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়ে আউট হন। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানো ভারত শেষ পর্যন্ত গেল ১৭৬ পর্যন্ত। যেটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে সর্বোচ্চ স্কোর। বল হাতে প্রোটিয়াদের কেশব মহারাজ ৩ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন মার্কো জানসেন, কাগিসো রাবাদা ও আনরিখ নরকিয়া।

১৭৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১২ রানের মধ্যে জোড়া উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫ বল খেলে ৪ রান করে আউট হন রেজা। মার্করামও ফেরেন ৪ রান করে। এরপর দলের হাল ধরেন কুইন্টন ডি কক ও ক্রিস্টান স্টাবস। ৩৯ রান করে ডি কক ও ৩১ রান করে স্টাবস বিদায় নিলে দল চাপে পড়ে যায়। তবে ক্লাসেন ও মিলার সেই চাপকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেন। জয়ের আশা দেখা ভারত মুহূর্তেই ম্যাচ ফসকে যেতে দেখে।

দুটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ২৭ বলে ৫২ রান করে ক্লাসেন যখন বিদায় নেন, ততক্ষণে মনে হচ্ছিল ভারত ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে। তবে ৪ বলে ২ রান করে মার্কো জানসেন বুমরাহর বলে বোল্ড হলে আবারো ম্যাচে ফেরে ভারত। শেষ ৩ ওভারে ২২ রান প্রয়োজন ছিল। বুমরাহর করা ১৮তম ওভারে আসে মাত্র ২ রান।

শেষ ওভারে ১৬ রান প্রয়োজন ছিল প্রোটিয়াদের। মিলার হার্দিককে লং অফে উড়িয়ে মারলেও সূর্যকুমার অবিশ্বাস্য ক্যাচে ৬ রান আটকানোর পাশাপাশি ৭ম উইকেটের পতন ঘটান। শেষপর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েই মাঠ ছাড়ে ভারত। 

বল হাতে আলো ছড়ান আর্শদীপ সিং ও জাসপ্রিত বুমরাহ। ৪ ওভারে ২০ রান দেন আর্শদীপ, বুমরাহ দেন কেবল ১৮। তাদের প্রাপ্তি দুটি করে উইকেট। ভারতের সফলতম বোলার অবশ্য হার্দিক পান্ডিয়া। ৩ ওভারে ২০ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তিনি।

ক্রিকেট-বিধাতা আজ প্রাপ্যটা কাকে বুঝিয়ে দেবেন-ভারত নাকি দক্ষিণ আফ্রিকাকে? যে কোনো নিরপেক্ষ ক্রিকেটপ্রেমী স্বীকার করতে কুণ্ঠিত হবেন না যে, একটি বৈশ্বিক শিরোপা দুদলেরই ‘প্রাপ্য’ হয়ে গেছে।

সেই প্রাপ্য বুঝে নেওয়ার তীব্র তাড়নায় পুরো আসরে অপরাজিত থেকে এবারের টি ২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল অবধি পৌঁছেছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশ সময় আজ রাত সাড়ে ৮টায় ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র বারবাডোজের ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে টি ২০র বিশ্বসেরা হওয়ার ধুন্ধুমার লড়াইয়ে যুঝবে দুদল। টি ২০ বিশ্বকাপের ১৭ বছরের ইতিহাসে ভারতের সামনে দ্বিতীয় এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে প্রথম শিরোপার হাতছানি।

ওয়ানডে ও টি ২০ মিলিয়ে সাত সাতবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায়ের শোকগাথা পেছনে ফেলে এবারই প্রথম ফাইনালের চৌকাঠে পা রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। একটি অপেক্ষার অবসানের পর এবার শিরোপার আজন্ম হাহাকার ঘোচানোর অপেক্ষায় রংধনুর দেশ। শিরোপা অবশ্য একটি আছে দক্ষিণ আফ্রিকার। সেটি ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে জেতা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম আসরের শিরোপা। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল প্রোটিয়ারা। এরপর আরেকটি ফাইনালের দেখা পেতেই লেগে গেল ২৬ বছর। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আর বিশ্বকাপের ওজন অবশ্য এক নয়। আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে ভারতের জেতা সবশেষ শিরোপাও এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সেটি এসেছিল ২০১৩ সালে। এরপর গত ১১ বছরে প্রায় সব টুর্নামেন্টে ফেভারিট হিসাবে শুরু করে শেষ পর্যন্ত স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়েছে ভারত। গত বছর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে তারা হেরেছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে। এর আগে ২০১৪ টি ২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে হার শ্রীলংকার বিপক্ষে। টি ২০ বিশ্বকাপে ভারত তাদের একমাত্র শিরোপাটি জিতেছে সেই ২০০৭ সালের প্রথম আসরে। সব মিলিয়ে শিরোপার জন্য রোহিত, কোহলিদের অপেক্ষাও কম দীর্ঘ নয়।

তাহলে ক্রিকেট-বিধাতা এখন কী করবেন? সমাধান একটা আছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, আজ ও আগামীকাল ক্যারিবীয় সাগরের দ্বীপরাষ্ট্র বারবাডোজে মাঝারি বৃষ্টি ও বজগ্ম-চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে। বাস্তবে অবশ্য সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ। রিজার্ভ ডে থাকায় বৃষ্টি ঝামেলা পাকালেও দুদিন মিলে অন্তত ১০ ওভারের ম্যাচ আয়োজন খুবএকটা কঠিন হবে না। খেলা হলে শক্তি ও অভিজ্ঞতায় ভারতের চেয়ে খানিকটা পিছিয়ে থাকলেও সুতীব্র আকাঙ্ক্ষায় শেষ বাধা পেরোতে মরণকামড় দিতে প্রস্তুত নেলসন ম্যান্ডেলার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। সেমিফাইনালে আফগানিস্তানকে নয় উইকেটে চূর্ণ করার পর প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম বলে দিয়েছেন, ‘বিশ্বাসের শক্তি সবচেয়ে বড় শক্তি। আমরা বিশ্বাস করি, ফাইনালে বিশ্বের সেরা দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমরা ট্রফি জিততে পারব।’ প্রোটিয়া স্পিনার তাবরাইজ শামসির কণ্ঠেও অভিন্ন সুর, ‘ফাইনালে উঠতে নয়, ফাইনাল জিততে এসেছি আমরা।’

বৃষ্টিবিঘ্নিত সেমিফাইনালে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হেসেখেলে ৬৮ রানে হারানোর পর এমন কোনো ঘোষণা না দিলেও নিজেদের সাফল্যের রহস্য জানিয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। যে কোনো পরিস্থিতিতে শান্ত থাকার মন্ত্রে অবিচল থেকে এবার ফাইনালও জিততে চান রোহিত, ‘আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করব। দল ভালো অবস্থায় আছে। আশা করি, ফাইনালেও শান্ত থেকে কাজটা ভালোভাবে শেষ করতে পারব। পুরো আসরে দল হিসাবে আমরা ধীরস্থির থেকেছি। কখনোই অস্থির হইনি। আমাদের সাফল্যের পেছনে এটাই ছিল মূল ব্যাপার। উপলক্ষ্য যত বড়ই হোক না কেন, ভালো ক্রিকেট তো খেলতে হবে।’

ধারণা করা হচ্ছে, আজকের ফাইনাল দিয়েই আন্তর্জাতিক টি ২০ ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টানতে পারেন ভারতের দুই ব্যাটিং স্তম্ভ রোহিত ও বিরাট কোহলি। রোহিত দারুণ ছন্দে থাকলেও সাত ইনিংসে কোহলির ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৭৫ রান। তবে ফাইনালে তাকে একাদশ থেকে বাদ দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে রোহিত বলেছেন, ‘আমরা তার মান বুঝি। ১৫ বছর খেলার পর ফর্ম কোনো সমস্যা নয়। সেরাটা সম্ভবত ফাইনালের জন্য জমিয়ে রেখেছে বিরাট।’

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।