রাজনীতি

প্রশাসনের দুর্বলতা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্যান্য উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ শেষে এ কথা জানান তিনি।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, গার্মেন্টস শিল্পের অসন্তুষ্টিসহ দূর্গা পূজার নিরাপত্তার বিষয়ে কথা হয়েছে। শ্রমিকদের পাওনার ব্যাপারে সরকারকে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছি।

আবার যাতে ফ্যাসিবাদ ফিরে না আসে সেজন্য সংস্কার দরকার বলে সরকারকে জানিয়েছেন মাহমুদুর রহমান মান্না। এ সময় তিনি বলেন, প্রশাসনের দূর্বলতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের সফলতা সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্যে নির্ভর করছে বলেও মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে নিয়মিত বৈঠকের জন্য একটি কাঠামো তৈরির জন্য বলেছি।

দেশ ছেড়ে পালানো আওয়ামী লীগ নেতাদের বেশিরভাগই ৫-৭ আগস্টের মধ্যে পালিয়েছেন। তবে এখন নতুন করে কারও পালানোর সুযোগ নেই। এমন মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে এপিবিএন মীর মুগ্ধর নামে করা একটি ভবন ও ফটকের উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলে তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আন্দোলনে নিহত প্রত্যেকে শহীদের মর্যাদা পাবেন। যারা আহত রয়েছেন তাদের সবার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার। এজন্য বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনা হবে। প্রয়োজনে আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যারা এখনও কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন, তারা আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নেই। বারবার সুযোগ দেয়ার পরও তারা যোগদান করেননি। তাদের ব্যাপারে এটিই অন্তর্বর্তী সরকারের শেষ সিদ্ধান্ত বলেও জানান তিনি।

সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ শুরু করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে প্রথমে বিএনপির সাথে বৈঠক করেন তিনি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে তাতে যোগ দেন দলটির ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল।

সংলাপ শেষে বেরিয়ে ব্রিফিংয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০০৭ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমল পর্যন্ত দায়ের করা মিথ্যা, গায়েবি ও উদ্দেশ্যমূলক মামলা প্রত্যাহারের কথা বলেছি। গুম-খুনের সাথে যারা জড়িত তারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। এখন পর্যন্ত জিয়াউল আহসান ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি যেন নির্বাচন সংস্কার কমিটিতে না যায়, আমরা সেই কথা বলেছি। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ভুয়া ভোটের মাধ্যমে গঠিত সকল ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করতে বলেছি। পক্ষপাতমূলক ভোট করার দায়ে ১৪, ১৮ ও ২৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় থাকা প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের আইনের আওতায় আনতে বলেছি। নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংসের মূল হোতা ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসনে যারা পতিত সরকারের দোসর ছিল, তাদেরকে সরাতে হবে। নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দায়িত্ব দিতে হবে। চুক্তিভিত্তিক কিছু নিয়োগ বাতিল করার কথা বলেছি। দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া ও দলকানা বিচারপতিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের এক নম্বর প্রায়োরিটি হচ্ছে নির্বাচন আয়োজন করা। তারা (সরকার) মনে করে আমাদের দাবিগুলো জনগণের দাবি। আর এ দাবিগুলো তাদেরও দাবি।

রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দেয়ার পক্ষে জামায়াত। নির্বাচনের চেয়ে সংস্কার বেশী গুরুত্বপূর্ণ। তবে সংস্কারে কথা বলে অযথা অন্তবর্তী সরকারের মেয়াদ প্রলম্বিত করা যাবে না। এমন মন্তব্য করেছেন জামায়াত ইসলামের আমীর ডা. শফিকুর রহমান।

শনিবার (৫ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এই সরকার দেশ শাসনের জন্য আসেনি। তারা ভোটের পরিবেশ তৈরি করার জন্য এসেছে। ড. ইউনূসের সাথে বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারকে নানা রকম সংস্কারের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তাছাড়া আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

জামায়েত আমীর আরও বলেন, সরকারকে দুটি রোডম্যাপ দেয়া হয়েছে। একটি সংস্কারের এবং অপরটি নির্বাচনের। আগামী ৯ অক্টোবর রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা জাতির সামনে তুলে ধরা হবে বলেও জানিয়েছেন দলটির এই শীর্ষ নেতা।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স দুই মাস হতে চলেছে। এর মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই দফায় সংলাপ করেছে সরকার। আজ তৃতীয়বারের মতো দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সংলাপে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পোশাকশিল্পে অস্থিরতা এবং সংস্কার কমিশনের কার্যক্রমের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে আমন্ত্রিত দলগুলো সূত্রে জানা গেছে।

আজ বেলা আড়াইটায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে তৃতীয় ধাপের সংলাপ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। সংলাপে বিএনপি ছাড়াও জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, সিপিবি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), ইসলামী আন্দোলনসহ আরও বেশ কয়েকটি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।

বিএনপিসহ সংলাপে অংশ নিতে যাওয়া দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, এবারের সংলাপ হবে খুবই সংক্ষিপ্ত। কী বিষয়ে আলোচনা হবে, সে বিষয়ে লিখিত কিছু জানানো না হলেও মৌখিকভাবে আলোচনার বিষয়বস্তু জানানো হয়েছে। এগুলো হচ্ছে—আসন্ন দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পোশাকশিল্পে অস্থিরতা এবং সংস্কার কমিশন। এসব বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি লিখিত আকারেও সংক্ষিপ্ত পরামর্শ দিতে বলা হয়েছে দলগুলোকে।

ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন অবশ্যই বাতিল করা উচিত। এই আইন বাতিল হবেই। এমন মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আইনটি পুরোপুরি বাতিল হবে নাকি ‘স্পিচ অফেন্স’ সংক্রান্ত মামলাগুলো বাতিল করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হবে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

আইন উপদেষ্টা বলেন, নতুন আইনের উদ্দেশ্য হবে সাইবার সুরক্ষা দেয়া। তাছাড়া, নারী ও শিশুদের স্পর্শকাতরতা বিবেচনা করে তাদের বিশেষ নিরাপত্তার ও নাগরিদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। এ সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলোও আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।

আসিফ নজরুল বলেন, সাইবার সিকিউরিটি আইন বা এর আগের পুর্বসূরী মামলাগুলো প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে সরকার চাইলেই সব মামলা প্রত্যাহার করতে পারেন না। ভুয়া মামলায় কেউ দোষী সাব্যস্ত হলেও তাকে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মুক্তি পেতে হবে। এ সময় সকল ধরণের কালা কানুন থেকে দেশকে মুক্ত করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারা পরিবর্তন করে ২০২৩ সালে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়। তাতে পুলিশকে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দেয়া হয়। তাছাড়া ডিজিটাল মাধ্যম থেকে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত অপসারণের পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষমতাও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে দেয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে কমানো হয় সাজার পরিমাণ। আগের আইনে ১৪টি জামিনঅযোগ্য ধারা ছিল। নতুন আইনে সেটি কমিয়ে চারটি করা হয়। আগের আইনটির ৫৭ ধারা সবচেয়ে ‘বিতর্কিত’ ছিল।

আগামী দিনে মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবে বলে অর্ন্তবর্তী সরকারের কাছে প্রত্যাশা করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদিন ফারুক। তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল।

আজ বুধবার (২ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সভায় বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে ফারুক বলেন, এখনও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা কেন প্রত্যাহার করা হলো না, তা এদেশের মানুষ জানতে চায়। বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতিবাজদের কেন এখনও গ্রেফতার করা হচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, যারা হাজারো মানুষকে হত্যা করেছে, তাদের বিচার করতে হবে। একইসঙ্গে এখনও আশুলিয়া, গাজীপুরে পোষাক শ্রমিকদের ওপর হামলা হচ্ছে কেন, সেই প্রশ্ন তোলেন। দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি তোলেন তিনি।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন বাতিল চেয়ে নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও মেয়র প্রার্থী ডা.শাহাদাত হোসেনের দায়ের করা মামলায় তাকে মেয়র ঘোষণা করেছেন আদালত। একইসঙ্গে আগামী ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালত এ রায় দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী জানান, ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি চসিক নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও ফল বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। রায়ে সদ্য অপসারিত মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীকে অবৈধ ঘোষনা করা হয়েছে। রায়ের সময় আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে মেয়র নির্বাচিত করা হয়। এতে রেজাউল করিম চৌধুরী ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ এবং তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শাহাদাত হোসেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট পান।

ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি চসিকের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে চট্টগ্রাম প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক খাইরুল আমিনের আদালতে নয়জনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা করেন ডা. শাহাদাত।

মামলার নয়জন বিবাদী হলেন— আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচনী কর্মকর্তা, সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা, মেয়র প্রার্থী আবুল মনসুর, এম এ মতিন, খোকন চৌধুরী, ওয়াহিদ মুরাদ ও জান্নাতুল ইসলাম।

এদিকে গত ৫ আগস্টে সরকার পতনের পর ১৯ আগস্ট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিমকে অপসারণ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। পরে চসিকে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম চালানোর জন্য বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলামকে প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।

হারুন অর রশীদ: গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত নিটারের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত যৌক্তিক দাবি গুলো মেনে নেওয়া হয়নি। প্রায় ১ মাস ধরে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কার্যালয়ের দ্বারে দ্বারে গিয়েও দৃশ্যমান কোনো সমাধান হয়নি মনকি এখন পর্যন্ত নিটারের শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ৪ তারিখে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়, ১০ তারিখে বিটিএমএ কার্যালয় এবং ১৫ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি অনুষদের ডিন কার্যালয়ে নিটারের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সমাধানের উদ্দেশ্যে উপস্থিত হলেও কার্যকরী কোনো সমাধান  আসেনি।  গত  ২৫ তারিখ জিবি মিটিং এর মাধ্যমে সমাধানের কথা বলে আশ্বস্ত করা হলেও ২৩ তারিখ হোস্টেল বন্ধের একটি নোটিশ ধরিয়ে দিয়ে  সাধারণ শিক্ষার্থীদের  বিভ্রান্ত করা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন অপশক্তি ব্যবহার করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর দোষ চাপিয়ে, জোরপূর্বক অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি র অপকৌশল নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যার প্রেক্ষিতে গত ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর সাধারণ শিক্ষার্থীরা দৃশ্যমান সমাধানের লক্ষ্যে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এরপরেও কোনো সমাধানের সাড়া না পাওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্যাম্পাসের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে এবং এরই প্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিটিএমএ কার্যালয়ে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন পালন করছে।

শোষণ মুক্ত শিক্ষার পরিবেশ গড়ার লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে শিক্ষার্থীদের পক্ষ হতে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেছে। ১. দুর্নীতিকে প্রশ্রয়, ক্ষমতার কেন্দ্রীভূতকরণ ও শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলার নেতৃত্ব দেওয়ায় বর্তমান ডিরেক্টর এর পরিবর্তে নতুন ডিরেক্টর নিয়োগ প্রদানের ব্যবস্থা করা। উল্লেখ্য, নতুন ডিরেক্টর নিয়োগের পর্যায়কালীন সময়ে ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার ব্যবস্থা নেওয়া। 
২.অভিযুক্ত ১৪ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদত্যাগ, ড. মিজানুর রহমানকে নির্দোষ প্রমাণে গঠিত ছয় সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির সবাইকে নিটার থেকে বাদ দিতে হবে। এছাড়া  হোস্টেল খুলে দিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করাও নিটার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।