রাজনীতি

সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে।

তবে ঠিক কোন মামলায় আরাফাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। অনেকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই নৌকার প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন তিনি। পরে শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

আরাফাত দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের একজন থিংক ট্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন।

এর আগে, ২০২৩ সালের জুলাইতে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ‘হিরো আলম’কে হারিয়ে ২৮ হাজার ৮১৬ ভোটে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। তিনি কোথায় আছেন, সে সম্পর্কেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে, গত ১২ আগস্ট মোহাম্মদ আলী আরাফাত, তার স্ত্রী ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করার আদেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকর আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ (বিএফআইইউ)।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশনে দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানির পরবর্তী দিন আগামী রোববার (১ সেপ্টেম্বর) নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহবুবুল উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। রিটের পক্ষে রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া শুনানি করেন।

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আওয়ামী লীগের অপরাদের বিচার আইন অনুযায়ী হবে। দলটি নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল করা সংবিধান পরিপন্থী। আদালত একটি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করতে পারেন না।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান অনুযায়ী আছেন। তারা কতদিন থাকবেন, সেটা আদালতের আদেশের জন্য নিয়ে আসার বিষয় না। রিটের এই বিষয়টি মেইনটেবল না।

কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার ইচ্ছে বর্তমান সরকারের নেই বলে শুনানিতে জানান জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে গত ১৯ আগস্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিটটি করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া রিটটি করেন। এই রিটে যেসব প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনার নামে রয়েছে সেগুলোর নাম পরিবর্তনও চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া রিটে দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন বছর চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বিদেশে পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বদলি চাওয়া হয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ঘটা ‘গণহত্যা’ তদন্তে বাংলাদেশ জাতিসংঘকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সচিবালয়ে জাতিসংঘের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি সৈন্য নেয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন প্রতিনিধিরা। তারা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অবস্থান অক্ষুণ্ণ থাকবে।

বৈঠক শেষে জাতিসংঘের হাইকমিশনার দফতরের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রোরি মুঙ্গোভেন জানান, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত নৃশংসতা তদন্তের বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সব অভিযোগের সত্যানুসন্ধান ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশের সরকার, শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ সবাই সহযোগিতা করছে বলেও জানান তিনি।

২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনারদের দায়মুক্তি দেয়া কেন অবৈধ নয় বলে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

রিট শুনানিতে রিটকারী আইনজীবী অ্যাড. শিশির মনির বলেন, যদি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের কমিশনাররা যদি অবৈধ হয় তাহলে ওই দুটি নির্বাচনও অবৈধ হবে। আইন করে নির্বাচন কমিশনকে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

সেই দায়মুক্তির আইনে বলা হয়, এটা নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না। এটা আদালতের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এর আগে এই দুটি জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনারদের দায়মুক্তি দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পেশ করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবী।

একইসঙ্গে রিটে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না, এমন বিধান বাতিল চাওয়া হয়।

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। আজ সোমবার রাত পৌনে নয়টার দিকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শামীম আহমদ ও প্রচার সম্পাদক আবদুর রহমান জামিল। আবদুর রহমান জামিল রেড ক্রিসেন্ট সিলেট শাখারও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে আওয়ামী লীগের ওই দুই নেতা সৌদি আরব যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে যান। রাত পৌনে নয়টার দিকে ইমিগ্রেশনে গেলে তাঁদের আটক করা হয়। পরে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে সিলেট মহানগর পুলিশকে জানানো হয়।

সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুনু মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, আটক দুজনকে থানায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। তাঁদের কোন মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলার বিষয়টি তাঁরা দেখছেন।

জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার দেয়া ভাষণকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি ইতিবাচকভাবে দেখছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। এছাড়াও প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে যে রূপকল্পের কথা বলা হয়েছে, তা যথাসম্ভব দ্রুত জাতির সামনে উপস্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে দলের নেতারা।

সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেল ৪ টায় বিজয়নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।

এ সময় তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আকাঙ্খা পূরণে ছাত্র ও রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সমন্বয় করে উপদেষ্টা পরিষদের কাজ করা উচিত।

এক চাঁদাবাজের পরিবর্তে আরেক চাঁদাবাজ দেখতে চায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, গুম-খুনের বিচার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে দ্রুত। প্রশাসন, বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সক্রিয় করতে হবে।

বক্তব্যে মজিবুর রহমান মঞ্জু আরও বলেন, কিছুটা বিলম্বে হলেও জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে এবি পার্টি। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বর্তমান সরকার একটি ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। যা অতীতের সকল ধরনের সরকারের চেয়ে ভিন্নতর।

সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে ছাত্র ও রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা না করে উপদেষ্টা পরিষদ নিজেরা সিদ্ধান্ত নিলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা একটি ভিশনারি বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা আশা করি, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সমন্বয় করে তিনি বাস্তবিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

প্রশাসনে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের দ্রুত সরিয়ে দিতে অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যারা গণতন্ত্রের জন্য কাজ করতে আগ্রহী এবং বঞ্চিত হয়েছে বছরের পর বছর তাদেরকে নিয়োগ দেয়ার দাবিও জানান তিনি।

সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার বিজয়কে ভূলন্ঠিত করতে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করছে পরাজিত শক্তি। আওয়ামী চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগনকে সতর্ক থাকতে হবে। বন্যায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন যারা তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানান ফখরুল।

তিনি আরও জানান, কোনো দাবি আদায়ে ঘেরাও কিংবা চাপ দিয়ে নয় বরং নতুন সরকারকে সময় দিতে হবে। যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল আশা প্রকাশ করেন, সামগ্রিক রোডম্যাপ চূড়ান্ত করতে খুব শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনায় বসবে অর্ন্তবর্তী সরকার।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন–বিক্ষোভ করছেন। এমনকি এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও সচিবালয় ঘেরাওয়ের মতো ঘটনাও ঘটেছে। এসব থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রোববার সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টায় জাতীয় উদ্দেশে ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।

জুলাই–আগস্টে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে নিহত সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন ড. ইউনূস। শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। স্মরণাতীত কালের ভয়াবহ বন্যায় যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন, যাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বা যাঁরা সর্বস্ব হারিয়েছেন, যাঁরা দুঃসহ জীবন যাপন করছেন—তাঁদের স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, বন্যাদুর্গতদের জীবন দ্রুত স্বাভাবিক করার জন্য যাবতীয় উদ্যোগ সরকারি–বেসরকারি পর্যায়ে নেওয়ার আয়োজন করেছে সরকার। ভবিষ্যতে সব ধরনের বন্যা প্রতিরোধে আমাদের অভ্যন্তরীণ এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে যাতে যৌথভাবে নেওয়া যায়, সে আলোচনা শুরু করা হয়েছে। দেশের সকল বয়সের, সকল পেশার, সকল মতের, সকল ধর্মের সবাইকে বিনা দ্বিধায় এই সংগ্রাম যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

অন্তবর্তী সরকারের সংস্কার কর্মকাণ্ডের প্রতি পূর্ণ সমর্থন সমর্থন রয়েছে বিএনপির, তবে সেই সংস্কার হতে হবে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে। এমনটাই বলেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (২৫ আগস্ট) বিকেলে সিলেটে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। ফখরুল বলেন, কাউকে অনির্দিষ্টকাল সময় দেয়া যাবে না। রাষ্ট্র সংস্কারে দলগুলোর সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।

এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের লুটপাট, দখল বিষয়ে প্রশ্ন করলে মির্জা ফখরুল বলেন, যারা এসব অন্যায়ের সাথে জড়িত তারা বিএনপির কেউ নয়। তাদের চিহ্নত করে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে।

এর আগে, সকালে এক দিনের সফরে সিলেটে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘নারায়ণগঞ্জ-১’ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। 

শনিবার (২৪ আগস্ট) দিবাগত মধ্যরাতে তাকে শান্তিনগর থেকে আটক করা হয়। গত ২১ আগস্ট, নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

এরপর ৫ আগস্ট, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর, আনন্দ-মিছিলে রূপগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় স্কুলছাত্র রোমান মিয়া। এ ঘটনায়, নিহতের খালা রিনা বাদি হয়ে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, গোলাম দস্তগীর গাজী ও তার ছেলেসহ আসামি করে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ৪৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৬০ জনকে আসামি করা হয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।